thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৭ এপ্রিল 25, ২৪ চৈত্র ১৪৩১,  ৮ শাওয়াল 1446

ভারতকে ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিএনপির

২০২৫ এপ্রিল ০৬ ১৭:৫২:০০
ভারতকে ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিএনপির

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বানজানিয়েছে বিএনপি।

রোববার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ একথা জানান।

তিনি বলেন, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ‘ল বোর্ডের মতো সংগঠনগুলোর মতে এই আইন ইসলামি ওয়াকফ ব্যবস্থার মূল চেতনার পরিপন্থি। তাদের মতে ওয়াকফ বোর্ডের পরিচালনা মুসলমানদের দ্বারাই হওয়া উচিত। তারা একে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল বলে অভিমত দিয়েছেন।

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ইসলামি দানের প্রাচীন ব্যবস্থা ‘ওয়াকফ’, বিষয়টি তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনটির বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি যে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার খর্ব করা এবং বৈষ্যমমূলক আচরণের চেষ্টা করা হয়েছে এই আইনে। ভারতের মুসলমানরা এবং বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ‘মুসলিম ওয়াকফ (সংশোধন) বিল-২০২৪’ অসাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্য, অধিকার, সংস্কৃতি ও স্বার্থবিরোধী এই আইনকে অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, যা ইসলামি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি বলেন, ভারতে ওয়াকফ বোর্ডগুলোর অধীনে প্রায় ১০ লাখ একর সম্পত্তির মধ্যে অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণমূলক কাজে। নতুন আইনে পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে মুসলিম নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের কারণে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে, এরকম কোনো পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গ্রহণ করা সমীচীন নয় বলে আমরা মনে করি।

ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া আইনে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এই জাতীয় বোর্ডে অথবা কোনো আইনি সংগঠনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অন্তর্ভুক্তি দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে আইনটি একটি বৈষম্যমূলক আইন হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুন আইনে পরিবর্তনগুলো শত শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ওয়াকফ জমির ওপর গড়া মসজিদ এবং অন্যান্য মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবির্ষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

তিনি বলেন, নতুন আইনে অমুসলিম সদস্যদের এই সম্পত্তিগুলোর ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে, তা মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর