thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৩:২১:২৩
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

নীলফামারী প্রতিনিধি: হঠাৎ করেই উজানের ঢল নেমেছে তিস্তা নদীতে। বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হু-হু করে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা অববাহিকার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে পরিবারগুলো বসতঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোলাপাড়া, তিস্তা বাজার, চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বানপাড়া ছোটখাতা, বাইশপুকুর ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের সোনাখুলী, ফরেস্টের চর গ্রামগুলোর বসতঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। বসতঘরগুলোতে হাঁটু সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকে তিস্তা নদীর ডান তীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার পরিবার তিস্তার হঠাৎ ঢলের পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে।

পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতঘরে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন তার এলাকার দোলাপাড়া, তিস্তাবাজার, চরখড়িবাড়ি ,পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামগুলোর বাড়িঘরে হাঁটু সমান পানি।

খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, ছোটখাতা ও বানপাড়া গ্রামের মানুষজন ডান তীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহান বলেন, ছাতুনামা ও ফরেস্টের চর এলাকায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। হঠাৎ বন্যার কবলে নিচু এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র সুত্র জানায়, উজানে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীতে হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সোমবার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ডালিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পায়। রাত ৯টায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে উঁচু স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৮,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর