কাঁচাবাজার থেকে শেয়ারবাজার, সবখানেই সিন্ডিকেট
মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: কখনো পুঁজিবাজার কখনো বা কাঁচাবাজার। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি দেশের একাধিক সেক্টর। দেশের অন্যতম পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য বলছে কোন কারন ছাড়াই কয়েক মাস ব্যবধানে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম হয়ে যাচ্ছে আকাশচুম্বী। কোন কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম পঞ্চাশ থেকে একশো শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশের কাঁচাবাজারেও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। কখনো ব্রয়লার মুরগি কখনো পেঁয়াজ। আবার কখনো বা চিনি। বর্তমানে চলছে আলুর দাম নিয়ে সিন্ডিকেটের খেলা। একেক সময় একেক পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগাকারী থেকে বাজারের ক্রেতা সবাই জিম্মি এক কালো সিন্ডিকেটের হাতে। এমনকি সম্প্রতি দুষ্টু এই সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৯ শে আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বিভিন্ন সময়ে মৌসুমী নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এর পেছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করে সেটি নিস্ক্রিয় করতে কী কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার, বিশেষ করে যখন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, এখানে সিন্ডিকেট আছে, এই সিন্ডিকেটে হাত দেয়া যাবে না? হাত দিলে বিপদ আছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "বিপদ আছে কে বলেছে, আমি ঠিক জানি না। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন? বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব তো"। তিনি বলেন, "খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউস ব্যবসা করে। যখনই তারা দাম বাড়ায় আমরা আমদানি করি, বিকল্প ব্যবস্থা করি। যাতে তারা বাধ্য হয় দাম কমাতে। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। কাজেই সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। কত শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না, আমি দেখব কী ব্যবস্থা করা যায়”। যদিও সংবাদ সম্মেলনের পরদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, "মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর প্রায় দেড় ঘণ্টা তার সঙ্গে ছিলাম। কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী"।
একদিকে উর্ধ্বতন মহলের এ ধরনের বক্তব্য অন্যদিকে বাজারে একের পর পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। লাগামছাড়া নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে দাম। চড়া মূল্যের এ বাজারে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। চলতি সপ্তাহে বেড়েছে সকল সবজির দাম। সংসার কি করে চলবে, সে ভাবনাও ভাবতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে বাজারের যে ধরন দেখা যায় সিন্ডিকেট চক্র একেকবার একেক পণ্য নিয়ে মেতে উঠে দাম বাড়ানোর উৎসবে। সবজির দামে পাশাপাশি বর্তমানে যেমন আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত তিনদিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এর আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাজার অস্থির হয়ে উঠে। ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হয় এক কেজি পেঁয়াজ। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার ঘোষণার পরই দাম বাড়ে পেঁয়াজের। এর কিছুদিন আগে ডিমের দাম নিয়ে অদ্ভুত এক অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। সাধারন মানুষের সবচেয়ে কম খরচে পুস্টিকর খাদ্যের উৎস এই ডিম। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ডিম প্রতি পিস বিক্রি হয় ১৫ টাকা। কোথাও কোথাও আরো বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই ডিম। মরিচের প্রকার ভেদে হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় জুলাই মাসে। সেসময় কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির পেছনে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। সেসময় তিনি বলেছিলেন, "প্রতি বছর বর্ষার সময় মরিচের উৎপাদন কমে, দাম বাড়ে। তাই বলে কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি। তার মানে বাজারে কোনোভাবে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে। সেটার ফলাফল কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। এটি কোনো সভ্যতার লক্ষণ নয়"। এর আগে মার্চ মাসে ব্রয়লার মুরগী ২৫০-২৮০ টাকায়ও বিক্রি হয় যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিনিই "উধাও" হয়ে যায়। সেসময় এক মাসের ব্যবধানে ৮০ টাকার চিনির দাম বাড়িয়ে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠে। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্যের ২০ টাকা বাড়তি দিয়েও বাজারে চিনি না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় ক্রেতাদের। এভাবে গত এক বছর ধরে সিন্ডিকেটের বদ নজর পড়েছে দেশের বাজারে। পেঁয়াজ, রসুন,আদা থেকে শুরু করে ডিম মুরগী কাচা মরিচ বাদ যায়নি কোনোটাই সিন্ডিকেটের হাত থেকে। বাদ যায়নি ডাবও । সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে। সরকারি তথ্যমতে গত ৫ দিনে প্রায় ১০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত মাস দুয়েক ধরেই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে হু হু করে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের রোগীদের চিকিৎসকরা সাধারনত ডাব খাওয়ার পরামর্শ দেন। যার ফলে সাধারন সময়ের তুলনায় ডাবের চাহিদা অনেক বেশি বর্তমানে। এরসাথে যোগ হয়েছে তীব্র গরম। ফলে চাহিদা বেড়েছে অনেকটা। এই সুযোগে ডাবের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটে অসাধু চক্র। একটি ডাব ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগেও। বাদ যাচ্ছেনা সবজির বাজারও। কমপক্ষে ৬০ টাকার নিচে বাজারে বর্তমানে কোন সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর রামপুরা বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, "পরিস্থিতি অনেকটা এমন ১০০০ টাকার একটা নোট নিয়ে বাজারে গেলে তিনজনের পরিবারের ৩ দিনের বাজার করাও সম্ভব হচ্ছেনা"। শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন এক বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার আসিফ ইকরাম। প্রচন্ড আক্ষেপ করে বলেন, "পণ্যের দাম কয়েক দফায় বাড়ার পর বাজারে তদারকি শুরু হয়। তদারকির পরও বাড়তি দামেই বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে। একেক সময় একেক পণ্যের দাম নিয়ে খেলছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরবরাহের দোহাই দিয়ে একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে সপ্তাহ ব্যবধানে বাজার থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। আর আমরা ভোক্তারা অসহায় হয়ে সয়ে যাচ্ছি, সরকারের যথেষ্ট মনিটরিংয়ের অভাবে এমনটি হচ্ছে"।
এদিকে কাঁচাবাজারে যেমন জিম্মি এক সিন্ডিকেটের হাতে পুঁজিবাজারেও এর ব্যতিক্রম না বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। পুঁজিবাজারে অবস্থা এমন ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেনা কিন্তু অচল কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হিমাদ্রি লিমিটেডের শেয়ারের নাম। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৩৫ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৭১৪ টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছয় মাসে ১০৬ গুণ বা ৩ হাজার ৬৭৯ টাকা বেড়েছে। গত জুন মাস থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম একটানা বৃদ্ধি পায়। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের। অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন, বর্তমানে কারসাজি চক্র নিজেদের ইচ্ছামতো বাজার পরিচালনা করছে। যখন ইচ্ছে দাম বাড়ানো যখন ইচ্ছে কমানো। এত বছর পর এসেও বাজার চলছে কারিসাজি চক্রের হাতে, বিনিয়োগকারীদের এরুপ ধারনা অনেকটা হতাশার জন্ম দিচ্ছে। হিমাদ্রির আগে কারসাজি চক্রের হাতে ছিলো সি পার্লের শেয়ার, এমন ধারনা অনেক বিনিয়োগকারীর। সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড হোটেলের শেয়ারের দাম গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৯ই মার্চ এ ছয় মাসে একটানা বেড়ে ৫৭ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় উঠে যায়। তাতে মাত্র ছয় মাসে সি পার্লের শেয়ারের দাম ২৬৩ টাকা বা ছয় গুণ বেড়ে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় পতন। এভাবে কারসাজি চক্র নিজেদের মনমতো একের পর এক শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠে্ এমনটাই মনে করেন অনেক বিনিয়োগকারী। এর আগে জুলাই মাসের শেষের দিকে দাপট দেখায় বিমা খাত। কোন কারন ছাড়াই বীমা খাতের একাধিক কোম্পানির দাম বাড়ে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন ধারনা করেছিলেন সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তাই এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই-আগস্টে বিমা খাতের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ওই সময় বিমা খাতের কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে কয়েক গুণ হয়ে যায়। পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজির ঘটনা বেরিয়ে আসে। কারসাজির সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিমা খাতের অধিকাংশ কোম্পানি স্বল্প মূলধনী থাকায় কারসাজিকারীরা এসব শেয়ার বেছে নেন কারসাজির জন্য। কারণ, অল্প শেয়ার কিনে এসব শেয়ারের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো যায়, গত জুন মাসের দিকে উৎপাদন বন্ধ এমন একাধিক কোম্পানির দাম অস্বাভাবিক বাড়ে বৃদ্ধি পায়। খান ব্রাদার্স নামক এক কোম্পানির শেয়ার এক বছরে শেয়ারটির দাম ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে থেকে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে উপড়ে উঠে এলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি উৎপাদনেই নেই। রপ্তানিমুখী ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ করে ওই কারখানায় এখন ভাড়ায় অন্য কোম্পানির জন্য পণ্য উৎপাদনের কাজ করছে। কারখানা বন্ধ থাকলেও বাজারে শেয়ারের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ঢাকার বাজারে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকে বেশির ভাগই মাঝারি মানের বি শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। আর থাকে কয়েকটি কোম্পানি দুর্বল মৌল ভিত্তির জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে মাঝারি ও দুর্বল মানের কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো সহজ। কিন্তু এসব কোম্পানির হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ থাকে কম। এ কারণে দ্রুত দাম বাড়লেও খুব বেশি লেনদেন হয় না। এজন্য দেখা যাচ্ছে ভালো মুনাফা দেওয়া কোম্পানিগুলো ভালো দাম পাচ্ছেনা। বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাভাবিকতা। কোম্পানি গবেষণা করে যেসব বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করে তাঁরা ভালো দাম না পেয়ে বাজার ছেড়ে দিচ্ছেন। গত চার মাসে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেবর) বিও একাউন্টের সংখ্যা হচ্ছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮২ টি। যা চার মাস আগে জুন মাসের ৫ তারিখ ছিল ছিলো ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৭টি। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, "জুয়ারীদের বিচার নিশ্চিত করা না গেলে বিনিয়োগকারী ফিরবেনা বাজারে। দুইদিন ভালো যাবে আবার আগের অবস্থায় ফিরবে বাজার। এটি এখন নিয়ম হয়ে গেছে"। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "পুঁজিবাজার আগের অবস্থায় ফেরাতে হলে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হলে অবশ্যই সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে"। এদিকে কাঁচাবাজার থেকে পুঁজিবাজার সর জায়গায় সিন্ডিকেটবাজ বা কারসাজি চক্রের কালো হাত। এ থেকে উত্তরনে উপায় একমাত্র দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলে। অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে কখনই এ ধরনের অপরাধ দমন করাযাবেনা।এব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, "আমরা অসংখ্য তথ্যানুসন্ধান এবং তদন্ত করি। এই কার্যক্রম যথেস্ট সময় সাপেক্ষ। অনুসন্ধান রিপোর্ট মোতাবেক অনেক ধরনের অসংখ্য শাস্তি দেই"। তিনি আরো বলেন,"আমরা চেস্টা করি এসব অভিযোগ ও শাস্তির অপ্রয়োজনীয় প্রচার না করতে। শাস্তির অভিযোগ আমলে নেয়ার মাত্রা আমরা ক্রমাগত বৃ্দ্ধি করছি। অনিয়মের বিস্তার রোধকল্পে শাস্তির মাত্রা প্রতিনিয়ত তীব্রতর হচ্ছে"। অনিয়মের বিরুদ্ধে আরো দ্রুত ও কার্যকর ভুমিকা রাখার জন্য "অনুসন্ধান এবং তদন্ত বিভাগ" নামে আমরা অধুনা একটি বিশেষ বিভাগ সৃস্টি করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন, এমনটাই জানান বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান। তিনি বলেন, সমস্যা অনেক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছিলো আবার কমে গেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য একটাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আবার কমে যায় যা আমাদের দেশে কমে না। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে বাজার নিয়ন্ত্রণে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে নেই কোন সুখবর। ন্যূনতম ৬০ থেকে ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। সেই সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রশুন, আদা। চাল, আটা, ময়দা উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও ডাল ও আলু কিনতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। দেশী মাছের পাশাপাশি অস্বাভাবিক দাম ইলিশের। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী হবার আহবান ক্রেতাদের।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ৬০ টাকায় মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটল আর ঢেঁড়শ মিলছে। অন্যান্য সবজির কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। আলুর কেজি ৪৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০, গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আর ফুলকপি বাঁধাকপির পিস ৫০-৬০ টাকা। মরিচ ও রসুনের দাম কিছুটা কমলেও ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে মসুরের ডালের কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। অপরিবর্তিত চাল-ডাল, আটা-ময়দার দাম। গরু,খাসি মাংস আগের দামে থাকলেও বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৯০, সোনালী ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, আর দেশি মুরগির কেজি ৫২০ টাকা।
(দ্য রিপোর্ট/ মাহা/ দশ সেপ্টেম্বর দুই হাজার তেইশ)
পাঠকের মতামত:
- ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, বেশি লালবাগ-তেজগাঁওয়ে
- তালাকের আবেদন আসাদের স্ত্রীর, অস্বীকার ক্রেমলিনের
- আতশবাজি ও রাহাতের সুরের মূর্ছনায় শুরু বিপিএল উন্মাদনা
- কমোডিটি ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: বিএসইসি
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- "মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ"
- ২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
- "চেতনার কথা বলে বাংলাদেশকে অন্য দেশের কাছে ইজারা দিয়েছিল হাসিনা"
- আসুন বিভেদ ভুলে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি: মির্জা ফখরুল
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য’
- ঢাকার চিঠি পেয়েছে দিল্লি, নিশ্চিত করলেন মুখপাত্র জয়সওয়াল
- মিনিস্টারের ‘কোটিপতি হোন’ অফারে লাখপতি হলেন জামালপুরের হাবিবুর রহমান
- দেশব্যাপী গ্রাহকসেবা সপ্তাহ শুরু করলো ওয়ালটন
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
- ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অর্ধকোটি গ্রাহকের মাইলফলক
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নবম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু বৃহস্পতিবার
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নতুন এএমডি রাফাত উল্লা খান
- ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড - ২০২৪” অর্জন
- এমডি অব দ্য ইয়ার হলেন ওয়ালটনের এস এম মাহবুবুল আলম
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪১১তম সভা অনুষ্ঠিত
- ব্রাজিলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
- চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
- দেশের দীর্ঘতম ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা’র নিবন্ধন শুরু
- ভারত ইস্যুতে কথা বলাতেই ছাত্রলীগ আমার ওপর হামলা করে: নুর
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- ২১ দিনেই প্রবাসী আয় এলো ২৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা
- বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ প্রকল্প
- উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১৪৫৬ আগ্নেয়াস্ত্র, নিরাপত্তায় বড় হুমকি
- না ফেরার দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত, বিকেলে জানাজা
- হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের দিকে তাকিয়ে ইউজিসি
- কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ইয়েমেনে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি
- আগে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
- তিন বিভাগে বৃষ্টি, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
- এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছুঁই ছুঁই
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
- অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক রাখতে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বানাবে মহারাষ্ট্র
- সাকিব-তামিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’: বিসিবি সভাপতি
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কোনো সুযোগ আর নেই: সাকি
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত ও তথ্য
- জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে হবে না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
- চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত
- সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- চাল-মুরগির দাম বাড়তি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো কম
- বেনাপোল সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে মিলল তিন মরদেহ
- ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টি বাধা, ভেসে গেল ব্রিসবেন টেস্ট
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না : অর্থ উপদেষ্টা
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও কথা রেখেনি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার