thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

পদত্যাগের পরও মন্ত্রী, রিট বৃহস্পতিবার

২০১৩ নভেম্বর ১৩ ২০:৪১:২৭
পদত্যাগের পরও মন্ত্রী, রিট বৃহস্পতিবার

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : পদত্যাগের পরও মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এ আবেদনটি করা হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

বুধবার ড. তুহিন মালিকের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৪৯ জন পদত্যাগ করা মন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ দেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে ফ্যাক্সযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়া না হলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানান রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে মঙ্গলবার একই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু। ওই নোটিশেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

সোমবার বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তারপরও তারা প্রটোকলসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্কও শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আইনী লড়াইয়ের ফলাফল কি দাড়াবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বুধবার দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, পদত্যাগের পরও মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন, মন্ত্রীরা আর্থিক সুবিধা ও প্রটোকল সুবিধা নিচ্ছেন যা অবৈধ ও অনৈতিক। কেননা সংবিধানের ৫৮(১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেদিন মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তখন থেকেই তা কার্যকর হয়ে গেছে।

নোটিশে পদত্যাগী মন্ত্রীদের সাবেক মন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে মন্ত্রীদের নাম বাদ দেওয়ার জন্যও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রীদের বাসার ঠিকানায় এই নোটিশটি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

পদত্যাগের পর দায়িত্ব পালনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, পদত্যাগের পর মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালন করলে সংবিধানের ৭ক (১) খ অনুযায়ী তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। কারণ সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন সাংবিধানিক পন্থায়- এই সংবিধান বা ই্হার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা এই সংবিধান বা উহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।’

(দিরিপোর্ট/এআইপি/এসবি/এমডি/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর