কাঁচাবাজার থেকে শেয়ারবাজার, সবখানেই সিন্ডিকেট

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: কখনো পুঁজিবাজার কখনো বা কাঁচাবাজার। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি দেশের একাধিক সেক্টর। দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য বলছে কোন কারন ছাড়াই কয়েক মাস ব্যবধানে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম হয়ে যাচ্ছে আকাশচুম্বী। কোন কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম পঞ্চাশ থেকে একশো শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশের কাঁচাবাজারেও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। কখনো ব্রয়লার মুরগি কখনো পেঁয়াজ। আবার কখনো বা চিনি। বর্তমানে চলছে আলুর দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের খেলা। একেক সময় একেক পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগাকারী থেকে বাজারের ক্রেতা সবাই জিম্মি এক কালো সিন্ডিকেটের হাতে। এমনকি সম্প্রতি দুষ্টু এই সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৯ শে আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বিভিন্ন সময়ে মৌসুমী নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এর পেছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করে সেটি নিস্ক্রিয় করতে কী কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার, বিশেষ করে যখন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, এখানে সিন্ডিকেট আছে, এই সিন্ডিকেটে হাত দেয়া যাবে না? হাত দিলে বিপদ আছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "বিপদ আছে কে বলেছে, আমি ঠিক জানি না। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন? বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব তো"। তিনি বলেন, "খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউস ব্যবসা করে। যখনই তারা দাম বাড়ায় আমরা আমদানি করি, বিকল্প ব্যবস্থা করি। যাতে তারা বাধ্য হয় দাম কমাতে। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। কাজেই সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। কত শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না, আমি দেখব কী ব্যবস্থা করা যায়”। যদিও সংবাদ সম্মেলনের পরদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, "মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর প্রায় দেড় ঘণ্টা তার সঙ্গে ছিলাম। কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী"।
একদিকে উর্ধ্বতন মহলের এ ধরনের বক্তব্য অন্যদিকে বাজারে একের পর পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। লাগামছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে দাম। চড়া মূল্যের এ বাজারে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। চলতি সপ্তাহে বেড়েছে সকল সবজির দাম। সংসার কি করে চলবে, সে ভাবনাও ভাবতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে বাজারের যে ধরন দেখা যায় সিন্ডিকেট চক্র একেকবার একেক পণ্য নিয়ে মেতে উঠে দাম বাড়ানোর উৎসবে। সবজির দামে পাশাপাশি বর্তমানে যেমন আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত তিনদিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এর আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাজার অস্থির হয়ে উঠে। ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হয় এক কেজি পেঁয়াজ। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার ঘোষণার পরই দাম বাড়ে পেঁয়াজের। এর কিছুদিন আগে ডিমের দাম নিয়ে অদ্ভুত এক অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। সাধারন মানুষের সবচেয়ে কম খরচে পুস্টিকর খাদ্যের উৎস এই ডিম। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ডিম প্রতি পিস বিক্রি হয় ১৫ টাকা। কোথাও কোথাও আরো বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই ডিম। মরিচের প্রকার ভেদে হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় জুলাই মাসে। সেসময় কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির পেছনে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। সেসময় তিনি বলেছিলেন, "প্রতি বছর বর্ষার সময় মরিচের উৎপাদন কমে, দাম বাড়ে। তাই বলে কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি। তার মানে বাজারে কোনোভাবে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে। সেটার ফলাফল কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। এটি কোনো সভ্যতার লক্ষণ নয়"। এর আগে মার্চ মাসে ব্রয়লার মুরগী ২৫০-২৮০ টাকায়ও বিক্রি হয় যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিনিই "উধাও" হয়ে যায়। সেসময় এক মাসের ব্যবধানে ৮০ টাকার চিনির দাম বাড়িয়ে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠে। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্যের ২০ টাকা বাড়তি দিয়েও বাজারে চিনি না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় ক্রেতাদের। এভাবে গত এক বছর ধরে সিন্ডিকেটের বদ নজর পড়েছে দেশের বাজারে। পেঁয়াজ, রসুন,আদা থেকে শুরু করে ডিম মুরগী কাচা মরিচ বাদ যায়নি কোনোটাই সিন্ডিকেটের হাত থেকে। বাদ যায়নি ডাবও । সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে। সরকারি তথ্যমতে গত ৫ দিনে প্রায় ১০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত মাস দুয়েক ধরেই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে হু হু করে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের রোগীদের চিকিৎসকরা সাধারনত ডাব খাওয়ার পরামর্শ দেন। যার ফলে সাধারন সময়ের তুলনায় ডাবের চাহিদা অনেক বেশি বর্তমানে। এরসাথে যোগ হয়েছে তীব্র গরম। ফলে চাহিদা বেড়েছে অনেকটা। এই সুযোগে ডাবের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটে অসাধু চক্র। একটি ডাব ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগেও। বাদ যাচ্ছেনা সবজির বাজারও। কমপক্ষে ৬০ টাকার নিচে বাজারে বর্তমানে কোন সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর রামপুরা বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, "পরিস্থিতি অনেকটা এমন ১০০০ টাকার একটা নোট নিয়ে বাজারে গেলে তিনজনের পরিবারের ৩ দিনের বাজার করাও সম্ভব হচ্ছেনা"। শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন এক বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার আসিফ ইকরাম। প্রচন্ড আক্ষেপ করে বলেন, "পণ্যের দাম কয়েক দফায় বাড়ার পর বাজারে তদারকি শুরু হয়। তদারকির পরও বাড়তি দামেই বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে। একেক সময় একেক পণ্যের দাম নিয়ে খেলছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরবরাহের দোহাই দিয়ে একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে সপ্তাহ ব্যবধানে বাজার থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। আর আমরা ভোক্তারা অসহায় হয়ে সয়ে যাচ্ছি, সরকারের যথেষ্ট মনিটরিংয়ের অভাবে এমনটি হচ্ছে"।
এদিকে কাঁচাবাজারে যেমন জিম্মি এক সিন্ডিকেটের হাতে পুঁজিবাজারেও এর ব্যতিক্রম না বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। পুঁজিবাজারে অবস্থা এমন ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেনা কিন্তু অচল কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হিমাদ্রি লিমিটেডের শেয়ারের নাম। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৩৫ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৭১৪ টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছয় মাসে ১০৬ গুণ বা ৩ হাজার ৬৭৯ টাকা বেড়েছে। গত জুন মাস থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম একটানা বৃদ্ধি পায়। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের। অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন, বর্তমানে কারসাজি চক্র নিজেদের ইচ্ছামতো বাজার পরিচালনা করছে। যখন ইচ্ছে দাম বাড়ানো যখন ইচ্ছে কমানো। এত বছর পর এসেও বাজার চলছে কারিসাজি চক্রের হাতে, বিনিয়োগকারীদের এরুপ ধারনা অনেকটা হতাশার জন্ম দিচ্ছে। হিমাদ্রির আগে কারসাজি চক্রের হাতে ছিলো সি পার্লের শেয়ার, এমন ধারনা অনেক বিনিয়োগকারীর। সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড হোটেলের শেয়ারের দাম গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৯ই মার্চ এ ছয় মাসে একটানা বেড়ে ৫৭ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় উঠে যায়। তাতে মাত্র ছয় মাসে সি পার্লের শেয়ারের দাম ২৬৩ টাকা বা ছয় গুণ বেড়ে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় পতন। এভাবে কারসাজি চক্র নিজেদের মনমতো একের পর এক শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠে্ এমনটাই মনে করেন অনেক বিনিয়োগকারী। এর আগে জুলাই মাসের শেষের দিকে দাপট দেখায় বিমা খাত। কোন কারন ছাড়াই বীমা খাতের একাধিক কোম্পানির দাম বাড়ে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন ধারনা করেছিলেন সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তাই এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই-আগস্টে বিমা খাতের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ওই সময় বিমা খাতের কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে কয়েক গুণ হয়ে যায়। পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজির ঘটনা বেরিয়ে আসে। কারসাজির সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমা খাতের অধিকাংশ কোম্পানি স্বল্প মূলধনী থাকায় কারসাজিকারীরা এসব শেয়ার বেছে নেন কারসাজির জন্য। কারণ, অল্প শেয়ার কিনে এসব শেয়ারের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো যায়, গত জুন মাসের দিকে উৎপাদন বন্ধ এমন একাধিক কোম্পানির দাম অস্বাভাবিক বাড়ে বৃদ্ধি পায়। খান ব্রাদার্স নামক এক কোম্পানির শেয়ার এক বছরে শেয়ারটির দাম ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে থেকে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে উপড়ে উঠে এলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি উৎপাদনেই নেই। রপ্তানিমুখী ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ করে ওই কারখানায় এখন ভাড়ায় অন্য কোম্পানির জন্য পণ্য উৎপাদনের কাজ করছে। কারখানা বন্ধ থাকলেও বাজারে শেয়ারের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ঢাকার বাজারে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকে বেশির ভাগই মাঝারি মানের বি শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। আর থাকে কয়েকটি কোম্পানি দুর্বল মৌল ভিত্তির জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে মাঝারি ও দুর্বল মানের কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো সহজ। কিন্তু এসব কোম্পানির হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ থাকে কম। এ কারণে দ্রুত দাম বাড়লেও খুব বেশি লেনদেন হয় না। এজন্য দেখা যাচ্ছে ভালো মুনাফা দেওয়া কোম্পানিগুলো ভালো দাম পাচ্ছেনা। বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিকতা। কোম্পানি গবেষণা করে যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করে তাঁরা ভালো দাম না পেয়ে বাজার ছেড়ে দিচ্ছেন। গত চার মাসে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেবর) বিও একাউন্টের সংখ্যা হচ্ছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮২ টি। যা চার মাস আগে জুন মাসের ৫ তারিখ ছিল ছিলো ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৭টি। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, "জুয়ারীদের বিচার নিশ্চিত করা না গেলে বিনিয়োগকারী ফিরবেনা বাজারে। দুইদিন ভালো যাবে আবার আগের অবস্থায় ফিরবে বাজার। এটি এখন নিয়ম হয়ে গেছে"। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "পুঁজিবাজার আগের অবস্থায় ফেরাতে হলে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হলে অবশ্যই সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে"। এদিকে কাঁচাবাজার থেকে পুঁজিবাজার সর জায়গায় সিন্ডিকেটবাজ বা কারসাজি চক্রের কালো হাত। এ থেকে উত্তরনে উপায় একমাত্র দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলে। অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে কখনই এ ধরনের অপরাধ দমন করাযাবেনা।এব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, "আমরা অসংখ্য তথ্যানুসন্ধান এবং তদন্ত করি। এই কার্যক্রম যথেস্ট সময় সাপেক্ষ। অনুসন্ধান রিপোর্ট মোতাবেক অনেক ধরনের অসংখ্য শাস্তি দেই"। তিনি আরো বলেন,"আমরা চেস্টা করি এসব অভিযোগ ও শাস্তির অপ্রয়োজনীয় প্রচার না করতে। শাস্তির অভিযোগ আমলে নেয়ার মাত্রা আমরা ক্রমাগত বৃ্দ্ধি করছি। অনিয়মের বিস্তার রোধকল্পে শাস্তির মাত্রা প্রতিনিয়ত তীব্রতর হচ্ছে"। অনিয়মের বিরুদ্ধে আরো দ্রুত ও কার্যকর ভুমিকা রাখার জন্য "অনুসন্ধান এবং তদন্ত বিভাগ" নামে আমরা অধুনা একটি বিশেষ বিভাগ সৃস্টি করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন, এমনটাই জানান বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান। তিনি বলেন, সমস্যা অনেক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছিলো আবার কমে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য একটাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আবার কমে যায় যা আমাদের দেশে কমে না। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে বাজার নিয়ন্ত্রণে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে নেই কোন সুখবর। ন্যূনতম ৬০ থেকে ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। সেই সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রশুন, আদা। চাল, আটা, ময়দা উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও ডাল ও আলু কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। দেশী মাছের পাশাপাশি অস্বাভাবিক দাম ইলিশের। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী হবার আহবান ক্রেতাদের।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ৬০ টাকায় মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটল আর ঢেঁড়শ মিলছে। অন্যান্য সবজির কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। আলুর কেজি ৪৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০, গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আর ফুলকপি বাঁধাকপির পিস ৫০-৬০ টাকা। মরিচ ও রসুনের দাম কিছুটা কমলেও ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে মসুরের ডালের কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। অপরিবর্তিত চাল-ডাল, আটা-ময়দার দাম। গরু,খাসি মাংস আগের দামে থাকলেও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৯০, সোনালী ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, আর দেশি মুরগির কেজি ৫২০ টাকা।
(দ্য রিপোর্ট/ মাহা/ দশ সেপ্টেম্বর দুই হাজার তেইশ)
পাঠকের মতামত:

- নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৭ শতাধিক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা
- ব্রিফকেসবিহীন বাজেট যেসব কারণে ব্যতিক্রম
- ধ্বংসপ্রাপ্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে কার্যক্রম চলমান: অর্থ উপদেষ্টা
- জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর-এপ্রিলে নির্বাচন চায় জামায়াত
- ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
- সারা দেশে ২৫২ বিচারককে একযোগে বদলি
- কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: টিআইবি
- বাজেটের টাকা আসবে কোথা থেকে, যাবে কোথায়
- একনজরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট
- নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- বৃষ্টির পরেও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীলদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
- ট্রেনে ফিরতি যাত্রা : আজ বিক্রি হবে ১২ জুনের টিকিট
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৫৪ হাজার ৪০০
- প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
- ডিএসসিসি বোর্ডের মেয়াদ শেষ, ইশরাকের শপথে অনিশ্চয়তা
- ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ
- মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল
- নতুন ৩ ডিপোজিট প্রডাক্ট এনেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এজিএম ১৪ আগস্ট
- সমন্বয় বাড়িয়ে আর্থিক বিবরণীর মানোন্নয়নে ৩ সংস্থাকে দিকনির্দেশনা
- গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি, নিহত ৩১
- বাংলাদেশ দলকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট
- ভূমিধসের শঙ্কা, লামায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
- উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে : হাফিজ
- নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলো : জামায়াত আমির
- হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলে যা বলল প্রসিকিউশন
- অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- নির্বাচন আগেও হতে পারে, ৩০ জুনের পরে যাবে না: প্রেস সচিব
- দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এলো মে মাসে
- যে শর্তে মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিল হামাস
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৭১ শতাংশ
- সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ, বলছেন রহমত মিয়া
- শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে: প্রসিকিউটর
- জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই: শফিকুর রহমান
- দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি
- নির্বাচন নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা যাবে না: মির্জা আব্বাস
- বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এবারের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না: দেবপ্রিয়
- আইসিসির হস্তক্ষেপের আশায় আছেন ফারুক
- নতুন কাউন্সিলর বুলবুল, অনুমোদন দিল বিসিবি
- ইসরাইলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থুনবার্গ
- ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ
- জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
- দুর্বল হয়েছে গভীর নিম্নচাপ
- জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধা
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- দাম বেড়েছে সবজির, মুরগিতে স্বস্তি
- বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে: ড. আনিসুজ্জামান
- সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২ জুন
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- উপকূলীয় ১৬ জেলায় ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
- ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- "খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব, এই হোক অঙ্গীকার"
- বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ড. আনিসুজ্জামানের বৈঠক আজ
- সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
- আবারো বিসিবি সভাপতি বদলের জোর গুঞ্জন
- অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচনের রোডম্যাপ না পেয়ে ‘হতাশ’ বিএনপি
- পুতিন ‘আগুন’ নিয়ে খেলছেন: ট্রাম্প
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- আপিল মঞ্জুর, জামায়াত নেতা আজহার খালাস
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- ঈদযাত্রার শেষ দিনের টিকিট বিক্রি আজ
- ইসরাইলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থুনবার্গ
- সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
- দুর্বল হয়েছে গভীর নিম্নচাপ
- চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
- পুতিন ‘আগুন’ নিয়ে খেলছেন: ট্রাম্প
- ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
- ইশরাকের শপথ: সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ
অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর
অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর
