ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা নির্মূল করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভ্যাকসিন ছাড়া করোনাভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত বিশ্ব এনটিডি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া করোনাভাইরাস দেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারি বিদায় নিয়েছে। অথচ ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিভ্রান্তির ফলে শুরুতে মানুষের মনে ভয়ের শঙ্কা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা কেটে যাচ্ছে। কারণ, ভ্যাকসিনের প্রথম দুইদিন প্রয়োগের ফলে দেখা যাচ্ছে, এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কারো শরীরে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকার আগে থেকেই বলেছে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। তবে, ব্যাপক মানুষের শরীরে প্রয়োগের পরে দুই একজনের দেহে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতেও পারে। কারণ, পৃথিবীর সব ভ্যাকসিনই এরকম স্বল্পমাত্রায় মৃদু প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বর্তমানে ১৭০ কোটি মানুষ এনটিডিতে আক্রান্ত। বর্তমানে বিশ্বে ২০টি রোগকে এনটিডি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৩টি রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। অবশিষ্ট ৭টির মধ্যে জলাতঙ্ক, কালাজ্বর দেশ থেকে বিদায়ের পথে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দেশে বর্তমানে সর্প দংশনে বছরে প্রায় ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় এবং বছরে প্রায় ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এটিকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। অধিক আক্রান্ত স্থানে বেশি করে অ্যান্টিভেনম প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, ২০২৩ সালের মধ্যেই বাকি রোগ থেকেও দেশ মুক্ত হতে সক্ষম হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রমণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমূল ইসলামের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)