thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১,  ২৬ রবিউল আউয়াল 1446

ফতুল্লায় ইমন হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, দুই নারীর যাবজ্জীবন

২০২২ মার্চ ২০ ১৮:৪৭:১১
ফতুল্লায় ইমন হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, দুই নারীর যাবজ্জীবন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেন হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন আরও চারজন।

আজ রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)।

অন্যদিকে মামলাটিতে খালাস পেয়েছেন, মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ।

মামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় মসজিদের ইমামের বেতন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে তার টুকরো করা লাশ উদ্ধার করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০ মার্চ, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর