thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,  ১৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ্‌ খান

২০১৩ নভেম্বর ১০ ১৫:১৫:৩৪
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ্‌ খান

দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : বিশিষ্ট সাংবাদিক, কূটনৈতিক ও সাবেক মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ্ খান ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইংরেজি দৈনিক হলি ডে’র সম্পাদক ছিলেন। নির্ভীক লেখনি ও আপোষহীন সত্যবাদিতার জন্য তিনি চার দশকের সাংবাদিকতা জীবনে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেন।

এনায়েতুল্লাহ্ খান ২৫ মে ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খান। তার ভাই-বোনদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক সাদেক খান, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, বাম রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন, বিএনপি সরকারের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী (অষ্টম জাতীয় সংসদ) বেগম সেলিমা রহমান এবং ইংরেজি দৈনিক নিউ এজে’র প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক করেন। ১৯৫৯ সালে ২০ বছর বয়সে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় প্রদায়ক হিসেবে যোগ দেন । ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডে প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৫ সালে এবং সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ১৯৬৬ সালে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের জুনে প্রকাশ করেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ।

এনায়েতুল্লাহ খান সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কাজ করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী নিধন তথ্য-অনুসন্ধান কমিটির অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই কমিটি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে। ১৯৭৪ সালে সিভিল লিবার্টি ও লিগাল এইড কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের শিকার রাজনৈতিক কর্মীদের সাহায্য করেন। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ কমিটি ও ১৯৭৬ সালের মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮১ সালের সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী কমিটিতেও তিনি ছিলেন।

তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ১৯৭৩-৭৬ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ঢাকা ক্লাবের সভাপতি ছিলেন ১৯৮৪-৮৫ সালে।

সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি মন্ত্রী (১৯৭৭-৭৮) এবং চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে (১৯৮৪-১৯৮৯) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ছাত্রজীবনে তিনি আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হলের (বর্তমানে শহিদুল্লাহ হল) ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ইপিএসইউ’র সদস্য ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৪ সালে সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

২০০৫ সালের ১০ই নভেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কানাডার টরেন্টো জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/নভেম্বর ১০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

এই দিনে এর সর্বশেষ খবর

এই দিনে - এর সব খবর