শেষটা রাঙাতে পারেনি রিয়াল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে ১ ম্যাচ আগেই। তাই লেগানেসের বিরুদ্ধে গার্ড অব অনার পেয়েই রাজকীয় ভাবে ম্যাচ শুরু করে ৩৪ বারের লা লিগা বিজয়ীরা। ম্যাচের শুরু থেকে বিজয়ীর মতো খেললেও মৌসুমের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারেনি লস ব্লাংকোসরা। করোনা বিরতির পর ১১তম ম্যাচে এসে পয়েন্ট খোয়ায় মাদ্রিদ। লেগানেসের বিরুদ্ধে ২-২ গোলের সমতে নিয়ে সমাপ্তি টানে এই মৌসুমের।

থিবো কোর্তোয়া, টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচ, দানি কারভাহাল, রাফায়েল ভারান সবাই ছিলেন বেঞ্চে। কিন্তু সার্জিও রামোস `নতুন` একাদশটাকেও নেতৃত্ব দিলেন আগের মতোই। ম্যাচের ৯ মিনিটে ইস্কোর ফ্রি-কিক থেকে হেডে লিগের ১১তম গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন রামোস। ১১ গোল করে এই শতাব্দীতে ডিফেন্ডার হিসেবে লা লিগার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও হয়েছে রিয়াল অধিনায়কের।

এই ম্যাচে রিয়ালের আকর্ষণ বলতে ছিলেন করিম বেনজেমা। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে অবশ্য তাকে ৪ গোল করতে হত। হ্যাটট্রিক করলে ছুঁয়ে ফেলতেন মেসিকে। তবে রেলিগেশন এড়ানোর লড়াইয়ে নামা লেগানেসের বিপক্ষে সেভাবে সুযোগ পেলেন কমই।

প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফেরে লেগানেস। ব্রায়ান গিল বাম পায়ের দারুণ শটে কাছের পোস্টে রিয়ালের দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক আলফোন্সো আরিওলাকে হার মানান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আবার নড়বড়ে হয়ে যায় লেগানেস। মার্কো আসেনসিও গোল করে ৫২ মিনিটে আবার এগিয়ে নেন রিয়ালকে। এবারও ইস্কোর অবদান তাতে, তার থ্রু পাস ধরেই গোলের সামনে এগিয়ে দিয়েছিলেন আসেনসিও।

আবার পিছিয়ে পড়ে নতুন করে ফেরার লড়াই শুরু করে লেগানেস। দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি রামোস। তার জায়গায় নেমেছিলেন নাচো। ৬১ মিনিটের বেনজেমা, কাসেমিরো, আসেনসিওকে তুলে ক্রুস, ইয়োভিচ আর ব্রাহিম ডিয়াজকে নামিয়ে দেন জিদান। কিন্তু লেগানেস আবার ম্যাচে ফেরে ৭৮ মিনিটে, রজার আসালের গোলে।

শেষ ১০ ম্যাচের কোনোটিতেই দুই গোল হজম করেনি রিয়াল, লিগের শেষ ম্যাচে এসেছে সেই ধারা ভাঙার পর হারই চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের। শেষদিকে লেগানেসের বদলি খেলোয়াড় এভিলেস পরপর দুবার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত রিয়াল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০জুলাই, ২০২০)