thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউস সানি 1446

বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের নতুন রেল রুট নিয়ে জটিলতা

২০২৩ অক্টোবর ১৮ ২০:১৮:২৩
বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের নতুন রেল রুট নিয়ে জটিলতা

আমির হামজা, দ্য রিপোর্ট: বাংলাদেশ ,ভারত এবং ভূটানের তিনটি রেল রুট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ূন কবীর বাণিজ্য পরামর্শক অধিদপ্তরের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে মতামত চেয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামতে বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যে রেল রুট ব্যবহার করে চিলহটি-নিউ জলপাইগুড়ি-হাসিমারা এবং বুড়িমারী -চেংরাবান্ধ-অলিপুর দুয়ার-হাসিমার রেল রুট দু’টির পাশাপাশি তিনটি রুটের মাধ্যমে রেল সংযোগ স্থাপন করা যেতে পারে ।

প্রথম রুট হচ্ছে চিলহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি (ভারত).আলিপুর দুয়ার-কোকরাজার-গেলেপু( ভূটান) আনুমানিক দূরত্ব ৩৪৪ কি. মি .

দ্বিতীয় রুট হচ্ছে বুড়িমারী-চেংরান্ধা (ভারত) আলিপুর দুয়ার-কোকরাজার(ভারত) -গেলেপু(ভূটান) আনুমানিক দূরত্ব ২৩৯ কি. মি.

তৃতীয় রুট হচ্ছে মোগলহাট-গিতলদহ(ভারত)-আলিপুর দুয়ার-কোকরাজার( ভারত) -গেলেপু(ভূটান) আনুমানিক দূরত্ব ২২৩ কি মি.

প্রথম এবং দ্বিতীয় রুটের ট্রেনজিট চুক্তিতে রেল রুটের সাথে বাংলাদেশের রুটকে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও এক্ষেত্রে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষীক কোন চুক্তি না থাকায় ভারতের সাথে রুট দুইটি কিভাবে নির্ধারিত হবে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত নয় । তৃতীয় নতুন যে রুটের প্রস্তাব করা হয়েছে তা অন্তর্ভূক্ত করতে হলে বাংলাদেশ-ভূটানের শুল্ক ট্রেনজিট চুক্তিটি সংশোধেনের মাধ্যমে তৃতীয় রুটের সাথে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। রেল মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে আর বলা হয়েছে ট্রেনজিট ট্রেড বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতার্ভূক্ত হওয়া এ ক্ষেত্রে রেলপথ মন্ত্রণালয় রেল যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন মতামত প্রদান করলে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। গত ২২ মার্চ ভূটানের সাথে বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেনজিট ট্যারিফ চুক্তি করা হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতণ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমরা আশা করছি ভারত ও ভূটানের সাথে দেশের রেলপথ সংযুক্ত হলে এ রেল পথ বাণিজ্যক ভাবে লাভজনক হবে। ভারতের পর্ষটকরা এই পথ ব্যবহার করবে । বাংলাদেশ তার পণ্য খুব সহজেই ভারত এবং ভূটানে যেতে পারব।দেশের রপ্তানিকারকদের রপ্তানির খরচও কমে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারত থেকে বছরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বা ১৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বিপরীতে দুই বিলিয়ন বা দুইশো কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এখন অবশ্য এই রপ্তানির অঙ্কটাই রুপিতে লেনদেন করতে পারবে, এর বাইরে আমদানির বাকি অর্থ শোধ করতে হবে ডলারে। এদিকে বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সাথে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে । এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ৩৪টি ভুটানি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ভুটানি আপেল ও কমলার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (ঋণ) ৫৭৯ কোটি টাকা দাড়িছে। ভুটান বাংলাদেশে রাসায়নিক, পাল্প, বোল্ডার, ফল ও সবজি রপ্তানি করে। ভুটান বাংলাদেশ থেকে পোশাক, খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক, ওষুধ, আসবাবপত্র এবং বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ ২০২০ সাল পর্যন্ত ভুটানের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের অন্বেষণ করছে। পরিকল্পনায় ভুটানের ১,১২৫-মেগাওয়াট দোরজিলুং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১.২৫ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের যৌথ ভারত-বাংলাদেশি বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/ আ হা / মাহা/ আঠারো অক্টোবর দুইহাজার তেইশ)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর