এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকার থেকে নেওয়া কার্যক্রমে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের টেকসই উন্নয়নের ‘থ্রি-জিরো’ তত্ত্ব যুক্ত করার চিন্তা করছে সরকার।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এই তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ আর্থিক স্বাধীনতা, কর্মঠ জনশক্তি তৈরি এবং পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি মডেল। এটি একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হচ্ছে- জিরো দারিদ্র্য, জিরো বেকারত্ব ও জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ। আর তা অর্জনে প্রয়োজন তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।
গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলাদা সম্মান পেয়েছেন তার এই থ্রি-জিরো তত্ত্বের জন্য।
এসডিজির লক্ষ্যসমূহের মূল পরিকল্পনায় রয়েছে- সকলের জন্য কল্যাণকর পৃথিবী এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিমার্ণ।
থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘‘আমরা এজডিজির সঙ্গে থ্রি জিরো তত্ত্ব যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এসডিজির ওপর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের একটি কর্মশালা চলছে, সেখানে এই তত্ত্বের বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা চাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সকল পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্বের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হোক।’’
তিনি উল্লেখ করেন, এসডিজির লক্ষ্য পূরণের কার্যক্রমের মধ্যে থ্রি জিরো তত্ত্ব রাখা হয়েছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কারোর ওপর এই তত্ত্বের প্রয়োগ চাপিয়ে দিতে চান না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- যার ভালো লাগবে তিনি এটি গ্রহণ করবেন এবং কাজে লাগাবেন। এ কারণে এসডিজির বাইরে সরকারের কোনো বড় পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
থ্রি-জিরো তত্ত্বের মূল ভিত্তি হলো- দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। এই তত্ত্বের ব্যাপারে অধ্যাপক ইউনূসের ভাষ্য, ‘‘বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং এই ব্যবস্থার অধীনে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। মানুষ এককভাবে দারিদ্রতা তৈরি করে না, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভেতরেই তৈরি হয় দারিদ্র্য।’’
তাঁর মতে, ভালো চাকরি না খোঁজে উদ্যোক্তা তৈরিতে জোর দিতে হবে। তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘‘আমরা জন্মেছি সমস্যা সমাধানের জন্য, কারো অধীনে চাকরি করার জন্য নয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে হবে। কারো অধীনে নয়, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই।’’
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী ও নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বকে বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি সম্মেলনে নিজের ভাষণে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করে বলেছেন, ‘‘এটি এক নতুন সভ্যতার জন্ম দেবে। গড়ে তুলবে এক নতুন পৃথিবী, যা সবার জন্য বাসযোগ্য হবে।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে জীবনশৈলী পাল্টানো সম্ভব। পরিবেশের নিরাপত্তার জন্যই দরকার এই নতুন জীবনধারা বা ‘লাইফস্টাইল’। সেই যাপন চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তা পছন্দ করতে হবে। যুব সম্প্রদায় তা আনন্দের সঙ্গে ভালোবেসে গ্রহণ করবে। এভাবে যুবাসমাজের প্রত্যেকে নিজেদের ‘থ্রি জিরো পারসন’ হিসেবে গড়ে তুলবে।’’
‘থ্রি জিরো পারসন’ কেমন, তার ব্যাখ্যায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘‘সেই ব্যক্তি কার্বন নিঃসরণ করবে না। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো কার্বন’। সে সম্পদের একক মজুতদার হবে না। তার সম্পদ হবে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো দরিদ্র' এবং এভাবেই তারা প্রত্যেকে উদ্যোগী হয়ে পূরণ করবে ‘জিরো বেকারত্বের’ তৃতীয় শর্ত। অর্থাৎ মুহাম্মদ ইউনূসের মতে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামাতে পারলে দুশ্চিন্তামুক্ত ও বাসযোগ্য এক নতুন পৃথিবী গড়ে উঠবে।’’
থ্রি জিরো পারসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে থ্রি জিরো ক্লাব বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করেন কর্মজীবেন অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের সহকর্মী লামিয়া মোরশেদ। তিনি মনে করেন, এই ক্লাবের সদস্যরা থ্রি জিরো তত্ত্ব সম্পর্কে সচেতন হন এবং একসময় নিজেরা থ্রি জিরো পারসন হিসেবে গড়ে ওঠেন।
ইউনূস সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘‘সারা পৃথিবীজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার ৬০০টি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে, যার প্রতিটি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত। এসব ক্লাবের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে উঠেছে।’’
‘‘বিশ্বের অসংখ্য বিভিন্ন নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এই ক্লাব সমানভাবে গড়ে উঠেনি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির পক্ষে এই থ্রি জিরো ক্লাব তৈরির আগ্রহ দেখানোটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। অধ্যাপক ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়েছে।’’
এ বিষয়ে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বাংলাদেশে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো, এখন সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় দিন দিন এর পরিসর বাড়ছে। এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন। বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইদানিং থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কর্মশালা অনেক বেড়ে গেছে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নয়, এটা যে যার অবস্থান থেকে নিজ উদ্যোগে করছেন। শুধু নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেন যে আমরা এটা করছি।’’
তিনি জানান, থ্রি জিরো ক্লাব ইচ্ছে করলেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় দেখা হয়। তারা যে কাজগুলো করছে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে করছে কি-না এবং সেটি টেকসই কি-না, এসব দেখার পরেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়।
টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রবক্তা অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যকে উদ্বৃদ্ধ করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘‘তিনি সবসময় বলেন আমাদের সমাজে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করেছি। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য তরুণরা উপযুক্ত ব্যক্তি, কারণ তাদের মাথায় অনেক নতুন নতুন আইডিয়া আছে, তারা সেটা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। এজন্য ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যারা রয়েছেন, তাদেরকে তিনি বলেন তোমরা থ্রি জিরো ক্লাব করতে পার।’’ ৪ থেকে ৫ জন মিলে এই ক্লাব করা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লামিয়া মোরশেদ মনে করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বকে প্রকৃতপক্ষে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘‘মাইক্রোক্রেডিট ও মাইক্রো ফাইন্যান্সের পর অধ্যাপক ইউনূসের নবীন প্রোগ্রাম হলো সামাজিক ব্যবসা। এই ধারণার মূল বিষয় হলো একজন তার নিজের চাকরির ব্যবস্থা করবে পাশাপাশি অন্যদের চাকরির সুযোগ করে দিবে। অর্থাৎ আমি একটি ঋণ নিয়ে একটি কাজ শুরু করলাম যেখানে আরও তিন-পাঁচজন লোক কাজ করবে তাদের কর্মসংস্থান হবে। এই ব্যবসা থেকে যে মুনাফা আসবে তা জণকল্যাণে ব্যয় হবে।’’
মুনাফার অর্থ স্বাস্থ্য, শিক্ষা কিংবা পরিবেশের উন্ননে ব্যয় হতে পারে। এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ইউনূস সবসময় দারিদ্র বিমোচন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশ দূষণ কমানোর ওপর জোর দেন উল্লেখ করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘‘অধ্যাপক ইউনূস সবসময় বলেন যদি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকে তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো কীভাবে। তাই প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। তার যে উন্নয়ন তত্ত্ব তা কেবল বাংলাদেশকে ঘিরে নিয়ে নয়, সেটি সারা বিশ্বের কল্যাণ এবং ভবিষ্যতকে কেন্দ্র করে।’’
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘‘অধ্যাপক ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার মূল থিম হচ্ছে-এখান থেকে আমি কোন লাভ করব না তবে আমার মূল টাকা ফেরত আসতে হবে। যাতে করে ওই অর্থ আবার অন্য আরেকটি সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায। মুহাম্মদ ইউনূস আগে থেকেই বলতেন মাইক্রোক্রেডিটের সঙ্গে সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সামাজিক কার্যক্রম মনকে অনেক তৃপ্তি দেয়, কারণ এতে মানুষ অনেক উপকৃত হয়।’’
তিনি জানান, বিশ্বের ৩৯ টি দেশের ১১০ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার রয়েছে। যেখানে মাইক্রোক্রেডিটের বিজনেস গুলো শিখানো হয়। তাদের আগ্রহে থ্রি জিরো ক্লাব তৈরি হচ্ছে। এ ক্লাবের মূল লক্ষ্য হলো শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জন করা।
লামিয়া মোরশেদ জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যুব সম্মেলনে (ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল) থ্রি জিরো বিষয়টা রাখা হবে। খেলাধুলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদনের অংশ হিসেবে কাজ করে, এটাকে কীভাবে সামাজিক কার্যক্রমের অংশ বানানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। একটা টুর্নামেন্টে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করে, সেখানে যদি আমরা একটি থিম দেয় যে আমরা জিরো ওয়েস্ট এর দিকে এগিয়ে যাবো, আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার করব না, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলবো না। এই বিষয়ে যদি আমরা সচেতনতা তৈরি করতে পারি তাহলে সমাজে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে।’’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মেসির মতো খেলোয়াড় যদি বলেন যে আমরা জিরো ওস্টের করব তাহলে এই বার্তাটি পুরা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা এ ধরনের কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।’’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড বিভাগের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা সংস্থা র্যাপিড এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘‘টেকসই উন্নয়নের সব সূচকে অভীষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে ‘থ্রি জিরো থিউরি’ অনুঘটন হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি মনে করেন থ্রি জিরো তত্ত্বের ধারণা বাংলাদেশে তরুণদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য খাতে একটি নতুন বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, অথচ উদ্যোক্তা বিকাশ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনভাবে সম্ভব নয়।’’
ড. রাজ্জাক বলেন, ‘‘থ্রি জিরো তত্ত্ব কাজে লাগানো গেলে দেশে সর্বস্তরে উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করা যাবে।’’
তথ্যসূত্র: বাসস
পাঠকের মতামত:
- পর্তুগালে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ভারতকে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ আসিফ মাহমুদের
- এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ২ মার্চ
- চলে গেলেন সোনাজয়ী শুটার সাদিয়া
- ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট
- আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ
- "রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মমতার বক্তব্য সঠিক পদক্ষেপ নয়"
- সামনের নির্বাচন অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে : তারেক রহমান
- মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি: ফখরুল
- আগরতলা দূতাবাসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার হিসাব তলব
- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন: নুর
- ইসরায়েলে লাউড স্পিকারে আজান দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা
- ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামল ম্যাকসন স্পিনিং
- ব্যাটিংয়ে অলআউট ১৬৪ রানে, বোলিংয়েও হতাশা
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের: বিএনপি
- রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে চূড়ান্ত হচ্ছে তালিকা
- আরও যত মামলায় দণ্ড আছে তারেক রহমানের
- নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম বৈঠক আজ
- সত্যের সৌন্দর্য হল ‘ষড়যন্ত্রের ওপর বিজয় লাভ করে’: তারেক রহমান
- পাচারের টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বসবে সরকার: প্রেস উইং
- পার্বত্যাঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
- আদালতের রায়ে প্রমাণিত হলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা মিথ্যা : ইউট্যাব
- সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স গ্রহীতার স্বীকৃতি পেল ইসলামী ব্যাংক
- খালাসের রায় শুনে বাবরের স্ত্রী বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’
- দেশের ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করছে: ওয়াকার-উজ-জামান
- বেসরকারিতে ৭৬ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে শেষ হলো স্কুলে ভর্তির আবেদন
- ৬৫৩ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়ল জাহাজ
- দুদকের মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি
- একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা : তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস
- ট্রাম্পের শপথের আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান
- ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল: ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
- বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদে বসতে অপেক্ষা বাড়ছে জয় শাহর
- সস্ত্রীক লন্ডনে মির্জা ফখরুল
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই বিপর্যয়
- ইলিয়াস হোসেনের বক্তব্য নিয়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া
- "ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়"
- জনগণের ম্যান্ডেট হবে ক্ষমতায় আসার অবলম্বন: উপদেষ্টা আসিফ
- বাতিল হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন
- পরিবারের জিম্মায় সাংবাদিক মুন্নী সাহা
- মহান বিজয়ের মাস শুরু
- মধ্যরাতে বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সে আগুন
- বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন কমেছে
- সিরিয়ার আলেপ্পোর বড় অংশ দখলে নেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের
- আবারো বাংলাদেশের পরীক্ষা নেবে ক্যারিবিয়ান পেসাররা
- ইংল্যান্ডের আরও একটি দাপুটে দিন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী ও সক্ষম বাহিনীতে পরিণত করা হবে’
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- শাহজালালে ১২ কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার
- চিন্ময় ইস্যুর ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, জাতিসংঘে জানালো বাংলাদেশ
- আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
- বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা ভারতের হাসপাতালের
- লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
- ঢাকা মাতাবেন রাহাত ফাতেহ আলী, গাইবেন বিনা পারিশ্রমিকে
- আফগানদের উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
- বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলা ঠিক নয় : কংগ্রেসের এমপি শশী থারুর
- জুলাই বিপ্লব সহজে মেনে নেবে না ভারত, ষড়যন্ত্র চলছে: মাহমুদুর রহমান
- বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
- ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪
- রাজনীতি ১৫-১৬ বছরে ২০ হাজার তরুণের প্রাণ নিয়েছে ফ্যাসিস্টরা : ফখরুল
- সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত-বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ
- ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
- কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, তীব্র নিন্দা জানাল ঢাকা
- পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ইসকনের ১৭ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার
- জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার-দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহতে ঐক্যমত
- ৪৭তম বিসিএসে আবেদন ফি কমাবে পিএসসি
- চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
- উগান্ডায় ভূমিধসে ৫০ জনের মৃত্যু
- কাট্টলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিআইডিকে ‘নির্দেশ’
- ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু
- তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
- চিন্ময়কাণ্ডে পুলিশের ৩ মামলা, আসামি ১৪৭৬
- সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
- নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হলেন সারজিসসহ আরও ৪৫ জন
- চট্টগ্রামে আদালতের অদূরে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা
- ট্রাম্পের নামে করা মামলা খারিজ
- চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ডেঙ্গুতে আরো ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
- মোল্লা কলেজে ছাত্রবেশে পরিকল্পিত হামলা: পুলিশ
- বেসরকারিতে ৭৬ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে শেষ হলো স্কুলে ভর্তির আবেদন
- ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়: মাহফুজ আলম
- পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিসিএমআইএ’র ১২ দাবি
- তাসকিনের ৬ উইকেট, বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩৪
- সংবিধান সংস্কার নিয়ে মতামত দিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ
- হাসনাত-সারজিসকে ‘হত্যাচেষ্টা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ৪ দফা ঘোষণা
- শান্তিনগর থেকে অহিংস গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক মাহবুবুল গ্রেপ্তার
- স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে: তারেক রহমান
- চিন্ময় ইস্যুর ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, জাতিসংঘে জানালো বাংলাদেশ
- বিমানবন্দর থেকে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার
- মারবা? পারবা না, শহীদেরা মরে না: হাসনাত-সারজিস
- তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
- একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা : তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস
- ৬৫৩ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়ল জাহাজ
- সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
- খালাসের রায় শুনে বাবরের স্ত্রী বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’