thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায় নিয়ে সংসদে আলোচনা

২০১৯ জুলাই ০৯ ২১:৩৮:২৪
গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায় নিয়ে সংসদে আলোচনা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের পাওনা আদায়ে জটিলতা বিষয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদ বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে সংসদকে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এ বিষয়ে আদালতের আদেশের কারণ দীর্ঘসূত্রিতা ও দেশের জনগণের ওপর চাপ পড়ার আশঙ্কা কথাও ব্যক্ত করেন তিনি।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের কাছে সরকারের পাওনা আদায়ের ব্যবস্থা বিষয়ে সম্পূরক প্রশ্ন করেন জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে। এ পাওনা আদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ পদক্ষেপটি হচ্ছে গ্রামীণফোনে ৩০ ভাগ ও রবির ১৫ ভাগ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অবিলম্বে পাওনা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

মোস্তফা জব্বার আরও বলেন, কোনো অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই-তারা আদালতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ বকেয়া রয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, অপরাটরদের মধ্যে দুটির (গ্রামীণফোন ও রবি) অডিট হয়েছে। অন্যদেরও অডিট হবে। সবার পাওনা আদায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম ওসমানের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন বা রবিসহ বাংলাদেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট অপারেশনে নিয়োজিত সংস্থাগুলো সরকারকে বিভিন্নভাবে যে কর দেয় তা তাদের গ্রস রেভিনিউর প্রায় ৫০ ভাগ। তিনি বলেন, অডিটে গ্রামীণফোন ও রবি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর ফাঁকি দিয়েছে বলে ধরা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোনের কাছে মূল পাওনা ৪ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু কর না দেওয়ায় সারচার্জ ও সুদ সব মিলিয়ে তাদের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আদায়ে কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাওনা আদায় না করায় গ্রামীণফোনের লাইসেন্স বাতিল করা হলে দেশের জনগণের ওপরও চাপ পড়বে। তাই জনগণের সুবিধা নিশ্চিত করেই সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক বিকল্প হিসেবে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে যে কারোর বিরুদ্ধেই কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব ছিলো।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, টেলিটকের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কী কারণে সক্ষমতা অর্জনের ধারে কাছেও যেতে পারেনি-এটা উপলব্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের মোবাইল মার্কেটের তলানিতে বসে আছে টেলিটক। গ্রামীণফোনের বিনিয়োগ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর গত বছর পর্যন্ত টেলিটকের বিনিয়োগ তিন হাজার ৬শ' কোটি টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর