thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউস সানি 1446

দেনায় ডুবছে জিল বাংলা, তবুও বেড়েছে শেয়ারদর

২০২২ মার্চ ২৭ ১৮:০৫:০০
দেনায় ডুবছে জিল বাংলা, তবুও বেড়েছে শেয়ারদর

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট : দেশের পুঁজিবাজারের অন্যতম কোম্পানি জিল বাংলা সুগার মিলস । কোম্পানিটি বিগত কয়েক বছর মুনাফার মুখ দেখছে না। প্রতিনিয়ত দেনা বাড়ছে। সম্প্রতি সরকারি এই কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের উপর তদন্ত করে বিষয়টি জানতে পেরেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রন সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেওজেড ক্যাটাগরির এই্ কোম্পানিটির শেয়ারের দর হ্রাস বৃদ্ধি ছিলো অস্বাভাবিক। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে কারসাজি চক্র সক্রিয় থাকে বলেই এধরণের কোম্পানির দরবৃদ্ধি ঘটে থাকে।

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সরকারের সাহায্য ছাড়া কোম্পানিটি চলার মত অবস্থা নেই। বিগত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি আয়ের সংস্থান করতে পারেনি। এমতাবস্থায় বিএসইসি কোম্পানির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। এমনকি কোম্পানিটি পণ্য বানানোর জন্য যে খরচ সেটিও উঠাতে পারেনি।বিগত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি আয়ের মুখ দেখেনি।

বিএসইসি কর্তৃক করা তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয় কোম্পানিটির দায় মালিকানা অনুপাত অর্থ্যাৎ দায়ের সাথে কোম্পানির মালিকানাসত্বের পার্থক্য দেখলে প্রতীয়মান হয় যে কোম্পানিটির দেনার পরিমাণ সম্পদেরচেয়ে অনেক বেশি। ২০২১ সালে কোম্পানিটির দায় মালিকানাসত্ব অনুপাত ছিলো মাইনাস ১ দশমিক ৩৫। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিলো মাইনাস ১ দশমিক ১৮। ২০১৯ সালে ছিলো পজিটিভ ছিলো । দায় মালিকানা সত্ত্ব অনুপাত ছিলো ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১৮ এবং ২০১৭ সালেও নেতিবাচক ছিলো দায় মালিকানাসত্ব অনুপাত। এই দুই বছর ছিলো যথাক্রমে মাইনাস ১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মাইনাস ১ দশমিক ১০ শতাংশ।

বিএসইএসির করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা দেখা গেছে যে কোম্পানিটির কার্যপ্রক্রিয়া সচল রাখাটাই এখন বড় প্রশ্ন । বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ অর্ডিয়ান্স ১৯৬৯এর অনুচ্ছেদ ১১(২) মতে উল্লিখিত বিষয়ে কোম্পানিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যাখাসহ কাগজপত্র দাখিল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়ইস্যু করা এই চিঠিতে।

এই ব্যাপারে কোম্পানি সচিব আব্দুল গফুরের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে কথা না বলে চুপ করে থাকেন সচিব।এরপর ফোন কেটে দেন।

জেড ক্যাটাগরির খাদ্যসামগ্রী খাতের সরকারি এই কোম্পানিটিতে সরকারের শেয়ার সংখ্যা ৫১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীর শেয়ার সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

কয়েকদিন ধরেই দর ওঠানামায় অস্বাভাবিক গতি ছিলো জিলবাংলার শেয়ারের। সপ্তাহের প্রথমদিন গতকাল রোববার( ২৭ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম আগেরদিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৯ টাকায় শেষ হয়।সর্বমোট ৯২ কোটি টাকার শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর আগে ১ ফ্রেব্রুয়ারি এর প্রতিটি শেয়ারদর ছিলো ১১৩.৭০ টাকা। ওই মাসের ১৩ তারিখে শেয়ারদর বেড়ে ১৫২.৭০ টাকায় ওঠে।ফ্রেব্রুয়ারির ২৭ তারিখে এর দর নেমে ১৩১ টাকায় লেনদেন হয়। এরপর দুইবার কমে যেয়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জিল বাংলা সুগার মিলস।

(দ্য রিপোর্ট/ মাহি/ টিআইএম/২৭ মার্চ,২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর