thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

কেপিপিএলের  অস্বাভাবিক আয়-ব্যয় তদন্ত করেছে  ডিএসই 

২০২২ এপ্রিল ০৭ ১৬:১২:৩৫
কেপিপিএলের  অস্বাভাবিক আয়-ব্যয় তদন্ত করেছে  ডিএসই 

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: আনুষঙ্গিক আয় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তদন্তের মুখে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং আ্যন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল)। কোম্পানিটির প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।

২০২১সালের জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই অস্বাভাবিক আয় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তদন্ত করেছে।

তদস্ত শেষে ডিএসইর সিজিএফআরসি বিভাগ থেকে কোম্পানির কাছে আনুষঙ্গিক আয় এবং অফিস ও প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে অবস্থান পরিস্কার করার জন্য বলা হয়।

ডিএসই সুত্রে জানাগেছে, ২০২১সালের ৩১ ডিসেম্বর আয় হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৭ টাকা। এর আগের বছর(২০২০ ) যা ছিলো ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৯ টাকা। ডিএসই পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে কোম্পানিটির অন্যান্য আয় ১৫৮ দশমিক ০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড কমিশনের(বিএসইসি) আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর আনুষঙ্গিক আয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখা দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে কেপিপিএল তা অমান্যকরেছে ।

অন্যদিকে, কোম্পানিটির অফিস ও প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ হাজার ৮৯৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২১সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাব মতে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ৮৭১ টাকা। যা আগের বছর ছিলো ২ কোটি ৫২ লাখ ৮ হাজার ১৯৪ টাকা। যা বেড়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বিএসইসির নিয়মনুযায়ী কোম্পানিকে ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাখা দিতে হয়। কিন্তু কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ের কোন ব্যাখা দেয় নি।

ডিএসইর পাঠানো চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় কোম্পানিটি তার অর্ধবার্ষিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ২৭ অক্টোবর ২০২১তারিখে কোম্পানির হিসাব জব্দের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছে। ব্যাংক হিসাব জব্দের কারণে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। কিন্তু জব্দ হওয়া ব্যাংক হিসেবের কোনো ব্যাখা দেয়নি। জব্দ হওয়া ওই সব ব্যাংক একাউন্টের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়েছে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ।

ডিএসইর এই তদন্ত নিয়ে কথা বলতে কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মিলন খানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সহ কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দের প্রায় দেড় মাস আগেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিলো ১৭ দশমিক ২। যা ব্যাংক হিসাব জব্দ হবার পরদিন নেমে আসে ১১ দশমিক ৪ পয়সায়। এরপর থেকে কমছেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। দুই- একবার বৃদ্ধি পেলেও শেয়ারটির দাম নিম্নমুখীই বলা যায়। বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিলো ৯ টাকা ৫০ পয়সা যা আগের দিনের থেকে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কম। এদিন মাত্র লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ৯.৬০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

২০১৪ সালে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কেপিপিএল ২০২১সালে দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৯সালে করেছিল ১ শতাংশ লভ্যাংশের ঘোষণা।

বি ক্যাটাগরির এই প্রতিষ্ঠানটিতে পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার আছে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। সরকারি এবং বিদেশী কোন বিনিয়োগ নেই কেপিপিএলে।

(দ্য রিপোর্ট / টিআইএম/ মা হা / ৭ এপ্রিল, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর