তৃতীয় ধাপে ৬৩ পৌরসভায় ভোট আজ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুই ধাপে ৮৪টি পৌরসভার ভোটগ্রহণের পর তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। অনিয়ম ঠেকাতে শনিবার সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্র ব্যালট পেপার পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম-সহিংসতা ও তুলনামূলক ভোটারের কম উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রথম ধাপে ইভিএমে এবং দ্বিতীয় ধাপে ইভিএম ও ব্যালট পেপারে ভোট হয়। তৃতীয় ধাপের সব পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে পৌর নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে গড়ে ৬৪ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।

তৃতীয় ধাপে তিন পদে ৩৭১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন ১৬৫ জন। বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে মেয়র পদে ২৫৭ জনের, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৭২ জনের এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫২১ জন প্রার্থীর।

তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও মেয়র পদের এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ফলে আজ ভোট হচ্ছে ৬৩ পৌরসভায়। এছাড়া গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কুমিল্লার লাকসাম এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাছাড়া দুজন করে মেয়র প্রার্থী রয়েছেন ৯ পৌরসভায়। দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদে চারজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের ৬৩ পৌরসভায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটের দিন সকালে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার। নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে কমিশন বেশ সজাগ রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য অতিরিক্ত সংখ্যক নিয়োজিত রাখা হচ্ছে অনেক এলাকায়।

ভোট হবে যেসব পৌরসভায়

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ; নওগাঁর ধামইরহাট ও নওগাঁ সদর; সিলেটের গোলাপগঞ্জ; বগুড়ার ধুনট, গাবতলী, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম ও কাহালু; রাজশাহীর মুন্ডুমালা; মৌলভীবাজার সদর; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর; বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ; কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম ও বরুড়া; চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ; ফেনী সদর; মুন্সিগঞ্জ সদর; শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ; ময়মনসিংহের গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, ভালুকা ; শেরপুরের নকলা; নাটোরের সিংড়া; রাজশাহীর কেশরহাট; চুয়াডাঙ্গার দর্শনা; ঝালকাঠির নলছিটি; নেত্রকোনার দুর্গাপুর; যশোরের মনিরামপুর; নোয়াখালীর হাতিয়া ও চৌমুহনী; লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া; ; টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, সখিপুর, মধুপুর ও মির্জাপুর; বরগুনা সদর ও পাথরঘাটা; ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান; শেরপুরের নালিতাবাড়ী; কুড়িগ্রামের উলিপুর; দিনাজপুরের হাকিমপুর; চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর; নড়াইল সদর; সাতক্ষীরার কলারোয়া; রাজবাড়ীর পাংশা; পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি; বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দীগঞ্জ; জামালপুরের সরিষাবাড়ী; সিলেটের জকিগঞ্জ; ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু; নীলফামারীর জলঢাকা; পাবনা সদর; খুলনার পাইকগাছা; নড়াইলের কালিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০ জানুয়ারি, ২০২১)