thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউস সানি 1446

অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায়’ হত্যা, ড্রামে ভরে গুম

২০২২ জুলাই ২৮ ০৯:২৪:৩৬

দ্যরিপোর্ট প্রতিবেদক:গাজীপুরে হোটেলে অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে হত্যার পর ড্রামে লাশ গুম করা হয় বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–পিবিআই জানিয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

মঙ্গলবার রাতভর ময়মনসিংহ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পিবিআই উপ- পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন ময়মনসিংহের গৌরিপুরের পালোহাটির আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান ওরফে সুমন (৪৫), একই জেলার ত্রিশালের ইয়াসিন আলীর ছেলে মো. কামরুল হাসান সবুজ (৩৮) এবং মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির রাউৎভোগ এলাকার মো. আয়নাল ফকিরের ছেলে মো. আমির হোসেন ফকির (৩৩)।

এসআই জামাল উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ খবর পায় যে স্থানীয় বৈশাখী আবাসিক হোটেলে একজন মহিলার লাশ রয়েছে। পরে হোতাপাড়া ফাঁড়ীর পুলিশ এসআই (নিরস্ত্র) মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ আবাসিক হোটেলের নিচ তলায় জেনারেটর রুমে ড্রামের ভিতরে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার (২৫) লাশ উদ্ধার করে।

পরদিন [২০ এপ্রিল] এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

জয়দেবপুর থানা পুলিশ মামলাটি প্রায় ৩ বছর তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে না পারলে আদালতের নির্দেশে মামলাটি গাজীপুর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতভর ময়মনসিংহ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন সকালে তারা গাজীপুর মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসআই জামার উদ্দিন জানান, হোতাপাড়াস্থ বৈশাখী আবাসিক হোটেলে বিভিন্ন মেয়েদের এনে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো। গ্রেপ্তার জিয়াউর, আমির ও কামরুল এবং তাদের সহযোগীরা ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা মহিলা ভিকটিমকে উক্ত হোটেলে রেখে বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করায়। পরবর্তীতে রাত অনুমান ১০টার দিকে গ্রেপ্তার আসামিসহ তাদের সহযোগীরা মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হন। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি বাধা দেন। এরপর তারা মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে রেখে দেয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পরে তারা ওই হোটেলের মালিককে ফোনে জানালে তিনি মেয়েটির লাশ একটি ড্রামের ভিতর ভরে হোটেলের পিছনে খালি জায়গায় মাটির নিচে পুঁতে রাখার জন্য বলেন। পরে লাশটি ড্রামে ভরে হোটেলের পিছনে পুঁতে রাখার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে লোকজন থাকায় তারা লাশটি নিয়ে হোটেলের স্টোর রুমের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর