মার্জিন ঋণ: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: মার্জিন ঋণ, পুঁজিবাজারের আলোচিত এক পদ্ধতি। বিভিন্ন সময় পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় মার্জিন ঋণ গ্রহণ করে নিঃস্ব হয়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী। ধারণকৃত শেয়ারের বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন বিও একাউন্ট ধারীরা। এরপর যখন দর পতন শুরু হয়, ব্রোকাররা নিজেদের টাকা তুলে নিতে মার্জিন অ্যাকাউন্টের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে দেন। জোরপূর্বক বলা হলেও আগে থেকে চুক্তিবদ্ধ হন বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার যা আইনসিদ্ধ । তাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করার বিধি সংযুক্ত থাকে। ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের দরপতন হলেই ঋনের টাকা উঠিয়ে নিতে ব্রোকাররা শুরু করেন ফোর্স সেল। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উভয় পক্ষকেই নিঃস্ব করছে মার্জিন ঋণ। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাজারের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেধে দেওয়া মার্জিন ঋণের হার ১ : ০.৮। এর অর্থ হলো কোনো গ্রাহকের ১০০ টাকা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আরও ৮০ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। যদিও বর্তমানে এই মাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহনীয়। কিন্তু ২০১০ সালে গ্রাহকের বিনিয়োগের বিপরীতে দশগুণ পর্যন্ত ঋণ দিয়েছিল বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, যা ছিলো নিয়ম বহির্ভূত। সেসময়েমার্জিন ঋণের হার ১ :২ ছিলো।
ধরা যাক, এ ক্যাটাগরির এক্স কোম্পানির ১০০ টাকা দরের শেয়ার কিনতে ৮০ টাকা ঋণ গ্রহণ করলেন করিম নামক বিনিযোগকারী। প্রতিটি শেয়ারের ক্রয় মূল্য ১০ টাকা করে। মোট ১৮০ টাকায় ১৮টি শেয়ার কিনলেন। যদি শেয়ারটির দর ৫ টাকার নিচে নেমে আসে তখন শেয়ারের মোট শেয়ারের দর ৯০ টাকার নিচে নেমে আসবে। ৪ টাকায় নেমে আসলে দর দাঁড়ায় ৭২ টাকায়। ব্রোকাররা ৫ টাকার নিচে বা ৯০ টাকার নিচে দর নামার আগেই শেয়ার বিক্রি করে দেন। নিজের দেওয়া ঋণের ৮০ টাকা তুলে নেন। সুদের টাকা বিনিয়োগকারীর কাধে চাপে। বিনিয়োগকারীর পুরো টাকা খোয়া যায়।
এভাবেই বছরের পর বছর মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে পুঁজিবাজার পরিস্থিতিতে মার্জিন ঋণ একাধিক কারণে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। মার্জিন ঋণের কবলে পড়ে এখন দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্জিন ঋণে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা আছে বিশাল অস্বস্তিতে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সড সেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে লেনদেন না হলে সুদের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
বেশ কয়েকমাস পুঁজিবাজার ছিলো নিম্নমুখী। এজন্য ফ্লোর প্রাইস থাকায় চাইলেও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে করে শেয়ারের মূল্য কমছে বাজারে পতন থাকায়। পাশাপাশি বাড়ছে সুদের পরিমান। বর্তমানে নতুন মুদ্রানীতির কারণে এঋণের সুদের হারও বেড়েছে এখন অতিরিক্ত ২থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদগুনতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের । ফলে তাদের মার্জিন ঋণের বোঝা আরও ভারী হচ্ছে। বর্তমানে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ সুদ গুণতে হচ্ছে মার্জিন ঋণের। অর্থ্যাৎকোন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই তাঁকে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে যেসব কোম্পানির মুনাফা ১৫ বা ১৭ শতাংশের বেশি।
যেমন ধরা যাক পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতের কোম্পানি বঙ্গজ বিস্কুট। কোম্পানিটি ২০১৯ থেকে ২০২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫% মুনাফা দিয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৫%। ২০২১ সালে ৩% এবং ২০২২ সালে দিয়েছে ৪% মুনাফা। অর্থ্যাৎ, কোন বিনিয়োগকারী বঙ্গজের শেয়ারে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে কখনোই লাভবান হবেন না। এছাড়া অতীতে ইতিহাস বলছে, বাজার চাঙ্গা হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার ও ডিলারদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ধরনই হচ্ছে কিছুদিন ভালো থাকলে কিছুদিন টানা পতন চলবে। যার ফলে বাজার ভালো থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে করতে বাজার পতনের মুখে পড়ে। সুদের চাপের পাশাপাশি দর পতনের ধাক্কা-দুই দিকেই ক্ষতির মুখে পড়ে যান বিনিয়োগকারীরা। জানা যায়, শেয়ারবাজারে লেনদেন করছে-বতর্মানে এমন ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা ২৪০টি। এর মধ্যে গ্রাহককে মার্জিন ঋণ দিয়েছে-এমন হাউজের সংখ্যা ১০০টির মতো।
অতীতের দুই পতনের সময় মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছে হাজারো বিনিয়োগকারী। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের টাকা ফেরত পায়নি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোও। দর পতন হলেই মার্জিন ঋণ দেওয়া ব্রোকার হাউজ গুলো শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়। ফোর্সড সেলে ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারী। যদিও এই ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোও তেমন কিছু দায় নেই। তারা তাদের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে শেয়ার বিক্রি করবেই। এছাড়া সুদের হার বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা নীতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, “ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের সীমা থেকে সরে আসে। যার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়েছে। মার্জিন ঋণের টাকা ব্যাংক থেকে লোন করে আনা হয়। ফলে ব্যাংকের সুদ হার বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হবেই।“
মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা জানতে চাইলে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, “বাজারে মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা বলা আসলে জানা কঠিন কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমরা এমন কোন তথ্য পাইনা।“ তিনি আরো জানান,"২০১০ সালের ধসের সময় একাধিক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক লোকসান গুণেছে। ব্যাংক থেকে ধার করে এনে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন দিয়েছে। পরে ধসের মুখে পড়ায় সেই টাকা আর ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। বরবারই পুঁজিবাজারের পতন হলে মার্জিন ঋণ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। বিনিয়োগকারিদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হবার অন্যতম কারন মার্জিন ঋণ এমন আলোচনা আগেও শোনা গেছে । যা এখনো চলমান আছে মার্জিন ঋনের প্রচলন। যদিও বিনিয়োগকারিরা কিছুটা সচেতন হবার কারনে মার্জিন ঋণের প্রতি আগ্রহ কমেছে । ২০১০ সালের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনেওপুঁজিবাজারে ধসের পেছনে মার্জিন ঋণকে দায়ী করা হয়।সেখানে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ পরিহারের সুপারিশও করা হয়। পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋনের অংকটা কতো? এই সংখ্যাটা কেও যথাযথ বলতে পারেনি। তবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাক্তি জানান সংখ্যাটা ১৫ হাজার কোটির বেশি। অর্থনীতিবীদরা মনে করেন বাংলাদেশের মতো দেশে মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসায় না করাই ভালো। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, "পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঋণ যত কম হবে তত ভালো। যেকোন ব্যবসায়ীক কার্যক্রমেই ঋণ যত কম তত ঝুঁকি কম। অতীতে দেখা গিয়েছে ঋণ বা লোন করে যারা এই ব্যবসায় করা তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ সবচেয়ে বেশি। ঋণের বাইরে থাকা বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি সম্পূর্ণভাবে হারায় না। ফলে ঋণের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত"।
মার্জিন নিয়ে অতীতে নানা সমস্যায় পড়লেও বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ফ্লোর প্রাইস। রাজধানীর মতিঝিলে এক ব্রোকারেজ হাউজে এ্ প্রতিবেদকের কথা হয় আলী ইমাম নামে এক বিনিয়োগারীর সাথে। লেনদেন করছেন প্রায় ১৫ বছর। তিনি বললেন, বর্তমানে ৩ লাখ টাকার মতো মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসের মন্দা বাজার। আবার সাথে ফ্লোর প্রাইস। চাইলেও বের হতে পারেন নি। যার ফলে নিজের সঞ্চয় থেকে এখন দিবেন মার্জিন ঋণের সুদের টাকা। একেতো শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাথে যুক্ত হয়েছে মার্জিন ঋণের সুদ। এভাবে শুধু আলী ইমাম নয় অনেক বিনিয়োগকারী ভালো মৌল ভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করেও গত এক বছরে ফ্লোর প্রাইস ও উদ্ভূত অর্থনৈতিক নানা সংকটের কারণে শেয়ার বেচাকেনা করতে পারেন নি। ফলে সুদের অর্থ গূনতে হবে নিজের পকেট থেকে। মার্জিন ঋণের বিপাকে আরেক বিনিয়োগকারী আকরামুল হক। লোভে পড়ে আসল ও মুনাফার টাকার সঙ্গে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বাজার নেমে যাওয়ায় বাজার ধসে ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ নেমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখে। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা হাওয়া। এমন হাজারো বিনিয়োগকারী রয়েছে বাজারে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সব হারিয়ে বসে আছেন। দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন "মার্জিন ঋণের ২০১০ সালের আমাদের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ২০১০ সালের ধাক্কা সামাল দিতে আমরা এখনো পারিনি। গত বছর খানেক আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় আমাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে করুন অবস্থা তা ২০১০ সালের ফসল।" তিনি আরো বলেন, "মার্জিন ঋণ আমাদের ব্যবসায় আমাদের দেয়া ঋণের টাকা উঠাতে ফোর্সসেল আমাদের করতেই হবে।"
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, "মার্জিন ঋণে সুবিধা থাকলেও ক্ষতির দিকটা অনেক। হ্যাঁ, এটা ঠিক মার্জিন ঋণের কারণে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীর পুরো বিনিয়োগ নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো নিজেদের অর্থ তুলতে বিনিয়োগকারীকে চাপে রাখে। যেটা অনেক বছর ধরে হয়ে আসছে"।
ফ্লোর প্রাইসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। এভাবে কৃত্তিমতা দিয়ে বাজার চলতে পারেনা।" তিনি বলেন , “ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে। বাজারে লেনদেন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের সুদের পরিমান বাড়ছে।“ ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার পক্ষে এই পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ। তবে আরেক পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, “ফ্লোর প্রাইস থাকায় বাজার ফ্রিজ হয়ে আছে। সুদ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের এটা ঠিক। তবে বাজারে তো পতন ঘটছে না বড় রকমের। তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসে ঠেকেছে বাজারের পতন। তাঁর আশঙ্কা , ফ্লোরপ্রাইস এই মুহূর্তে তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সসেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, "নানা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই মুহুর্তে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে ভাবতে পারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন। মওকুফ না করলেও যাদের শেয়ার ফ্লোরে রয়েছে তাঁদের ছাড় দিতে পারে বিএসইসি"। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ৭১ এ এক অনুষ্ঠানেবাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান জানান, "২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের সময় ফোর্সসেল বন্ধ করায় পুঁজিবাজারের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রায় এক লাখ কোটি টাকাআ আটকে আছে এখনো"।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ারবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের প্রায় ১৭১ কোটি টাকার সুদ মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছিলো।
এদিকে ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানাগেছে,গত কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজার মিশ্র অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩.৭৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৩৫কোটি৭০ লাখটাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩২০ কোটি ৬৬লাখটাকার বা ১৩.৭৩শতাংশ লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধান ৭দশমিক ৬৩পয়েন্ট বা দশমিক ১২শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ। এসময় ডিএসইতে মোট ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৯টির।
(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/ মাহা/ পনের অক্টোবর দুই হাজার তেইশ)
পাঠকের মতামত:

- নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৭ শতাধিক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা
- ব্রিফকেসবিহীন বাজেট যেসব কারণে ব্যতিক্রম
- ধ্বংসপ্রাপ্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে কার্যক্রম চলমান: অর্থ উপদেষ্টা
- জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর-এপ্রিলে নির্বাচন চায় জামায়াত
- ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
- সারা দেশে ২৫২ বিচারককে একযোগে বদলি
- কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: টিআইবি
- বাজেটের টাকা আসবে কোথা থেকে, যাবে কোথায়
- একনজরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট
- নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- বৃষ্টির পরেও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীলদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
- ট্রেনে ফিরতি যাত্রা : আজ বিক্রি হবে ১২ জুনের টিকিট
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৫৪ হাজার ৪০০
- প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
- ডিএসসিসি বোর্ডের মেয়াদ শেষ, ইশরাকের শপথে অনিশ্চয়তা
- ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ
- মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল
- নতুন ৩ ডিপোজিট প্রডাক্ট এনেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এজিএম ১৪ আগস্ট
- সমন্বয় বাড়িয়ে আর্থিক বিবরণীর মানোন্নয়নে ৩ সংস্থাকে দিকনির্দেশনা
- গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি, নিহত ৩১
- বাংলাদেশ দলকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট
- ভূমিধসের শঙ্কা, লামায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
- উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে : হাফিজ
- নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলো : জামায়াত আমির
- হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলে যা বলল প্রসিকিউশন
- অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- নির্বাচন আগেও হতে পারে, ৩০ জুনের পরে যাবে না: প্রেস সচিব
- দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এলো মে মাসে
- যে শর্তে মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিল হামাস
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৭১ শতাংশ
- সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ, বলছেন রহমত মিয়া
- শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে: প্রসিকিউটর
- জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই: শফিকুর রহমান
- দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি
- নির্বাচন নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা যাবে না: মির্জা আব্বাস
- বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এবারের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না: দেবপ্রিয়
- আইসিসির হস্তক্ষেপের আশায় আছেন ফারুক
- নতুন কাউন্সিলর বুলবুল, অনুমোদন দিল বিসিবি
- ইসরাইলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থুনবার্গ
- ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ
- জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
- দুর্বল হয়েছে গভীর নিম্নচাপ
- জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধা
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- দাম বেড়েছে সবজির, মুরগিতে স্বস্তি
- বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে: ড. আনিসুজ্জামান
- সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২ জুন
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- উপকূলীয় ১৬ জেলায় ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
- ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- "খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব, এই হোক অঙ্গীকার"
- বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ড. আনিসুজ্জামানের বৈঠক আজ
- সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
- আবারো বিসিবি সভাপতি বদলের জোর গুঞ্জন
- অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচনের রোডম্যাপ না পেয়ে ‘হতাশ’ বিএনপি
- পুতিন ‘আগুন’ নিয়ে খেলছেন: ট্রাম্প
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- আপিল মঞ্জুর, জামায়াত নেতা আজহার খালাস
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- ঈদযাত্রার শেষ দিনের টিকিট বিক্রি আজ
- ইসরাইলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থুনবার্গ
- সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
- দুর্বল হয়েছে গভীর নিম্নচাপ
- চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
- পুতিন ‘আগুন’ নিয়ে খেলছেন: ট্রাম্প
- ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
- ইশরাকের শপথ: সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
শেয়ারবাজার - এর সব খবর
