thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

তামিম সাকিব ছাড়াই টি-টোয়েন্টিতে ভারত বধ

২০১৯ নভেম্বর ০৪ ০৬:২০:৫৬
তামিম সাকিব ছাড়াই টি-টোয়েন্টিতে ভারত বধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: হতে হতেও হয়নি। তীরের খুব কাছে গিয়ে ডুবেছে বাংলাদেশ তরী। তাতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয়টা অধরাই থেকে গেছে। সমান্তরালে আক্ষেপ আর হতাশায় ভারি হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর আক্ষেপ কিংবা নিদাহাস ট্রফিতে হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকা শিরোপা দিনেশ কার্তিকের অতিমানবীয় ইনিংসে ছোঁ মেরে নিয়ে যাওয়া— কষ্টের চোরাস্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে। মহাকালের ক্যালেন্ডারে পেরিয়ে গেছে কত সময়, কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায়নি। টি-টোয়েন্টিতে কখনও হারানো যায়নি ভারতকে। অবশেষে অতীতের দায় শোধ করে ভারতের মাটিতেই রোহিত শর্মাদের হারিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে জয়ের ইতিহাস লিখেছে মুশফিকুর রহিমরা।

ভারতের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙলো বাংলাদেশ। আগের আটবারে যেখানে ম্যাচ শেষে জয়ীর ঘরটায় উঠছে শুধু ভারতের নাম, রবিবার দিল্লির টি-টোয়েন্টি দিয়ে সেখানে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছে টাইগাররা। নবমবারের চেষ্টায় হারানো গেল ভারতকে।

ফিরোজ শাহ কোটলা পাল্টে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়েই দিল্লির ভেন্যুটি যাত্রা শুরু করেছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম নামে। সেখানেই ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ডটা লিখলো মাহমুদউল্লাহরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর মুশফিকের হার না মানা হাফসেঞ্চুরিতে সফরকারীরা পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

সময়ের হিসাবে ভারতের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের লাগলো ১০ বছর। ২০০৯ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। নটিংহামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে ২৫ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে। সেই থেকে ঘরের মাঠ হোক, ভারতের মাঠ হোক কিংবা নিরেপেক্ষ মাঠ, বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায়নি।

ভাগ্য সত্যি সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের এখনও যন্ত্রণায় পোড়ায়। জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ১ রানে হারতে হয়েছিল। ওই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে কী, উল্টো দুই বছর পর শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফিতে আরও বড় ধাক্কা লাগে! নিশ্চিত জিততে যাওয়া ফাইনালে দিনেশ কার্তিক বীরত্বে ভারত কিভাবে ম্যাচটি ছোঁ মেরে নিয়ে গেল, সেই হিসাব এখনও মেলান অনেক ক্রিকেটভক্ত।

নিদাহাস ট্রফির ওই ফাইনালের পর দিল্লির এই ম্যাচ দিয়েই ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার কুড়ি ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে এবারও হয়তো কারও মনে উঁকি দিয়েছে বেঙ্গালুরু কিংবা কলম্বোর স্মৃতি। তবে এবার ভুল করেননি মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। জয়ের বন্দরে দলকে নিয়ে ভারত জয়ের নতুন ইতিহাস লিখেছেন তারা।

নিঃসন্দেহে দিল্লির ম্যাচের নায়ক মুশফিক। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। তবে দিল্লিতে ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংসে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আর সেটাও এমন সময়, যখন দলের পরিস্থিতি অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে খারাপ।

মাঠের বাইরের নানা জটিলতাকে একপাশে ঠেলে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো নিজেদের দিনে যে কাউকেই হারাতে পারে তারা। আর সেটা সাকিব আল হাসান কিংবা তামিম ইকবালের মতো পরীক্ষিত পারফরমারদের ছাড়াই!

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ০৪,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর