thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

তূর্য ঘোষ হত্যা মামলা

৫ ফাঁসির আসামির সাজা কমালো হাইকোর্ট

২০১৩ নভেম্বর ২৪ ১৭:০০:৪২
৫ ফাঁসির আসামির সাজা কমালো হাইকোর্ট

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : পূরবী জুয়েলার্সের মালিক জগন্নাথ ঘোষের ছেলে তূর্য ঘোষ রনি হত্যা মামলায় পাঁচ ফাঁসির আসামির সাজা কমিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টে। আদালত দুজনকে যাবজ্জীবন, দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন।

বিচারপতি আব্দুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন।

নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আসামিদের আপিলের উপর শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ে শাহাদাত হোসেন লিটন ওরফে খোড়া লিটন ও তার ভাই আল মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আবু সাঈদ ও শামসুন নাহার শিউলীকে সাতবছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং অপর আসামি ফরহাদ আলম হীরাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নিম্ন আদালত ওই পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিল।

হাইকোর্টে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, আমিনুল ইসলাম ও খবির উদ্দিন এবং বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। হাইকোর্টে এ রায় ঘোষনার সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত তূর্য ঘোষের পিতা জগন্নাথ ঘোষ।

২০০৮ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খুলনার দৌলতপুর থানার পাবলা মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহাদাত হোসেন লিকন ওরফে খোড়া লিটন ও তার ভাই আল মামুন, বরিশালের কোতোয়ালি থানার রূপাতলীর মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আবু সাঈদ, সিজিএ অফিসের অডিটর মো. ফরহাদ আলম হীরা এবং তূর্য ঘোষের কথিত স্ত্রী শামসুন নাহার শিউলী।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, তূর্য ঘোষকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর উত্তরার বাসা থেকে ১৬৮/দক্ষিণ রামপুরায় শিউলীর ভাড়া বাসায় (মিলমিস ভিলা) আটক রাখে। এরপর তার খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করা হয়। রাতে তূর্যের জ্ঞান ফিরলে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কিন্তু মক্তিপণের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ দুই টুকরা করে এক টুকরা রামপুরা টিভি সেন্টারের পেছনে নুরা পাগলের গলিতে এবং অপর টুকরা ওয়াপদা ঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।

এরপর আসামিরা তূর্যের পিতাকে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দিলে তূর্যকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা ও সাড়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার দিতে রাজি হন তূর্যের বাবা। মিরপুর গোলচত্বরে সেই টাকা ও স্বর্ণালংকার হস্তান্তর করা হয়। এরপরও তাকে মুক্তি না দেওয়ায় তূর্যের বাবা বাদি হয়ে ওই বছরের ৭ নভেম্বর উত্তরা থানায় অপহরণ মামলা করেন। ১১ ডিসেম্বর তূর্যের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০ ডিসেম্বর আসামি আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

২০০৭ সালের ৩ মার্চ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। আদালত ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন।

নিম্নআদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দী আসামিরা সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে।

(দিরিপোর্ট/এআইপি/এমএআর/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর