thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১০ মে 25, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২,  ১২ জিলকদ  1446

আ.লীগ নিষিদ্ধের কৌশল জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

২০২৫ মে ১০ ০০:১৫:৩০
আ.লীগ নিষিদ্ধের কৌশল জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারের হাতে আছে। বিদ্যমান আইনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা সম্ভব। শেখ মুজিবুর রহমানের করা কালো আইন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ ধারায় বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বণিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের তদন্তে গুম, খুন ও গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৭ বছরে ৭০০ মানুষ গুম করেছে। সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখ শুধুমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা হয়েছে। সব অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব অপরধের বিচার হতে হবে। তা না হলে দিনের ভোট রাতে করার বিরুদ্ধে যারা আত্মহুতি দিয়েছে তারা আমাদের অভিশাপ দেবে। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আসামিরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন আইনের হাত অনেক শক্তিশালী।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করার আওয়াজ উঠেছে। হত্যা খুনের বিচার হবে। গায়েবি মামলা থেকে মুক্তি পাবে। চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাবে। লুটেরাদের কবর রচনা হবে। বাংলাদেশের ভোটাধিকার ফেরার জন্য সব কিছু করা হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর একজন মানুষও গুমের শিকার হয়নি। পুলিশ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেনি। বাংলাদেশকে একটি বসবাসযোগ্য বাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পালনে কাজ করা হচ্ছে। আইনের পরিবর্তন করার এখনই সময়। আমাদের স্লোগান, আমার ভোট আমি দেব যাকে ইচ্ছা তাকে দেব। আমাদের দায়িত্ব হলো আপনাকে ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে পৌঁছে দেওয়া। আপনি ইচ্ছামতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল জোর দিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি লুট মাদক ঘুস কমিশন বাণিজ্য চলবে না। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীসহ যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের শুধু বদলি নয়, একটি মামলা ধরিয়ে দেওয়া হবে। বিরোধী দলের কারও কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হলেই ব্যবস্থা। জনগণের টাকায় উন্নয়ন কাজ করে থাকে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, শৈলকুপা বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ প্রমুখ।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর