thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘বালিশকাণ্ডের’ ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

২০১৯ জুলাই ০২ ১৪:৪০:৪২
‘বালিশকাণ্ডের’ ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র বিশ্বস্ততার সাথে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসাথে ওই ঘটনায় করা দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল এবং প্রতিবেদন অনুসারে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের শুনানিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র কেনায় যারা বিশ্বস্ততা দেখানোর কথা ছিলো তারা সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এবং এ ব্যর্থ হওয়াটা কেন অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে না এ মর্মে রুল প্রদান করেছেন। এবং সরকারপক্ষকে বলেছেন ২ সপ্তাহের মধ্যে তারা কি প্রতিবেদন নিয়ে আসবেন এটা জমা দেয়ার জন্য এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন এটাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলেছেন।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকোশলী, রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক।

এর আগে ব্যারিস্টার সুমন হাইকোর্টের রিটের পর ২০ মে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ওই ঘটনায় গণপূর্তের করা দু’টি তদন্ত কমিটির কথা উল্লেখ করে বলেন, এরই মধ্যে দু’টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। এ রিপোর্টটা আগে আসুক। তারপর যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সে পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রাখা যেতে পারে।

এরপর আদালত স্ট্যান্ডওভার রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রিট আবেদনটি তালিকায় উঠে। সোমবারের শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কাজ তো চলছে, কমিটির কাজ চলছে। ফেয়ার রিপোর্টের স্বার্থে আমাদের ১৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। কারণ ১২ জুলাই প্রতিবেদন দেওয়ার পর আমরা সেটা হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। এ কারণে আরো দুদিন মিলিয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। এরপর আদালতে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখেন।

সে অনুসারে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০২,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর