thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি 25, ৯ মাঘ ১৪৩১,  ২৩ রজব 1446

ঈদের নাটকের আশা ছেড়ে দিচ্ছেন নির্মাতা ও শিল্পীরা

২০২০ এপ্রিল ২০ ১৮:৩৪:৫৩
ঈদের নাটকের আশা ছেড়ে দিচ্ছেন নির্মাতা ও শিল্পীরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থার পাশাপাশি থমকে গেছে বিশ্ব-শোবিজ অঙ্গনও। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শুটিং। সারা বছর কম বেশি নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ঈদের মৌসুমে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে বিরামহীন কাজ করেন তারকারা। এমনকি নিয়মিত শিল্পীদের পাশাপাশি অনিয়মিত শিল্পদেরও ছুটতে দেখা যায় এক শুটিং স্পট থেকে অন্য শুটিং স্পটে।

কিন্তু এবারের চিত্র অনেকটাই বিচিত্র। ঈদ মৌসুমে প্রতিবার তারকাদের যখন রীতিমতো ঘুম হারাম হয়ে যায় কাজের চাপে, আর এবার তারা সময় কাটাচ্ছেন একদম ঘরে বসে অলস ভঙ্গিতে। আলোচিত ও জনপ্রিয় নির্মাতাদের অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়ে নির্ধারিত শিডিউল বাতিল করে ফেলেছেন এরই মধ্যে। অচিরেই নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাচ্ছেন অনেকেই। আসন্ন ঈদ নিয়ে পাঁচ শতাধিক নাটকের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হচ্ছে না।

শুরুর দিকে অল্প সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। কবে নাগাদ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো নির্মাতা অবশ্য বিকল্প পথ হিসেবে ইনডোরে শুটিং করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু করোনার ভয়ে ইউনিটের অনেকেই শুটিং করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে এবার ঈদে কতটি নাটক কিংবা টেলিফিল্ম প্রচারিত হবে-তা মোটেও আন্তাজ করা যাচ্ছে না।

তবে যেসব নাটক-টেলিফিল্ম করোনা আগমনের আগেই নির্মাণ শেষ হয়েছে, সেগুলোর প্রচার অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন নির্মাতা। টিভি নাটকের আলোচিত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী শেষ শুটিং করেছিলেন মার্চের ৯ ও ১০ তারিখে। ঈদের কয়েকটি নাটকে তার কাজ করার কথা থাকলেও তার কিছুই করতে পারছেন না এই নির্মাতা। ঈদের নতুন প্রজেক্ট নিয়ে ৪ এপ্রিল মাঠে নামার কথা ছিল নির্মাতা রেদোয়ান রনির। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজে নামার স্বপ্ন দেখলেও তা কখন হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ৬টি নাটকের কাজ হাতে ছিল মাবরুর রশীদ বান্নাহর। সবই বাতিল করেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ঈদের কোনো কাজ করাও সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

বরাবরের মতো এবারও ঈদ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল ‘বড় ছেলে’ খ্যাত নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের। কয়েকটি নাটকের সব কিছু ঠিক থাকলেও করোনার কারণে শুটিং করতে পারছেন না এই তরুণ নির্মাতা। লকডাউন ছাড়ার পর স্বাভাবিক হতেও আরও ১-২ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি। নির্মাতা ও অভিনেতা শামীম জামানের হাতে ছিল ঈদের একাধিক প্রজেক্ট। সব কিছু গুছিয়ে রাখলেও শুটিং শুরু করতে পারছেন না করোনার কারণে।

ঈদের আগে আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন বলেন, ‘ঈদের কাজ ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আর করতে পারিনি। এই মাসে আর শুটিং হবে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা ডিরেক্টরসহ সবাই শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আর্থিকভাবে ক্রুদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে সবাই।’ ঈদের নাটকের আশা ছেড়ে দিয়েছেন অভিনেতা জোভান। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদের নাটকের আশা ছেড়ে দিয়েছি।

এই সংকটময় সময়ে নাটকের শুটিং করা সম্ভব নয়।’ একই সুরে কথা বললেন টিভি নাটকের আলোচিত অভিনেত্রী সাফা কবির। বলেন, ‘ঈদের দুইটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। এই দুইটি ঈদে প্রচারিত হবে। সর্বশেষ শুটিং করেছিলাম ২০ ফেব্রæয়ারি। এরপর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়নি। ঈদের আগে শুটিং করার আর কোনো সম্ভবনাও দেখছি না।’ পরিস্থিতি দ্রæত স্বাভাবিক হলেও ঈদের জন্য ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন না অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া।

এতে করে শিডিউল জট ও দ্রæত কাজ শেষ করতে গিয়ে মানহীন কাজ বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে ঈদের অনুষ্ঠানের চেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার মোকাবিলা করা। কবে নাগাদ আমরা এই পরিস্থিতি থেকে রেহায় পাব সেটাই দেখার বিষয়।’ তবে জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারির দিকে শুটিং শেষ করা কিছু নাটক এবারের ঈদে প্রচারিত হবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০এপ্রিল,২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর