thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

২০২০ নভেম্বর ১০ ০৮:৩০:৫৮
হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালটির ম্যানেজারসহ ৬ জনকে আটক করেছে।

আনিসুল করিম সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে বরিশাল মহানগর পুলিশে (বিএমপি) কর্মরত ছিলেন। বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের বাবা। আনিস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল বলেন, আনিস কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাকে দোতলায় নেন। কিছুক্ষণ পর আনিসুল অজ্ঞান হওয়ার খবর পান। সেখান থেকে তাকে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটিটে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনিসের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আদাবর থানা পুলিশ। এতে দেখা যায়, দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি রুমে ঢোকানো হয়, সেখানে হাসপাতালের ৬ কর্মচারী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরো দু’জন কর্মচারী পা চেপে ধরেন। তার মাথার দিকে থাকা দু’জন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে আঘাত করেন।

এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। পরে একটি নীল কাপড়ের টুকরো দিয়ে আনিসুলের হাত বাঁধা হয়। কয়েক মিনিট পর তিনি জ্ঞান হারান।

রেজাউল করিম আরো বলেন, আনিসুলের ব্লাডপ্রেসার ও হৃদরোগ ছিল। কিন্তু এ দুটির কোনোটিই মারাত্মক ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণপিটুনিতে তার ভাই মারা গেছেন।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। আনিসুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

মাইন্ড এইড হাসপাতালের সমন্বয়ক মো. ইমরান বলেন, হাসপাতালে আনার পর রোগী উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিলেন। একে–ওকে মারধর করছিলেন। তাকে শান্ত করার জন্য ওই কক্ষে নেয়া হয়। আনিসকে মারধর করা হয়েছে কেন? এ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি ইমরান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০নভেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর