thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

সোহেল রানাকে ফেরাতে ভারতকে ফের চিঠি দিচ্ছে পুলিশ

২০২১ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:৪৫:৪৮
সোহেল রানাকে ফেরাতে ভারতকে ফের চিঠি দিচ্ছে পুলিশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ই-অরেঞ্জ কাণ্ডে বিতর্কিত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে দ্বিতীয় দফা চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

দ্বিতীয় দফার এই চিঠি মঙ্গলবার নয়াদিল্লির এনসিবিকে পাঠানো হবে।

পুলিশ সদরদপ্তর এনসিবির সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা গত ৫ সেপ্টেম্বর সোহেল রানার বিষয়ে নয়াদিল্লির এনসিবিকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা এখনও আমাদের কোনো জবাব দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা এখনও হয়তো সব তথ্য সংগ্রহ করছে। তাই আমরা আজকে আরেকটি চিঠি দিতে যাচ্ছি রিমাইন্ডার হিসেবে।’

চিঠিতে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে মহিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত সোহেল রানার মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। পাশাপাশি তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।’

সোহেলকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এআইজি মহিউল বলেন, ‘আমরা ইন্টারপোল ডিপার্টমেন্ট মূলত বিভিন্ন দেশে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে ওয়ান্টেড আসামিদের নামে রেড অ্যালার্ট জারি করি। আমাদের মাধ্যমে আসামি ফিরিয়ে আনা খুবই জটিল প্রক্রিয়া। ভারতের সাথে যেহেতু বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা খুব সহজেই করতে পারবে।

‘বলা যায় আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাব। বাকিটা মন্ত্রণালয় দেখবে। আমরা ভারত থেকে মামলার বিস্তারিত ও দিকনির্দেশনা পেলে তা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিব’- বলেন তিনি।

সোহেল রানার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে মহিউল বলেন, ‘এটা ভারতের এনসিবি আমাদের জানাবে। সোহেলকে ফিরিয়ে দিতে তাদের যদি রেড অ্যালার্ট প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আমরা তা জারি করব। তবে বন্দি বিনিময় চুক্তির কারণে সম্ভবত রেড অ্যালার্ট জারির প্রয়োজন পড়বে না।’

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর