thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

ফেরিডুবির ঘটনায় সবকটি পণ্যবাহী যান উদ্ধার

২০২১ অক্টোবর ৩১ ০৯:৪০:৩৮
ফেরিডুবির ঘটনায় সবকটি পণ্যবাহী যান উদ্ধার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করার পর হেলে পড়ে রো রো ফেরি শাহ আমানত থেকে ভেসে ও ডুবে যাওয়া সবকটি পণ্যবাহী যান (ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান) উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সবশেষ কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও একটি মোটরসাইকেল নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

শনিবার সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো ডুবে যাওয়া যান উদ্ধারে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রস্তম’। এ দিন সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত তিনটি মোটরসাইকেল এবং দুটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এ নিয়ে চারদিনের অভিযানে মোট ১৪টি পণ্যবাহী যান (ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান) এবং ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার কার্যক্রমের সমন্বয়ক বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, সন্ধ্যায় উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সব বাহিনীর সমন্বয়ে দুর্ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালানো হয়। আর কোনো যানবাহন শনাক্ত করা যায়নি। তবে রাতে এক পুলিশ কনস্টেবল দাবি করেছেন তার একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে না। সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে রবিবার সকালে ফের অভিযান শুরু হবে। সেটি উদ্ধার করা গেলেই যানবাহন উদ্ধার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রস্তম’ যে সক্ষমতা তাতে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি তাদের করণীয় ঠিক করবেন।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান জানান, আমানত শাহ ফেরিটি উদ্ধারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঊর্ধ্বতন সবাই আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

অন্যদিকে শনিবার দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া যানবাহনের চালক ও মালিকরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করার পর হেলে পড়ে রো রো ফেরি শাহ আমানত। এ সময় দু-তিনটি গাড়ি নামতে পারলেও বাকিগুলো পানিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ট ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। প্রথম তিনদিন যানবাহন উদ্ধারে কাজ করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’। চতুর্থদিন যোগ দেয় ‘রস্তম’। এঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩১ অক্টোবর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর