thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

বাসে দলবেঁধে ধর্ষণ: সুমনের স্বীকারোক্তি, ৫ জনের রিমান্ড

২০২১ মে ২৯ ২১:০২:১৮
বাসে দলবেঁধে ধর্ষণ: সুমনের স্বীকারোক্তি, ৫ জনের রিমান্ড

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। একই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে তাদের ৬ জনকেই আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। শনিবার (২৯ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।

এই ঘটনায় ওই বাসটি জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার বিশমাইল নবীনগর এলাকার মাঝে ডিসি নার্সারির সামনে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) এবং বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের আশুলিয়া গরুর হাট এলাকায় একটি মিনিবাস থেকে নারীর চিৎকার শুনে টহল পুলিশ গাড়িটি থামায়। সে সময় গাড়ির ভেতরে থাকা ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়- তিনি (তরুণী) শুক্রবার (২৮ মে) সকালে চাষাড়া থেকে মানিকগঞ্জে বোনের বাসায় বেড়াতে যান। রাতে পুনরায় চাষাড়া যাওয়ার উদ্দেশে নবীনগর আসেন। পরে সেখানে তার পূর্বপরিচিত এলাকার ভাই নাজমুলের সঙ্গে দেখা হলে একসঙ্গে তারা টঙ্গী যাওয়ার জন্য একটি মিনিবাসে (ঢাকা মেট্রো জ-১১-১৬৪৮) ওঠেন। বাসটি আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার কিছু আগে সব যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে থাকা তাকে ও তার পূর্বপরিচিত নাজমুলকে নামতে দেননি চালক ও হেলপার। পরর্বতীকালে ওই বাসটির হেলপারের সঙ্গে আরও ৪ জন বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়িটিতে ওঠেন। পরে নাজমুলকে আটকে রেখে হেলপারসহ মোট ৬ জন চলন্ত বাসে তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ বলেন, ভিক্টিম তরুণীকে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এ সময় তরুণী তার বাড়ি লালমনিরহাট ও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় থেকে সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী তরুণী পরিবহন শ্রমিক ৬ জনের নামেই ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবক নাজমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯ মে, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর