thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১০ জমাদিউস সানি 1446

দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে অনার্থিক সুবিধা প্রদানের সুপারিশ

২০২৩ ডিসেম্বর ০৬ ০০:০৯:৫৬
দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে অনার্থিক সুবিধা প্রদানের সুপারিশ

আমির হামজা,দ্য রিপোর্ট: রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসী শ্রমিকদেরকে বিশেষ কিছু অনার্থিক সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

এই সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকবে, পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তানদের জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সেবা বুথ, সরকারি বিভিন্ন সেবায় অগ্রাধিকার, বিমান বন্দরে হয়রানি ব্যতীত ইমিগ্রেশন এবং স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে এলে সরকারি সেবার ক্ষেত্রে বাড়তি সহায়তা। এসব সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রবাসীদেরকে দেয়া হবে স্মার্টকার্ড। তবে, এই কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে হতে হবে বৈধ অভিবাসী এবং প্রবাসী আয় পাঠাতে হবে ব্যাংকিং চ্যানেলে। প্রতি বছর ব্যাংকে অন্তত ১২ হাজার ডলার পাঠানো সাপেক্ষে, বিএমইটির কাছ থেকে সনদ গ্রহণ করে, স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী'র জন্য রেমিট্যান্স বিষয়ক ব্রিফ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে মাননীয় অর্থমন্ত্রী'র প্রণোদনা প্রদানের সুপারিশ । ২০০৮ সালে রেমিট্যান্স আয় ছিল ৭.৯ বিলিয়ন ডলার। প্রবাস আয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম স্থান থেকে ২০২২ সালে ৭ম স্থানে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমান ছিল ১৬.৪ বলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের উপর প্রথমবারের মতো ২% প্রণোদনা প্রদান করা হলে রেমিট্যান্সে প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। পরবর্তীতে রেমিট্যান্স ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড ২৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স অর্জিত হয় যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ৩৬% বেশি। প্রতি মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। জানুয়ারি'২০২২ মাস থেকে প্রণোদনা বাড়িয়ে ২.৫% করা হয়। পরবর্তীতে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশানুরূপ হয়নি। তারপরও সর্বশেষ গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ২১.৬ বিলিয়ন ডলার; গড়ে প্রতি মাসে ১.৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে প্রতি মাসে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি ব্যাংকগুলো আরও ২.৫% প্রণোদনা দেওয়ায় মোট প্রণোদনা দাঁড়িয়েছে ৫%। ফলে রেমিট্যান্স আবার পূর্বের প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১.৩ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০% বেশি। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে গতি আনয়নের লক্ষ্যে আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি প্রণোদনা প্রদান করা যেতে পারে: ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রমাণিত রেমিট্যান্স প্রেরণকারিদের নিম্নোক্ত অ-আর্থিক সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। রেমিট্যান্স প্রেরণকারি ও তাঁদের পরিবারের জন্য বিশেষ স্মার্ট কার্ড প্রদান করা যেতে পারে যা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করবে। রেমিট্যান্স প্রেরণকারিদের পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তানদের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বিশেষ প্রাধিকার প্রদান। রেমিট্যান্স প্রেরণকারিদের স্ত্রী-সন্তানদের জন্য সকল সরকারি অফিসে সেবা গ্রহণের জন্য প্রাধিকার প্রদান।

রেমিট্যান্স প্রেরণকারি অভিবাসী শ্রমিক স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট সকল সেবা প্রদানকারি সরকারি অফিসে প্রাধিকার প্রদান। প্রণোদনা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিযেগিতা সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত যোগ্যতা নির্ধারণ করা যেতে পারে। বৈধ অভিবাসনকারি হতে হবে । বিদেশে অবস্থানের বৈধ ডকুমেন্টেশন থাকতে হবে অথবা বিএমইটি-এর মাধ্যমে বিদেশে গমন করলে বিএমইটি-এর অভিবাসন কার্ড থাকতে হবে। নিয়মিত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণকারি হতে হবে। বাৎসরিক ন্যূনতম ১২,০০০ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে হবে। বছর শেষে বিএমইটি হতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণের প্রমাণ প্রদান সাপেক্ষে অনলাইনে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/ আ হা / মাহা/ পাঁচ ডিসেম্বর দুইহাজার তেইশ

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর