মার্জিন ঋণ: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: মার্জিন ঋণ, পুঁজিবাজারের আলোচিত এক পদ্ধতি। বিভিন্ন সময় পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় মার্জিন ঋণ গ্রহণ করে নিঃস্ব হয়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী। ধারণকৃত শেয়ারের বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন বিও একাউন্ট ধারীরা। এরপর যখন দর পতন শুরু হয়, ব্রোকাররা নিজেদের টাকা তুলে নিতে মার্জিন অ্যাকাউন্টের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে দেন। জোরপূর্বক বলা হলেও আগে থেকে চুক্তিবদ্ধ হন বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার যা আইনসিদ্ধ । তাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করার বিধি সংযুক্ত থাকে। ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের দরপতন হলেই ঋনের টাকা উঠিয়ে নিতে ব্রোকাররা শুরু করেন ফোর্স সেল। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উভয় পক্ষকেই নিঃস্ব করছে মার্জিন ঋণ। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাজারের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেধে দেওয়া মার্জিন ঋণের হার ১ : ০.৮। এর অর্থ হলো কোনো গ্রাহকের ১০০ টাকা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আরও ৮০ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। যদিও বর্তমানে এই মাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহনীয়। কিন্তু ২০১০ সালে গ্রাহকের বিনিয়োগের বিপরীতে দশগুণ পর্যন্ত ঋণ দিয়েছিল বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, যা ছিলো নিয়ম বহির্ভূত। সেসময়েমার্জিন ঋণের হার ১ :২ ছিলো।
ধরা যাক, এ ক্যাটাগরির এক্স কোম্পানির ১০০ টাকা দরের শেয়ার কিনতে ৮০ টাকা ঋণ গ্রহণ করলেন করিম নামক বিনিযোগকারী। প্রতিটি শেয়ারের ক্রয় মূল্য ১০ টাকা করে। মোট ১৮০ টাকায় ১৮টি শেয়ার কিনলেন। যদি শেয়ারটির দর ৫ টাকার নিচে নেমে আসে তখন শেয়ারের মোট শেয়ারের দর ৯০ টাকার নিচে নেমে আসবে। ৪ টাকায় নেমে আসলে দর দাঁড়ায় ৭২ টাকায়। ব্রোকাররা ৫ টাকার নিচে বা ৯০ টাকার নিচে দর নামার আগেই শেয়ার বিক্রি করে দেন। নিজের দেওয়া ঋণের ৮০ টাকা তুলে নেন। সুদের টাকা বিনিয়োগকারীর কাধে চাপে। বিনিয়োগকারীর পুরো টাকা খোয়া যায়।
এভাবেই বছরের পর বছর মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে পুঁজিবাজার পরিস্থিতিতে মার্জিন ঋণ একাধিক কারণে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। মার্জিন ঋণের কবলে পড়ে এখন দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্জিন ঋণে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা আছে বিশাল অস্বস্তিতে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সড সেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে লেনদেন না হলে সুদের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
বেশ কয়েকমাস পুঁজিবাজার ছিলো নিম্নমুখী। এজন্য ফ্লোর প্রাইস থাকায় চাইলেও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে করে শেয়ারের মূল্য কমছে বাজারে পতন থাকায়। পাশাপাশি বাড়ছে সুদের পরিমান। বর্তমানে নতুন মুদ্রানীতির কারণে এঋণের সুদের হারও বেড়েছে এখন অতিরিক্ত ২থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদগুনতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের । ফলে তাদের মার্জিন ঋণের বোঝা আরও ভারী হচ্ছে। বর্তমানে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ সুদ গুণতে হচ্ছে মার্জিন ঋণের। অর্থ্যাৎকোন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই তাঁকে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে যেসব কোম্পানির মুনাফা ১৫ বা ১৭ শতাংশের বেশি।
যেমন ধরা যাক পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতের কোম্পানি বঙ্গজ বিস্কুট। কোম্পানিটি ২০১৯ থেকে ২০২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫% মুনাফা দিয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৫%। ২০২১ সালে ৩% এবং ২০২২ সালে দিয়েছে ৪% মুনাফা। অর্থ্যাৎ, কোন বিনিয়োগকারী বঙ্গজের শেয়ারে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে কখনোই লাভবান হবেন না। এছাড়া অতীতে ইতিহাস বলছে, বাজার চাঙ্গা হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার ও ডিলারদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ধরনই হচ্ছে কিছুদিন ভালো থাকলে কিছুদিন টানা পতন চলবে। যার ফলে বাজার ভালো থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে করতে বাজার পতনের মুখে পড়ে। সুদের চাপের পাশাপাশি দর পতনের ধাক্কা-দুই দিকেই ক্ষতির মুখে পড়ে যান বিনিয়োগকারীরা। জানা যায়, শেয়ারবাজারে লেনদেন করছে-বতর্মানে এমন ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা ২৪০টি। এর মধ্যে গ্রাহককে মার্জিন ঋণ দিয়েছে-এমন হাউজের সংখ্যা ১০০টির মতো।
অতীতের দুই পতনের সময় মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছে হাজারো বিনিয়োগকারী। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের টাকা ফেরত পায়নি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোও। দর পতন হলেই মার্জিন ঋণ দেওয়া ব্রোকার হাউজ গুলো শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়। ফোর্সড সেলে ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারী। যদিও এই ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোও তেমন কিছু দায় নেই। তারা তাদের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে শেয়ার বিক্রি করবেই। এছাড়া সুদের হার বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা নীতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, “ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের সীমা থেকে সরে আসে। যার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়েছে। মার্জিন ঋণের টাকা ব্যাংক থেকে লোন করে আনা হয়। ফলে ব্যাংকের সুদ হার বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হবেই।“
মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা জানতে চাইলে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, “বাজারে মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা বলা আসলে জানা কঠিন কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমরা এমন কোন তথ্য পাইনা।“ তিনি আরো জানান,"২০১০ সালের ধসের সময় একাধিক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক লোকসান গুণেছে। ব্যাংক থেকে ধার করে এনে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন দিয়েছে। পরে ধসের মুখে পড়ায় সেই টাকা আর ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। বরবারই পুঁজিবাজারের পতন হলে মার্জিন ঋণ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। বিনিয়োগকারিদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হবার অন্যতম কারন মার্জিন ঋণ এমন আলোচনা আগেও শোনা গেছে । যা এখনো চলমান আছে মার্জিন ঋনের প্রচলন। যদিও বিনিয়োগকারিরা কিছুটা সচেতন হবার কারনে মার্জিন ঋণের প্রতি আগ্রহ কমেছে । ২০১০ সালের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনেওপুঁজিবাজারে ধসের পেছনে মার্জিন ঋণকে দায়ী করা হয়।সেখানে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ পরিহারের সুপারিশও করা হয়। পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋনের অংকটা কতো? এই সংখ্যাটা কেও যথাযথ বলতে পারেনি। তবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাক্তি জানান সংখ্যাটা ১৫ হাজার কোটির বেশি। অর্থনীতিবীদরা মনে করেন বাংলাদেশের মতো দেশে মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসায় না করাই ভালো। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, "পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঋণ যত কম হবে তত ভালো। যেকোন ব্যবসায়ীক কার্যক্রমেই ঋণ যত কম তত ঝুঁকি কম। অতীতে দেখা গিয়েছে ঋণ বা লোন করে যারা এই ব্যবসায় করা তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ সবচেয়ে বেশি। ঋণের বাইরে থাকা বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি সম্পূর্ণভাবে হারায় না। ফলে ঋণের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত"।
মার্জিন নিয়ে অতীতে নানা সমস্যায় পড়লেও বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ফ্লোর প্রাইস। রাজধানীর মতিঝিলে এক ব্রোকারেজ হাউজে এ্ প্রতিবেদকের কথা হয় আলী ইমাম নামে এক বিনিয়োগারীর সাথে। লেনদেন করছেন প্রায় ১৫ বছর। তিনি বললেন, বর্তমানে ৩ লাখ টাকার মতো মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসের মন্দা বাজার। আবার সাথে ফ্লোর প্রাইস। চাইলেও বের হতে পারেন নি। যার ফলে নিজের সঞ্চয় থেকে এখন দিবেন মার্জিন ঋণের সুদের টাকা। একেতো শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাথে যুক্ত হয়েছে মার্জিন ঋণের সুদ। এভাবে শুধু আলী ইমাম নয় অনেক বিনিয়োগকারী ভালো মৌল ভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করেও গত এক বছরে ফ্লোর প্রাইস ও উদ্ভূত অর্থনৈতিক নানা সংকটের কারণে শেয়ার বেচাকেনা করতে পারেন নি। ফলে সুদের অর্থ গূনতে হবে নিজের পকেট থেকে। মার্জিন ঋণের বিপাকে আরেক বিনিয়োগকারী আকরামুল হক। লোভে পড়ে আসল ও মুনাফার টাকার সঙ্গে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বাজার নেমে যাওয়ায় বাজার ধসে ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ নেমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখে। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা হাওয়া। এমন হাজারো বিনিয়োগকারী রয়েছে বাজারে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সব হারিয়ে বসে আছেন। দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন "মার্জিন ঋণের ২০১০ সালের আমাদের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ২০১০ সালের ধাক্কা সামাল দিতে আমরা এখনো পারিনি। গত বছর খানেক আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় আমাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে করুন অবস্থা তা ২০১০ সালের ফসল।" তিনি আরো বলেন, "মার্জিন ঋণ আমাদের ব্যবসায় আমাদের দেয়া ঋণের টাকা উঠাতে ফোর্সসেল আমাদের করতেই হবে।"
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, "মার্জিন ঋণে সুবিধা থাকলেও ক্ষতির দিকটা অনেক। হ্যাঁ, এটা ঠিক মার্জিন ঋণের কারণে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীর পুরো বিনিয়োগ নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো নিজেদের অর্থ তুলতে বিনিয়োগকারীকে চাপে রাখে। যেটা অনেক বছর ধরে হয়ে আসছে"।
ফ্লোর প্রাইসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। এভাবে কৃত্তিমতা দিয়ে বাজার চলতে পারেনা।" তিনি বলেন , “ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে। বাজারে লেনদেন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের সুদের পরিমান বাড়ছে।“ ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার পক্ষে এই পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ। তবে আরেক পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, “ফ্লোর প্রাইস থাকায় বাজার ফ্রিজ হয়ে আছে। সুদ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের এটা ঠিক। তবে বাজারে তো পতন ঘটছে না বড় রকমের। তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসে ঠেকেছে বাজারের পতন। তাঁর আশঙ্কা , ফ্লোরপ্রাইস এই মুহূর্তে তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সসেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, "নানা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই মুহুর্তে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে ভাবতে পারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন। মওকুফ না করলেও যাদের শেয়ার ফ্লোরে রয়েছে তাঁদের ছাড় দিতে পারে বিএসইসি"। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ৭১ এ এক অনুষ্ঠানেবাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান জানান, "২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের সময় ফোর্সসেল বন্ধ করায় পুঁজিবাজারের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রায় এক লাখ কোটি টাকাআ আটকে আছে এখনো"।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ারবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের প্রায় ১৭১ কোটি টাকার সুদ মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছিলো।
এদিকে ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানাগেছে,গত কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজার মিশ্র অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩.৭৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৩৫কোটি৭০ লাখটাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩২০ কোটি ৬৬লাখটাকার বা ১৩.৭৩শতাংশ লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধান ৭দশমিক ৬৩পয়েন্ট বা দশমিক ১২শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ। এসময় ডিএসইতে মোট ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৯টির।
(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/ মাহা/ পনের অক্টোবর দুই হাজার তেইশ)
পাঠকের মতামত:

- গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫
- আল হিলালের কাছে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ম্যানসিটির
- শান্তর ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক মিরাজ
- সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করলো সরকার
- আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না: ফারুকী
- আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন : রুবিওকে ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ সরাসরি সম্প্রচার
- আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
- ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা
- ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালিত
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
- আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা
- বিএসইসি-অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে সমন্বিত সভা
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে ইসি
- "শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে"
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- মোট রিজার্ভের নতুন মাইলফলক, অতিক্রম করলো ৩১ বিলিয়ন ডলার
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- এইচএসসি দ্বিতীয় পরীক্ষা আজ : সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
- করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এক, আক্রান্ত ১০
- বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- "সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশে স্বৈরাচারের উৎপত্তি হবে না"
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- আরো ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
- এনবিআরের আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা
- মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
- এনসিসি গঠন থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
- জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান
- বিবাহ ও মোহর আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব
- সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- ‘এখন বলার সময় নয়’—অধিনায়কত্ব নিয়ে গুঞ্জনের জবাবে শান্ত
- সূচকের বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ১৭ প্রকল্প
- ঢাকায় অলিম্পিক ডে র্যালির উদ্বোধনে সেনাপ্রধান
- দোহা-কুয়েত-শারজাহ-দুবাই রুটে ১১ ফ্লাইটের সময়সূচি বিপর্যস্ত
- যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না’: ট্রাম্প
- ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর কমেছে তেলের দাম
- ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পর নীরব নেতানিয়াহু
- যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে: ইরান
- ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন স্বতন্ত্র পরিচালক আকতার মতিন চৌধুরী
- ইসলামী ব্যাংকের সাথে ঢাকা কলেজের চুক্তি স্বাক্ষর
- বন্ড ছেড়ে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক
- ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মানুষ রাজনীতিকদের ওপর আস্থা হারাবে: সালাহউদ্দিন
- সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নের জন্য নয়: আলী রীয়াজ
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- এনবিআরের আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা
- বিবাহ ও মোহর আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব
- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
- মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- এনসিসি গঠন থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
- আরো ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
শেয়ারবাজার - এর সব খবর
