thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১,  ২০ জমাদিউস সানি 1446

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ

২০১৩ নভেম্বর ১১ ১৬:১০:৫২
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ

দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১১ নভেম্বর ১৮৮৮ সালে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৮ সালে তার মৃত্যু হয়। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপন্ডিত ছিলেন।

তার পূর্বপুরুষ সম্রাট বাবরের সময়ে হেরাট থেকে ভারতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও প্রশাসক ছিলেন। ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের পর তার বাবা মৌলানা খইরুদ্দিন মক্কায় চলে যান। সেখানে ১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর আজাদের জন্ম হয়। জন্মের দুবছর পর তার পরিবার কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করে। আজাদ তার পিতা ও গৃহশিক্ষকের কাছে শিক্ষালাভ করেন।

তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। আজাদ হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। তরুণ বয়সেই মৌলানা আজাদ উর্দু ভাষায় কবিতা এবং ধর্ম ও দর্শন সংক্রান্ত নিবন্ধন রচনা করতে শুরু করেন। তিনি পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন জানান। পরবর্তীতে তিনি খিলাফৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। সেই সময় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন। ১৯২৩ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। ১৯২৮ সালে আজাদ জাতীয় মুসলিম অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

১৯৩১ সালে মৌলানা আজাদ ধারাসন সত্যাগ্রহ শুরু করেন। এই সময়ে তিনি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা প্রচার করেন। ভারতছাড় আন্দোলনের সময় তিনি পাঁচ বছর কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি তিন বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।

স্বাধীন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন।

১৯৯২ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্নে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। শিক্ষাবিস্তারে স্বাধীনতা সংগ্রামী এই নেতার উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তার জন্মদিনটি ভারতে "জাতীয় শিক্ষা দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।

তার প্রকাশিত গ্রস্থের মধ্যে আছে ‘আল-বায়ান’ (১৯১৫)এবং ‘তারজমান-উল-কোরান’ (১৯৩৩-১৯৬৯)। এছাড়া ‘তাজকিবাহ’ (১৯১৬)হল আত্মজীবনীমূলক রচনা এবং ‘গাবর-ই-থাতির’(১৯৪৩) চিঠিপত্রের সংকলন অন্যতম।

(দিরিপোর্ট২৪/কেএম/এমডি/নভেম্বর ১১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

এই দিনে এর সর্বশেষ খবর

এই দিনে - এর সব খবর