thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

গুজব ও গণপিটুনি বন্ধে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা

২০২০ মার্চ ০১ ২০:৩৩:১৯
গুজব ও গণপিটুনি বন্ধে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে দেশে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার (১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

আদালতের দেওয়া ৫ দফা নির্দেশনা হলো:

১. পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মিটিং করবেন।

২. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অব্যাহত রাখবে।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনও ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা—যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনির ক্ষেত্রে মানুষকে উসকানি দিতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা নেবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এই কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
৪. যখনই গণপিটুনির কোনও ঘটনা ঘটবে কোনোরকম দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন। পরে তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন।

৫. গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অবহেলা ছিল কিনা সে ব্যাপারে ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এসময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ মার্চ,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর