thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

কয়েক শ মানুষ দেখেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা : তথ্যমন্ত্রী

২০২২ জানুয়ারি ০৪ ১৮:৫৪:১৪
কয়েক শ মানুষ দেখেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা : তথ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভিন্ন সমাবেশে হাজার হাজার নয়, কয়েক শ মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

৩২ জেলায় সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগকে জনগণ চায় না’ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো বছরের পর বছর দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে কয়েক শ মানুষ দেখতেই অভ্যস্ত ছিলেন। এখন বিভিন্ন জেলায় তাদের সমাবেশে আমরা দেখেছি তারা মারামারি করে নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করেছেন। বিভিন্ন সমাবেশে হাজার হাজার নয়, কয়েক শ মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে এবং সরকারের সঙ্গে আছে, নির্বাচনে তারা (বিএনপি) সেটি অনুধাবন করতে পারবেন।’

মন্ত্রী এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সঙ্গে বৈঠক করেন।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, টেলিপ্যাবের সভাপতি ইরেশ যাকের, সাধারণ সম্পাদক সাজু মোনতাসের, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, জহির আহমেদ, আনসারুল আলম লিংকন, দপ্তর সম্পাদক এ কে এম নাহিদুল ইসলাম নিয়াজী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বাবলু, আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক মীর ফখরুদ্দীন ছোটন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আইনুল ইসলাম চৌধুরী চঞ্চল এবং সদস্যদের মধ্যে এম রেজাউল করিম সজল, সাদেক সিদ্দিকী, জাকির খান, ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন, রাশেদা আক্তার লাজুক সভায় অংশ নেন। তথ্যমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

নারায়ণগঞ্জে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তৈমূর আলম খন্দকারের বিজয় লাভের কোনো সম্ভাবনা নাই। এটি অনুধাবন করতে পেরে আগেই তাকে বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের যে গ্লানি, সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।’

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার এক বছর আগে। স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছাত্রলীগ দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগের মধ্যে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে বদনাম করতে না পারে। যারা চুন থেকে পান খসলেই কিংবা কিছু হলেই সেটার সঙ্গে ছাত্রলীগে কোনোভাবে একসময় নাম লিখিয়েছিল কিংবা লেখায় নাই, সেই গন্ধ খুঁজে ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা লেপন করার অপচেষ্টা করে, তাদের সেই মানসিকতা পরিহারের অনুরোধ জানাই।

নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপ নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করার জন্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। বিএনপি যে কথাগুলো বলে সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে ক্রমাগতভাবে বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করেনা সেটিই প্রমাণ করছে।

গণমাধ্যমকর্মী আইন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সময় যে কাজটি করা হয়েছিল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটি নিরসন করা প্রয়োজন ছিল। এ আইনে সেটি নিরসন করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মূল বিষয় ঠিক রেখেই অর্থাৎ যে বিষয়গুলো সাংবাদিক সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল সেগুলো ঠিক রেখেই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এরপর কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে এটি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা যায়। সংসদীয় কমিটি চাইলে সেখানে পরিমার্জন, পরিবর্ধন করতে পারেন।’

নাট্য প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, টেলিভিশন এমন একটি গণমাধ্যম যেটি মানুষের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। এজন্য আপনারা যখন কোনো নাটক, টেলিফিল্ম বা অনুষ্ঠান বানাবেন, সেই ক্ষেত্রে দেশ বিনির্মাণ ও উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যটি যেন ভাবনায় থাকে সে অনুরোধ জানাই।

প্রযোজকবৃন্দ নাট্যনির্মাণ ও বিপণন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন। সম্প্রচার মন্ত্রী এসময় বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়ন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম নির্ধারণ, সমগ্র ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু এবং দেশি বিজ্ঞাপনচিত্র বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের ওপর করারোপের মাধ্যমে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি-গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে তার মন্ত্রণালয়ের সফল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ জানুয়ারি, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর