thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১,  ২৭ রবিউস সানি 1446

দেশের কোথায় কত করোনা রোগী

২০২০ এপ্রিল ১১ ০৮:৪৯:২৩
দেশের কোথায় কত করোনা রোগী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা বিশ্বব‌্যাপী। বিস্তার লাভ করছে বাংলাদেশেও। এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ‌্যা ৪২৪ জন।

তবে একদিনের ব‌্যবধানে (৯ এপ্রিলের তুলনায় ১০ এপ্রিল) ঢাকায় আক্রান্তের হার কমেছে ২৫ জন। আশার কথা।

গতে ৯ এপ্রিল ঢাকায় আক্রান্ত সনাক্ত হয় ৬২ জন। ১০ এপ্রিল ৩৭ জন। তবে ঢাকায় কমলেও নারায়ণগঞ্জে তিন জন বেড়েছে। নারায়ণগঞ্জে ৯ এপ্রিল ১৩ জন আক্রান্ত সনাক্ত হয়, ১০ এপ্রিল সনাক্ত হয় ১৬ জন।

এখন পর্যন্ত শুধু রাজধানীতে ২৩৩ জন করোনার রোগী সনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে ১৯৬, ঢাকা জেলায় ১৩ জন, গাজীপুরে দুই জন, জামালপুরে তিন জন, কিশোরগঞ্জে এক জন, মাদারীপুরে ১১ জন, মানিকগঞ্জে তিন জন, নারায়ণগঞ্জ ৫৯ জন, নরসিংদী চার জন, রাজবাড়ী এক জন, টাঙ্গাইলে দুই জন, শরীয়তপুর এক জন এবং শেরপুরে দুই জন। ঢাকা বিভাগে মোট ২৯৮ জন করোনা আক্রান্তের তথ‌্য মিলেছে।

১০ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৭ জন। এর মধ্যে যাত্রাবাড়িতেই পাওয়া গেছে ৫ জন।

৯ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ১৪ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রামে নয় জন, কক্সবাজারে এক জন, কুমিল্লায় চার জন।

সিলেট বিভাগে দুই জন। এক জন মৌলভীবাজারে আর এক জন সিলেটে।

রংপুর বিভাগে ১১ জন। এরমধ্যে রংপুরে দুই জন, গাইবান্ধায় আট জন, নীলফামারীর এক জন।

খুলনা বিভাগে একজন চুয়াডাঙ্গায়। ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন ।

৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার কোন এলাকায় কতজন আক্রান্ত :

আগারগাঁওয়ে দুই জন, আদাবরে এক জন, মোহাম্মদপুরে আট জন, ধানমন্ডিতে ১৩ জন, বসিলায় এক জন, জিগাতলায় তিন জন, সেন্ট্রাল রোডে এক জন, গ্রিনরোডে তিন জন, শাহবাগে দুই জন, হাতিরপুলে দুই জন, বুয়েট এলাকায় এক জন, আজিমপুরে চার জন, হাজারীবাগে তিন জন, উর্দু রোডে এক জন, চকবাজারে তিন জন, লালবাগে আট জন, বাবুবাজারে তিন জন, ইসলামপুরে দুই জন, লক্ষীবাজারে দুই জন;

নারিন্দায় এক জন, দয়াগঞ্জে এক জন, সোয়ারীঘাটে তিন জন, ওয়ারীতে ১০ জন, ধোলাইখালে এক জন, বংশালে চার জন, যাত্রাবাড়ীতে ছয় জন, শনির আখড়ায় এক জন, মুগদায় এক জন, পুরানা পল্টনে দুই জন, ইস্কাটনে এক জন, রাজারবাগে এক জন, বেইলি রোডে তিন জন, মগবাজারে দুই জন, শান্তিনগরে দুই জন, বাসাবোতে এক জন;

রামপুরায় এক জন, হাতিরঝিলে এক জন, শাহজাহানপুরে এক জন, বাড্ডায় দুই জন, বসুন্ধরায় তিন জন, নিকুঞ্জে এক জন, মানিকদীতে এক জন, আশকোনায় এক জন, উত্তরায় ১৬ জন, বেড়িবাঁধে এক জন, গুলশানে ছয় জন, বনানীতে এক জন, মহাখালীতে দুই জন, বেগুনবাড়িতে এক জন, তেজগাঁওয়ে দুই জন;

কাজীপাড়ায় এক জন, মিরপুর ১০ নাম্বারে তিন জন, মিরপুর ১১ নাম্বারে ছয় জন, মিরপুর ১২ নাম্বারে দুই জন, মিরপুর ১৩ নাম্বারে এক জন, মিরপুর ১ নাম্বারে ১১ জন, শাহআলীবাগে দুই জন, পীরেরবাগে দুই জন, টোলারবাগে আট জন ও উত্তর টোলারবাগে ছয় জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সোনিয়া তাহমিনা বলেন, ‘এই অসুখটা কোনো ভেদাভেদ মানছে না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষকে এফেক্ট করছে। এ থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে ঘরে থাকা। ঘরের মধ্যেও তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।’

বয়স ভেদে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- আক্রান্তদের ৪২৪ জনের মধ্যে ১০ বছরের নিচে ১৪ জন, ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে ২৯ জন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০ এর পরে আক্রান্তের হার বেশি।

২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে ৮৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে ৯১ জন, ৪১ থেকে ৫০ এর মধ্যে ৮০ জন, ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যে ৬৯ জন, ৬০ এর উপরে ৫৯ জন।

আইইডিসিআর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, শতাংশের হারে দেশে মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, সুস্থতার হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ৩৬৪ জন অর্থাৎ ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

নারীদের তুলনায় পুরুষের আক্রান্তের হার দ্বিগুণেরও বেশি। এপর্যন্ত ২৯০ জন পুরুষ ও ১৩৪ জন নারী আক্রান্ত হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‌্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘এই ভাইরাসটি যেহেতু একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়, সেকারণে আমাদের অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এটি জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।’

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাহবুবা জামিল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আসলে কোনো স্টাডি নেই। তবে আমি মনে করি, নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি বাইরে বেশি বের হয়, জনসমাগমে যায়। সে কারণেই হয়তো পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, নারীরা কম আক্রান্ত হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, ‘এখন নারীরা তেমন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। পুরুষরা কিন্তু বের হচ্ছেন। পুরুষ বের হওয়ার ফলে ঘরে থাকা নারীও ঝুঁকিতে থাকছেন। নারীরা ঘরে বসে ঘর সামলাচ্ছেন, বাচ্চা সামলাচ্ছেন, তারা তো কোনো জনসমাগমে যাচ্ছেন না। বাইরে অনেকের মাঝে আড্ডা দিচ্ছেন না। তবে প্রয়োজনে হোক, আর প্রয়োজনে হোক পুরুষরা জনসমাগমে যাচ্ছেন, বাইরে আড্ডা দিচ্ছেন।’

ঢাকায় আক্রান্তের হার বেশি প্রসঙ্গে মাহবুবা জামিল বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে যারা এসেছেন, তারা তো এসে প্রথমে ঢাকায় ছিলেন। কেউ কেউ গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন, জনসমাগমে গিয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়েছে। আবার একটা সময় যখন আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিলাম- তখন দেখা গেল প্রবাসীরা যারা গ্রামে গিয়েছিলেন, তাদের একটা অংশ ঢাকায় চলে এসেছেন। এই যে আসা-যাওয়া, গণপরিবহন ব্যবহার করা এসব কারণেই ঢাকায় বেশি ছড়াতে পারে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১এপ্রিল,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর