দুই শিক্ষকের হাতে ১৪ ধরে নাস্তানাবুদ পুঁজিবাজার

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন এবং অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চার আমলে পুঁজিবাজার সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন এই দুই শিক্ষক। রক্ষকই যখন ভক্ষক প্রবাদবাক্যটি যেন পুঁজিবাজারের সাবেক এই দুই অভিভাবকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
খায়রুল হোসেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্সের এবং শিবলী রুবাইয়াত একইবিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক। বিনিয়োগকারীদের তাই আস্থাও অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু ফল ঘটেছে উল্টো।পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড কমিশনের ( বিএসইসি) সাবেক এই দুই চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন বলে করেন বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। বিএসইসির সাবেক এই দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। অভিযোগে জানা যায়, ইনসাইডার ট্রেডিং, কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বড় অংকের অর্থ তুলে নিয়ে যেতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করেন এই দুই চেয়ারম্যান। এছাড়া প্লেসমেন্ট শেয়ারের হাতবদল প্রক্রিয়ায় বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে এই দুই আমলে।
গত সোমবার এক কর্মশালায় ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম এই দুই চেয়ারম্যানের ১৪ বছরের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে। তিনি বলেন অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অপেশাদার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত ১৪ বছরে শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। তদন্ত করে পুঁজিবাজারের গত ১৪ বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল হালিম। পরবর্তী সময় কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন আইন বিভাগের অধ্যাপক রুমানা ইসলাম। শিবলী কমিশনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ব্ড় অভিযোগ হিসেবে ধরা হয়, বিভিন্ন সময় আলোচিত কারসাজিকারকদের প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতার বিষয়টি। পুঁজিবাজার অঙ্গনে চরম নেতিবাচক নাম আবুল খায়ের হিরু। কথিত রয়েছে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারকে কারসাজির আখড়া বানিয়ে ফেলেন সরকারি কর্মকর্তা হিরু। যদিও অনেকটা “দায়মুক্তির শাস্তি” হিসেবে কয়েকদফা শাস্তি পেয়েছেন এই হিরু। যা কারসাজি হিসেবে তুলে নেওয়ার অর্থের তুলনায় একদমই নগন্য। এমনকি তার সঙ্গে বিএসইসির শীর্ষ কর্তাদের সুসম্পর্ককেও ভালো চোখে দেখেননি বাজার সংশ্লিষ্টরা।বিনিয়োগকারীদের সাথে পুঁজিবাজারের বৈঠকে দাওয়াত পেতেন এই কারসাজিকারক। শুধু আবুল খায়ের হিরুই নয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুপারস্টার এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সাকিব আল হাসান পেয়েছেন অবৈধ সুবিধা শিবলী কমিশনের আমলে। হিরু ও সাকিবের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংসকে ব্রোকারেজ লাইসেন্স দেয় বিএসইসি। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আরেক বিতর্কিত বিনিয়োগকারী জাবেদ এ মতিন। মতিন-হিরু ছাড়াও পুঁজিবাজারের এক শ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারী শিবলী কমিশনের প্রশ্রয়ের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়েছেন। এমনকি বিএসইসি চেয়ারম্যান সর্বশেষ দুই বছরে “ পুঁজিবাজারে সুদিন আসছে” এবং “ বিদেশী বিনিয়োগ আসছে” এরকম ইতিবাচক কথা বলে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছেন। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এসব মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তিনি সাধারন বিনিয়োগকারীদের বিপাকে ফেলে সুবিধা করে দিয়েছেন গ্যাম্বলারদের। এছাড়া সাইনবোর্ডহীন অফিস থাকা অনেক কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে এমন নজিরও সৃষ্টি করেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য অনেক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনার অভিযোগ আছে এই কমিশনের বিরুদ্ধে। এছাড়া পুঁজিবাজারে আসার আগে অনেক কোম্পানি নিজেদের আর্থিক প্রতিবেদন ভালো অবস্থায় দেখায়, পরবর্তীতে লোকসানের মুখে পড়ে এমন একাধিক নজিরও দেখা গেছে শিবলী কমিশনের আমলে। কিন্তু এরপরেও ব্যবস্থা নেয়া তো দূরে বরং এমন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে অনেক। এছাড়া রুগ্ণ ও দুর্বল কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে সেখানে শিবলী রুবাইয়াতের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শিক্ষকসহ অন্যদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পর্ষদ পুনর্গঠনের পরও এসব কোম্পানির বেশির ভাগেরই আর্থিক ও ব্যবসায়িক অবস্থার উন্নতি হয়নি।
অধ্যাপক শিবলী দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এক বছরে অনেক কোম্পানির দাম অস্বাভাবিকভাবে ৬০০ শতাংশের বেশিও বেড়েছে। ২০২৩ সালে পিপি ওভেন ইন্ডাস্ট্রিজের দাম বাড়ে ৬৮৬ শতাংশ। ২০২২ সালে সবচেয়ে দর বাড়া শেয়ারের তালিকায় ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনস। বেড়েছিলো ৫০৭ শতাংশ দাম। ২০২১ সালে সোনালী পেপারের দাম বাড়ে ৩২১ শতাংশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১৪৬ বেড়েছে। এসব দুর্বল ভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দাম কেনো বাড়ছে এসব ব্যাপারে তদন্তে কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি শিবলী কমিশন। এছাড়া ডিএসই এসএমই কোম্পানির ব্যাপারে অনেকটা অন্ধের মতো ছিলো এই কমিশন। এসএমই সেক্টরের কোম্পানি গুলোর কারসাজি দেখেও না দেখার ভান করেছিলো কমিশন। দ্য রিপোর্টসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে এসএমই কোম্পানি সহ পুঁজিবাজারের কারসাজির নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ হলেও নিশ্চুপ থেকেছে বিএসইসি চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশন। বরং শেয়ার কারসাজির ঘটনা তদন্তের বিষয়গুলো গণমাধ্যমের কাছে গোপন রাখা হতো, কারণ হিসেবে বলা হতো বিনিয়োগকারীদের “সম্মান রক্ষার্থে” জানানো হচ্ছে না। শিবলী কমিশন কোভিড পরবর্তী সময় দায়িত্বে এসে বিনিয়োগকারীদের আশার সঞ্চার করেছিলেন। পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে পুঁজিবাজার, ব্যাংক মহলে ও শিক্ষকদের মধ্যে পরিচিত মুখ ছিলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তাঁর থেকে বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের আশা ছিলো অনেক। কিন্তু প্রতিনিয়ত আশাহত হয়েছেন বিনিয়োগাকারীরা। ৫ই আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর একদিনও অফিস করেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। গণঅভুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মে শিবলী রুবাইয়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন অভিযোগ আছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগপ্রাপ্ত ও নানা অনিয়মে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি উঠে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধান বিচারপতিসহ অনেক সংস্থার প্রধান পদত্যাগ করেছেন। এ অবস্থায় বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পদত্যাগ না করলে অন্তর্বর্তকালীন সরকার তাকে অপসারণ করবে এমন গুঞ্জন উঠে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ার আড়াই মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। গত শনিবার (১০ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। । পদত্যাগের আগ মুহূর্তে গত বৃহস্পতিবার তিনি সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোম্পানিটিকে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার সুবিধা করে দিতেই কার্যালয়ে না এসেও বাসায় বসে তিনি এ আদেশ জারি করেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় দেড় বছর পুঁজিবাজারের অবস্থা অনেক ভালো ছিলো। কিন্তু ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ ধ্বস নামা শুরু হয়। জানুয়ারীতে নামে ভয়ানক ধস। ধস-পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের ১৫মে পুঁজিবাজার সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন নিজামী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন, কর্পোরেট খাতের শীর্ষ নির্বাহী আরিফ খান ও সাবেক জেলা জজ মো. আবদুস সালাম সিকদার।
খায়রুল কমিশনের আমলে সেকেন্ডারিবাজারে কারসাজির অভিযোগ তেমন না থাকলেও তাঁর কমিশনের আমলে অনেক দুর্বল কোম্পানি বাজারে এসেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুর্বল ভিত্তির কোম্পানি পুঁজিবাজারে এনে বাজারকে দুর্বল করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে এই কমিশনের বিরুদ্ধে। মানহীন এসব কোম্পানি বাজারে আনতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে খায়রুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন কমিশন। দায়িত্বপালনের সময়ে নিজেদের মধ্যে সিণ্ডিকেট তৈরি করে কারসাজি করে এই কমিশন এমন অভিযোগ রয়েছে। ইস্যু ব্যবস্থাপক, নিরীক্ষক এবং এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর সমন্বয়ে একটি বড় কারসাজিচক্র গড়ে তোলেন তাঁরা। অনেক কারসাজি প্রতিরোধ না করে বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা।বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন ড. খায়রুল। এমনকি আইন ভঙ্গ করে তাকে তৃতীয় মেয়াদেও নিয়োগ দেয় সরকার। দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারে গুরুদায়িত্ব ছিল তার ওপর। তার মেয়াদে পুঁজিবাজারে অনেক আইন-কানুন, বিধি-বিধান প্রণয়ন হয় অনেক কিন্তু প্রয়োগের বেলায় ফলাফল জিরো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। খায়রুল কমিশনের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিলো, সব মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদ আরো ১০ বছর বৃদ্ধি। মূলত রেইসকে সুবিধা দেয়ার জন্যই এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ পরিবর্তনের ফলে এ খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। দেশের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় সমালোচিত ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতিও খায়রুল কমিশনের সময়ে চালু করা হয়েছিল। সাদিক এগ্রোর ছাগলকান্ডে আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্লেসমেন্ট ব্যবসা উত্থান হয়েছে খায়রুল কমিশনের আমলে। আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর আর্থিক দুর্বলতা ও কর ফাঁকির বিষয়কে গোপন করে প্লেসমেন্ট শেয়ার হাতিয়ে নেন মতিউর সিন্ডিকেট। এছাড়া ২০১০ সালের ধসের খায়রুল মিশনের ওপর দায়িত্ব ছিল বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং, প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্য ও কারসাজি বন্ধ করা, ভালোমানের আইপিও আনা, আর্থিক প্রতিবেদনে যথার্থতা নিশ্চিত করা। সেই সময়ে এসব অঙ্গীকার নিয়ে বাজারের দায়িত্ব নিলেও করেছেন উল্টো। তাদের অপেশাদার এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বাজার ধ্বংস হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নেমেছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে বাজার ছেড়েছেন। এদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে এম খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে। হাসিনা সরকার পতনের পর পদত্যাগের হিড়িকের মধ্যেই তিনি গত ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন।
পুঁজিবাজারের সমোলোচিত সর্বশেষ দুই অভিভাবকের কার্যকলাপের ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, অনেক বছর পুঁজিবাজার কার্যত অচল ছিলো। নানা ভুল সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের অবস্থা এলোমেলো হয়ে যায়। এখন সময় এসেছে। নতুন এই সরকারের কাক্সহে প্রত্যাশা অনেক। বিনিয়োগকারীদেরও অনেক প্রত্যাশা। বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে স্বস্তিতে লেনদেন করতে পারবে এমন প্রত্যাশা আবু আহমেদের। পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত্র হবে এমন প্রত্যাশা এই পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞের।
এদিকে, গতকাল পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব)হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. এম মাসরুর রিয়াজ। মাসরুর রিয়াজ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া, তিনি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পরে এমবিএ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিয়ন্স ইউনিভার্সিটি থেকে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
(দ্য রিপোর্ট/মাহা / টিআইএম/ চৌদ্দ আগস্ট/ দুইহাজার চব্বিশ )
পাঠকের মতামত:

- সাড়ে ৪ ঘণ্টা একাই লড়লেন জাদেজা, তবুও হার ভারতের
- পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় ১০৫ জনের মৃত্যু
- শেয়ারবাজার থেকে সরকারের কর্তৃত্ব কমাতে হবে : আমীর খসরু
- মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা
- নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপি সব সময়ই ভূমিকা রেখেছে: সালাহউদ্দিন
- ‘চিলড্রেন্স পার্টি’র কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই: মির্জা আব্বাস
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতেই হবে: মির্জা ফখরুল
- এই সরকারের আমলেই জুলাই গণহত্যার বিচার শেষ হবে: আসিফ নজরুল
- মধ্যরাতে মিছিল নিয়ে ফের রাজপথে নারীরা
- বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
- বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
- এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার জোন ও কর্পোরেট শাখার অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পাঁচ আফ্রিকান প্রেসিডেন্টকে অপমান করলেন ট্রাম্প
- ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
- সোমবার ইরান থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
- আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি
- ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি
- গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় নিহত ছাড়াল ৫৮ হাজার
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়!
- লঙ্কানদের ধসিয়ে বড় জয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
- শাপলা প্রতীক তালিকায় যুক্ত হবে না, থাকবে নৌকা
- "হাসিনা অন্তত ডামি-টামি করেছে, আর এরা বলে ইলেকশনেরই দরকার নেই"
- মোদীকে হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠাচ্ছেন ড. ইউনূস
- বিএনপি-তারেকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চক্রান্ত চলছে: ফখরুল
- বিএনপি মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন-মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্পের
- ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ২.৭৬ শতাংশ
- বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
- ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩৬ স্থানে ভাঙন, এবারও ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা
- এই চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজ সিস্টেমের পরিবর্তন করব : নাহিদ ইসলাম
- রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন বিশেষ কারাগারের আলাদা কক্ষে
- খুনিরা যে দলেরই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি
- অপরাধীদের সরকার ধরছে না কেন, প্রশ্ন তারেক রহমানের
- পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ড দ্রুত তদন্ত-দোষীদের শাস্তি দাবি করলেন মির্জা ফখরুল
- ‘চাঁদাবাজ পালনকারী দলের কাছে জাতি ও রাষ্ট্র কখনই নিরাপদ থাকতে পারে না’
- খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- দেড় বছরে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: জাতিসংঘ
- সোহাগ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- সোহাগ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গণঅভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে: নাহিদ
- বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার সম্পর্ক নেই: মির্জা ফখরুল
- মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় ২ আসামি রিমান্ডে
- ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭
- পুঁজিবাজার: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান
- বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের
- এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
- টি-টোয়েন্টিতে হারে শুরু বাংলাদেশের
- র্যাংকিংয়ে এক ধাপ অবনতি বাংলাদেশের, ছয় ধাপ পেছাল ভারত
- ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
- এবার পাস করতে পারেনি ৬ লাখ শিক্ষার্থী
- জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানের ‘চতুর্থ তফসিলে’ অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি
- দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়: নাহিদ ইসলাম
- পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোট, কোনো নির্বাচনেই ইভিএম নয়
- বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে: মির্জা ফখরুল
- শেখ হাসিনার আমলে নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলার নির্দেশনা বাতিল
- খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতকেও জবাবদিহি করতে হবে: নাহিদ
- ত্রিদেশীয় ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক
- দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলের সঙ্গে খেলতে চাই না: কিরণ
- ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার সারাদেশে আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা বিটিআরসির
- "এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি"
- ফের এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
- ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির
- রোজার আগেই হতে পারে নির্বাচন: প্রেস সচিব
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ৪৩০তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটনের প্যাসেঞ্জার কার ব্যাটারি ‘গ্রাভিটন’ উদ্বোধন করলেন তাহসান
- ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক!
- ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ্জ ও ওমরাহ সেভিংস স্কিম: সঞ্চয়ে স্বপ্নপূরণ
- ইতিহাস গড়া নারী ফুটবলারদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
- ইরান ও ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলেন ব্রিকস জোটের নেতারা
- প্রথম কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
- নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
- জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে সব দল একমত
- ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা বিটিআরসির
- রোজার আগেই হতে পারে নির্বাচন: প্রেস সচিব
- ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির
- র্যাংকিংয়ে এক ধাপ অবনতি বাংলাদেশের, ছয় ধাপ পেছাল ভারত
- বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের
- পুঁজিবাজার: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান
- দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়: নাহিদ ইসলাম
- দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দলের সঙ্গে খেলতে চাই না: কিরণ
- বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার সারাদেশে আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- ফের এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
- ত্রিদেশীয় ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক
- এবার পাস করতে পারেনি ৬ লাখ শিক্ষার্থী
- বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে: মির্জা ফখরুল
- খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতকেও জবাবদিহি করতে হবে: নাহিদ
- ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক!
- অপরাধীদের সরকার ধরছে না কেন, প্রশ্ন তারেক রহমানের
- মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় ২ আসামি রিমান্ডে
- শেখ হাসিনার আমলে নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলার নির্দেশনা বাতিল
- খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- সোহাগ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
- ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
- পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের ভোট, কোনো নির্বাচনেই ইভিএম নয়
- টি-টোয়েন্টিতে হারে শুরু বাংলাদেশের
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
শেয়ারবাজার - এর সব খবর
