রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপিত ১৮ দলের বক্তব্য
দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেখা করেন ১৮ দলীয় জোটের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
১৮ দলের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া লিখিত বক্তব্য দিরিপোর্টের পাঠকের জন্য হুবহু নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
তারিখঃ ১৯ নভেম্বর ২০১৩
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বক্তব্য
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
জাতীয় জীবনের এই সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন, ১৮ দলীয় জোটের প্রধান, স্বৈরাচার-বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী, বর্তমান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা, নন্দিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আজ আমরা আপনার সমীপে কিছু বক্তব্য পেশ করার জন্য এসেছি।
আপনার অজানা নয় যে, দেশ আজ এক গভীর সংকটে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সকল দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব হবে কিনা এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা- সেটাই আজ এক জ্বলন্ত প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পদত্যাগী মন্ত্রীদের দিয়ে দায়িত্ব পালন, মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠান এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রজাতন্ত্রের সংবিধান গুরুতরভাবে লংঘণ করা হয়েছে।
এরপর নির্বাচনকালীন সরকারের নামে মহাজোটের সদস্যদের নিয়েই মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করে সংকটকে আরো তীব্রতর করা হয়েছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ধারায় আপনি কোনো আগন্তুক নন। একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ, অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমকালীন রাজনীতিতে আপনি কার্যকর ভূমিকা রেখে এসেছেন। ফলে এর গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে আপনি নিজেই সম্যক অবহিত রয়েছেন।
জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৫-৯৬ সালের আন্দোলনে আপনি নিজেও সক্রিয়ভাবে শামিল ছিলেন। আপনি জানেন যে, ১৭৩ দিন হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ, গণকার্ফু জারি, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি, বাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে আরোহীদের পুড়িয়ে হত্যা, পুলিশ খুন, বন্দর অচলসহ বিভিন্নমুখি কর্মসূচি ও ঘটনা-দুর্ঘটনায় সেই আন্দোলন কতটা ভয়ংকর সহিংস হয়ে উঠেছিল।
সংলাপ কিংবা আলোচনার কোনো আহ্বানে তদানীন্তন বিরোধী দল যে সাড়া দেয়নি, তা-ও আপনি জানেন। জাতীয়-আন্তর্জাতিক কোনো ফয়সালা, মধ্যস্থতার উদ্যোগ বা সমঝোতার প্রস্তাবেও যে তারা রাজী হয়নি, তা-ও আপনার অজানা নয়।
আপনি একথাও জানেন যে, প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সন্নিবেশিত থাকার পরেও সেই সরকারের প্রধান কে হবেন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আপত্তি তুলে বর্তমান মহাজোট ২০০৭ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। তারপর তাদের সহিংস আন্দোলন ও লগি-বৈঠার পৈশাচিক তাণ্ডবে অনেক মানুষকে শোচনীয়ভাবে জীবন দিতে হয়েছিল।
অতীতের এসব তিক্ত ও নৃশংস অভিজ্ঞতার আলোকে সকলের কাছেই এটা বোধগম্য ও সুস্পষ্ট যে, প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতীয় সংসদের একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা যে-কোনো নির্বাচনের উদ্যোগ কেবল সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাই ব্যাহত করে না বরং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত করে তোলে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
আপনি একথা খুব ভালোভাবেই অবহিত রয়েছেন যে, বর্তমান সরকার একতরফাভাবে শাসনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তুলে দিয়ে চরম অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিয়েছে। এর মাধ্যমেই বর্তমান সংকটের সূচনা হয়েছে।
আপনি জানেন যে, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রহিত করার কোনো প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না। কাজেই এ ব্যাপারে তারা জনগণের কোনো ম্যন্ডেটও পায়নি। সংবিধান সংশোধনকল্পে গঠিত কমিটি যখন মতামত গ্রহণ করে তখন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগারিক ও সংবিধান-বিশেষজ্ঞগণ সকলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও অভিন্ন মতামত প্রদান করা হয়েছিল। এমন-কি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছিল যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বহাল রাখা প্রয়োজন। ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে হাইকোর্ট নিয়োজিত সংবিধান-বিশেষজ্ঞ প্রবীণ আইনজীবীগণ সকলেই জাতীয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মত প্রদান করেন। সংবিধান সংশোধন কমিটির তরফ থেকে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখা হবে। এ সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া সংক্ষিপ্ত রায়েও রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছিল। এত কিছু সত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংবিধানের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রহিত করে দেশকে এক চরম অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে, বর্তমানে মহাজোট ক্ষমতায় থেকে, জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে আয়োজন করছে তা অনিবার্যভাবেই হবে এক অসম প্রতিযোগিতা এবং এতে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল পক্ষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হবে না। নির্বাচন কমিশন এবং সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে যেভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে তাতে কেউ-ই বিশ্বাস করে না যে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের সামান্যতম কোনো সুযোগ রয়েছে।
সে কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি এবং সংলাপের মাধ্যমে এ ব্যাপারে একটি ঐক্যমত ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আপনি নিজেও জানেন, আমাদের সেই দাবি ও আহ্বান বারবার কিভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
আপনি জানেন, মহাজোটের বাইরের সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষসহ দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে। সংলাপের মাধ্যমে এ ব্যাপারে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করে সকল দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তাদের প্রত্যাশা। জনগণের এই আকাঙ্খার বিপরীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর অধীনে একটি মন্ত্রিসভায় বিরোধী দল থেকে কিছু সদস্য অন্তর্ভূক্ত করার একটি প্রস্তাব দেন। তিনি তাঁর সে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলের নেতাকে হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে একটি নির্দিষ্ট তারিখে গণভবনে যাবার শর্তযুক্ত আমন্ত্রণ জানান। বিরোধী দলীয় নেতা তাঁর সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং হরতালের পর যে-কোনো দিন আমন্ত্রণ জানালে তাতে তিনি যোগদানের ব্যাপারে সম্মতি দেন। তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে একটি সমঝোতার পৌঁছার জন্য তিনি আলোচনায় সম্মত আছেন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এ ব্যাপারে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
আপনি অবগত রয়েছেন যে, এরপর ব্যবসায়ী নেতারা দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব করলে তাতে বিরোধী দলীয় নেতা সম্মতি দিলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাতে সাড়া দেননি। তিনি অনমনীয় মনোভাব নিয়ে ক্ষমতায় থেকে একতরফা নির্বাচনের পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই যে, বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে যে কোনো প্রহসনের নির্বাচনের উদ্যাগ মেনে নেবে না।
আপনি নিশ্চয়ই অবহিত রয়েছেন যে, সরকার দেশে প্রায় জরুরি অবস্থার মত এক অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। জনগণের মৌলিক মানবিক অধিকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাভাবিকভাবে কাজ-কর্ম পরিচালনা করতে দেয়া হচ্ছে না। বিরোধী দলের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয় প্রায় নিয়মিত অবরোধ করে রাখা হচ্ছে। বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির দিনে সরকারি দল পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় বেআইনি অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমে সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনের নামে পুলিশ গুলি চালিয়ে মাত্র এক মাস সময়ের মধ্যে বিরোধী দলের আড়াইশরও বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। এতো রক্তপাত ও নৃশংসতা কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনাও করা যায় না।
এই পরিস্থিতিতেও আমরা দেশে গণতন্ত্র, শান্তি-স্থিতিশীলতা ও জননিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে এখনো সংলাপের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। সরকার তাদের জোটের সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন এবং বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সংলাপের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
আমরা তাই, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসাবে আজ আপনার কাছে এসেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনার কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনি সরকারকে বলুন, তারা যেন অবিলম্বে সংঘাত, হানাহানি ও হীংস্রতার পথ পরিহার করে সংলাপের একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারা যেন অবিলম্বে র্নিদলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতার পথে অগ্রসর হয়।
প্রজাতন্ত্রের সংবিধান থেকে উৎসারিত আপনার ক্ষমতা ও সীমবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা সচেতন রয়েছি। কিন্তু কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যখন রাজনীতিকদের হাতে প্রণীত এবং সংকীর্ণ স্বার্থে রদবদলকৃত সংবিধানের ধারা-উপধারা জনগণের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকে না। তখন তা সংকট নিরসনের পথ-নির্দশনা দিতে সক্ষম হয় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের প্রত্যাশাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সংবিধানকে পুনর্বিন্যস্ত করতে হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিকেও তখন ইতিহাস-নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা মনে করি, আজ জাতীয় জীবনে তেমনই একটি সময় এসেছে। দেশ-জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসাবে আপনি নিজে উদ্যোগী হয়ে তেমনই একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবেন, দেশবাসীর সেটাই প্রত্যাশা। আমরাও সেই আশাই করি।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৮ দলীয় জোটের পক্ষে,
(মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর)
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
(দিরিপোর্ট/টিএস/এমএইচ/এমএআর/নভেম্বর ১৯, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- নারায়ণগঞ্জে পেপার মিলে অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ১১
- দারুণ শুরুর পর হতাশার দিন বাংলাদেশের
- নিউ এজ সম্পাদককে হয়রানি: অভিযুক্তকে প্রত্যাহার, এসবির দুঃখপ্রকাশ
- ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
- তাজরীন ট্রাজেডির এক যুগ
- বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- যুক্তরাজ্যের প্রেস মিনিস্টার হলেন আকবর হোসেন
- ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ: আপিলে যাচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ
- প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
- শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা
- ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণ
- গায়ানার স্কোয়াডে যোগ দিলেন সাকিব
- অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৫ উইকেট
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদদের স্মরণসভা করার নির্দেশ
- না ভোট ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
- ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও সুযোগ পেলে গলা চেপে ধরবে আ.লীগ: রিজভী
- খুনি হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
- গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৭৫ প্রাণ
- ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৭৫ প্রাণ
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- গায়ানার স্কোয়াডে যোগ দিলেন সাকিব
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- না ভোট ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা