thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

জৈন ধর্ম : উৎপত্তি ও সারৎসার

২০১৩ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:২৩:৩৪

ভারতবর্ষে নানা ধর্মমতের উদ্ভব হয়েছে। উপমহাদেশ ছাড়াও এ সব ধর্ম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানাস্থানে। সে সব ধর্মের অন্যতম একটি জৈন ধর্ম। মূলত ধর্মের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের পরমমুক্তির পথ বাতলে দেওয়া। সে পথের সন্ধান দিতে গিয়ে সুদৃঢ় বিশ্বাসের জায়গা থেকে তৈরি হয়েছে নানামত, নানাপথ। এ পর্যায়ে আজ আমরা ধর্ম বিভাগে পাঠকের জন্য উপস্থিত করেছি জৈনধর্ম বিষয়ক নিবন্ধটি। বি.স.

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জৈনধর্ম প্রাচীন ভারতে প্রবর্তিত অন্যতম ধর্মমত। এই মত একই সঙ্গে ধর্ম ও দর্শন হিসেবে আলোচিত হয়। দর্শন হিসেবে এটি ভারতীয় দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধর্মের মূল বক্তব্য হল সকল জীবের জন্য শান্তি ও অহিংসার পথ গ্রহণ। বলা হয়ে থাকে দৈব চৈতন্যের আধ্যাত্মিক সোপানে স্বচেষ্টায় আত্মার উন্নতি। যে ব্যক্তি বা আত্মা অন্তরের শত্রুকে জয় করে সর্বোচ্চ অবস্থাপ্রাপ্ত হন তাঁকে জিন (জিতেন্দ্রিয়) আখ্যা দেওয়া হয়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতে জৈনধর্মকে শ্রমণ ধর্ম বা নির্গ্রন্থদের ধর্মও বলা হয়েছে। জৈন ধর্মের মূল গ্রন্থ হল ‘অগমা’। অপেক্ষাকৃত অপ্রধান গ্রন্থ হচ্ছে, আচারঙ্গ সূত্র, উত্তর অধ্যয়ন সূত্র, সূত্র কৃতঙ্গ। ঈশ্বরহীন এই ধর্ম মতে, নির্বাণ বা মোক্ষলাভ মানব জীবনের পরম লক্ষ্য।

কথিত আছে, তীর্থঙ্কর নামে চব্বিশ জন মহাজ্ঞানী কৃচ্ছ্বসাধকের একটি ধারা পর্যায়ক্রমে জৈনধর্মকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এদের মধ্যে তেইশতম তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ (খ্রিষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী) ও সর্বশেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন বর্ধমান মহাবীর (খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী)। বর্ধমান মহাবীর তপস্যায় জ্ঞান লাভের মাধ্যমে ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন বলে তাঁকে জিন বলা হয়। এই জিন থেকেই জৈন শব্দের উৎপত্তি। ভারতে এই ধর্মালম্বীদের সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, দূরপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্বের অন্যত্রও অভিবাসী জৈনদের দেখা মেলে।

পত্তি: জৈনরাও সেটাই বিশ্বাস করে যে তাদের ধর্ম সম্পূর্ণ মানব বিবর্তনের পথে প্রথম ধর্ম বা মানুষের আদি ধর্ম। তবে জৈন ধর্মমতের প্রথম তীর্থঙ্কর 'ঋষভ' কে পাওয়া যায় হরপ্পা সভ্যতারও আগে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে পাঁচ হাজার বছর আগেও এই ধর্ম প্রচলিত ছিল। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর খনন কাজ থেকে যে আদি ভারতীয় ধর্ম উঠে আসে, তা ছিল অষ্ঠাঙ্গিক যোগ নির্ভর। ঐতিহাসিক হেনরি মিলার ও জন মার্শাল মহেঞ্জোদারোর যোগী মূর্তিগুলোর ওপর গবেষণা করে সিদ্ধান্তে আসেন যে এগুলি জৈন ধর্মের কায়সর্গর ( একটি বিশেষ যোগভঙ্গি যা জৈনরা অনুসরণ করে) পূর্বসূরী। মূলত হরপ্পা মহেঞ্জাদারোর ধর্ম ও আধ্যাত্ম-চেতনা আজো টিকে আছে জৈন ধর্মের মধ্যে দিয়ে।

মহাবীর: জৈন ধর্মের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর অর্থাৎ চব্বিশতম তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীরের জন্ম বৈশালী নগরীর কুন্দলপুরের (বর্তমান বিহার মতান্তরে পাটনা) একটি ক্ষত্রিয় পরিবারে। রাজা সিদ্ধার্থ ও রানী ত্রিশলার সন্তান তিনি। তার স্ত্রীর নাম যশোদা। তারা মহাবীরের পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের অনুসারী ছিলেন। মহাবীরের সময়কাল ৫৯৯ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৫২৭ খ্রিষ্টপূর্ব [মতান্তরে ৫৪৯ খ্রিষ্টপূর্ব - ৪৭৭ খ্রিষ্টপূর্ব]।

বর্ধমান মহাবীর ত্রিশ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। এ সময়ে তিনি সর্বস্ব এমনকি পরিধেয় বস্ত্রও ত্যাগ করেছিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পরে ১২ বছরের তপস্যায় তিনি 'কেবল'জ্ঞান লাভ করেন। দিগম্বর অবস্থাতেই তিনি বিভিন্ন লোকালয়ে তাঁর মত প্রচার করতেন। তাঁর মৃত্যুর বেশ কিছুকাল পর জৈনদের মধ্যে বিভাজন হয় এবং দুটি মতের সৃষ্টি হয়।

১. দিগম্বর- যারা সম্পূর্ণ নিরাভরন থাকায় বিশ্বাসী

২. শ্বেতাম্বর- যারা অল্প বস্ত্র পরিধানে বিশ্বাসী।

দিগম্বর: দিগম্বর সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে একজন ভিক্ষু সবসময় নগ্ন অবস্থায় থাকেন। তার কারণ হলো একজন প্রকৃত ভিক্ষু কখনো পার্থিব বিষয়-সম্পত্তির অধিকারী হবেন না। তিনি জাগতিক আবেগ-অনুভূতি, যেমন- লজ্জা ইত্যাদি প্রদর্শন করবেন না। এমনকি একটি ভিক্ষাপাত্রও নিজের অধিকারে রাখতে পারবেন না। কথিত আছে এইরূপ একটি দল বাংলা অঞ্চল অতিক্রমকালে ওই সময় এই দেশের অধিবাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হন।

দিগম্বর সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মতে নারীরা কখনও মোক্ষ লাভে সমর্থ নয়। তাদের মুক্তি বা মোক্ষ লাভের জন্য অন্য কোনো জন্মে পুরুষ হিসাবে জন্মগ্রহণ করেই তা অর্জন করতে হবে। কারণ নারীরা যথার্থরূপে একজন যোগীর জীবন যাপন করতে সক্ষম নন। সামাজিক কারণেই তাদেরকে বস্ত্র পরিধান করতে হয়। একজন নারীর নগ্ন অথবা বস্ত্রহীন থাকাটা অবাস্তব ধারণা। তাছাড়া নারীরা স্বভাবজাতভাবে ক্ষতিকর।

শ্বেতাম্বর: এরা সাদা কাপড় পরিধান করেন। একটি ভিক্ষাপাত্রও নিজের অধিকারে রাখতে পারেন। তাদের হাঁটার পথ থেকে পোকামাকড় সরাবার জন্য একটি ঝাড়ুও সঙ্গে রাখেন। বইপত্র এবং লেখার সামগ্রীও তারা অধিকারে রাখতে পারেন।

পাঁচটি মহাব্রত: আচারগতভাবে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তারা জৈন দর্শনের মূল বিষয়ে একমত। এগুলো বলা হয়-মহাব্রত; যার উদযাপনের কথা বর্ধমান মহাবীর বলে গেছেন। আর এগুলি হচ্ছে-

১.অহিংসা: জৈন ধর্মের মূলমন্ত্র অহিংসা। নিজের কথায় কাজে বা মননে যাতে কোন জীব ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেটা বিশেষভাবে মেনে চলতে হবে। অহিংসাই পরম ধর্ম। মহাবীর বলেছেন, ‘অহিংসার চেয়ে মহৎ কোন গুণ নেই এবং জীবের প্রতি প্রেমের চেয়ে বড় কোন পুণ্য নেই।’ কোনো প্রাণী বা জীবিত স্বত্তাকে আঘাত করা, গালাগাল করা, অপমান করা, পরাভূত করা, উৎপীড়ন করা, হয়রানি করা বা হত্যা করা জঘন্য অপরাধ। জৈনমতে সহিংসতার তিনরূপ রূপ- দৈহিক উৎপীড়ন, মানসিক উৎপীড়ন ও বাচনিক উৎপীড়ন।

২.সুনৃত (সত্য): সুনৃত শব্দটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, যে কথা শুনলে অপরের আনন্দ হয়, যে কথায় লোকের মঙ্গল হয় ও তার পরিনাম সুন্দর হয়, তাকেই সুনৃত বলে। জৈন মতে একজন পুত্র যেমন মাকে বিশ্বাস করতে পারে, মানুষের সততা সেই পর্যায়ের হওয়া উচিত যাতে তোমাকে সবাই মায়ের মতন বিশ্বাস করবে। আর যদি সততার জন্যে হিংসার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা থাকে, জৈন নীতি অনুযায়ী নির্বাক থাকায় শ্রেয়।

৩. মূলত (অচৌর্য): মানুষ তার নিজস্ব অর্জনে তৃপ্ত থাকবে। অপরের প্রাপ্য সঠিকভাবে পরিশোধ করবে। অপরের সম্পদে লোভ করবেনা।

৪. ব্রহ্মচর্য: সকল প্রকার বিলাসিতা, ইন্দ্রিয়সেবা, অসংযম থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। গৃহীগণ আপন বৈধ সঙ্গী ছাড়া কারো সাথে ইন্দ্রিয়সুখ উপভোগ করবেনা। যার গৃহী নন অর্থ্যাৎ, সন্তরা চিত্ত নিবৃত্ত করে ইন্দ্রিয়সুখ থেকে বিরত থাকবে।

৫. অপরিগ্রহ: সম্পদে বা সম্পর্কে কারো অধিকার নাই। বর্তমান হচ্ছে সম্পদের রক্ষক, ভবিষ্যতের হাতে সমর্পণের জন্য। সন্তদের জন্য সব ধরনের সম্পদ ও সম্পর্ক পরিত্যাজ্য।

মুক্তি বা নির্বাণ: জৈন ধর্মে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই। তারা আত্মাতত্ত্বে বিশ্বাসী। মানুষের আত্মা দেহের উপর ভর করে মুক্তির পথে পরিভ্রমণরত। বার বার জন্মগ্রহণ করে কর্মক্ষয়ের মাধ্যমে সমস্ত বন্ধন মুক্ত হয়ে নির্বাণ প্রাপ্তির মাধ্যমে মোক্ষ লাভ। এই মোক্ষ লাভ করলেই দেহ থেকে আত্মার মুক্তি। আর জন্মগ্রহণ করতে হবেনা। দেহধারণ মানেই হচ্ছে, রোগ, শোক, যন্ত্রনা, মৃত্যু ইত্যাকার বিবিধ বিষয়ের সম্মুখীন হওয়া। এই দিক থেকে এই ধর্মের সাথে বৌদ্ধ ধর্মের মিল রয়েছে।

আত্মার মুক্তির পরিক্রমায় পঞ্চস্থিতি নামে পাঁচটি স্তর রয়েছে পঞ্চস্থিতি- ১. অরহত, ২. সিদ্ধ, ৩. আচার্য, ৪. উপাধ্যায় ও ৫. সাধু। তপস্যা ও কর্মক্ষয়ের মাধ্যমে এই স্তরগুলো অতিক্রম করে পরম আত্মিক উৎকর্ষের মাধ্যমে পুণ্যাত্মা পায় পরম মুক্তি। এছাড়া জৈন ধর্মে জীব, অজীব, আস্রব, বন্ধ, সংভর, নির্জরা ও মোক্ষ নামে সাতটি তত্ত্ব আছে।

প্রার্থনা : এই ধর্মে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রার্থনার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।ভোরেপঞ্চ মনস্কার সূত্র পালন করতে হয়-

১. আলোকিত আত্মা বা আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের উদ্দেশ্যে অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন।

২. মুক্ত আত্মা বা আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের উদ্দেশ্যে অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন।

৩. ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন আধ্যাত্মিক নেতার উদ্দেশ্যে অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন।

৪. ধর্মীয় শিক্ষক বা আচার্যের উদ্দেশ্যে অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন।

৫. পৃথিবীর সমস্ত ভিক্ষুগণের উদ্দেশ্যে অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন।

পরিক্রমণ: বিগত রাতে নিজ আত্মার যে ক্ষতি সাধন হয়েছে, তার জন্য অনুতাপ করা।

এছাড়া জৈন ধর্মে তীর্থঙ্করের উদ্দেশ্যে অষ্টপ্রকারী পূজা করা হয়- জলপূজা, চন্দনপূজা, পুষ্পপূজা, ধূপপূজা, দীপকপূজা, অক্ষতপূজা, নৈবেদ্যপূজা ও ফলপূজা।

অবদান: অহিংসা ও পরমত সহিষ্ণুতা এই ধর্ম ও দর্শনের সবচেয়ে বড় উপাদান। এছাড়া ভারতবর্ষের শিক্ষা ও ভাষার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

জৈনরা প্রাচীন শ্রমণ অর্থাৎ, কৃচ্ছ্বসাধনার ধর্মকে আজও বহন করে নিয়ে চলেছেন। ভারতের অপরাপর ধর্মমত, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব সবিশেষ। শিক্ষাক্ষেত্রে বৃত্তিদানের প্রথা জৈনদের মধ্যে প্রাচীনকাল থেকে বিদ্যমান। ভারতে এই সম্প্রদায়ের সাক্ষরতার হারও বেশি। এছাড়া এই অঞ্চলের প্রাচীনতম গ্রন্থাগারও তাদের।

ভারতবর্ষে প্রাকৃত ও সংস্কৃত ভাষার উন্নতি ও অগ্রগতিতে জৈন ধর্মের ভূমিকা অপরিসীম। তেইশ নম্বরে তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ছিলেন কাশির এক রাজার পুত্র। যিনি রাজপ্রাসাদের জৌলুসতা পরিত্যাগ করে শুধু ধর্মীয় অনুভূতির কারণেই সংসার ত্যাগ করেন। কঠোর সাধনা ও আধ্যাত্ম চর্চার মাধ্যমে তীর্থঙ্করের মর্যাদা লাভ করেন। তার উপদেশাবলির সমন্বয়ে 'চতুর্যাম' নামক জৈন ধর্মের গ্রন্থ রচিত হয়। যা জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। পার্শ্বনাথ যখন তার চতুর্যাম রচনা করেন তখন প্রাকৃত ভাষার জীবন-মৃত্যু সন্ধিক্ষণ। সংস্কৃত ভাষার প্রচলনই ব্যাপক। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় ধর্মচর্চা ও ধর্মীয় গ্রন্থাদি রচিত হওয়ায় ধর্মের প্রসারের মধ্য দিয়ে প্রাকৃত ও সংস্কৃত ভাষারও ব্যাপক বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। ধর্ম প্রচার ও ধর্মীয় বাণীর প্রসারকল্পে তখন জৈন ধর্মে প্রাকৃত ও সংস্কৃতই মাধ্যমে পরিণত হয়।

সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষা বাদেও তৎকালীন কথ্য ও চলিত ভাষার সমন্বয়ে অন্য একটি ভাষার সৃষ্টি হয়েছিল তার নাম 'অধর্মগধ'। মহাবীর তার ধর্মের বাণী রচনা করেছিলেন অধর্মগধ ভাষায়। এটি ছিল মূলত একটি মিশ্র ভাষা। বর্তমান ভারতের হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি প্রভৃতি ভাষার উৎপত্তির আগে এদেশে অন্য যেসব ভাষা ব্যবহৃত হতো জৈন সাধক পুরুষরা ধর্ম প্রচারের সুবিধার জন্য ওইসব ভাষার সমন্বয়ে 'অপভ্রংশ' নামে নতুন একটি ভাষার প্রচলন ঘটান। এ অপভ্রংশের ব্যবহারে নানা ভাষার যোগসূত্রতা রয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় জৈনদের মাধ্যমে তামিল ভাষারও উন্নতি সাধিত হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/ওএস/ডব্লিউএস/একেএম/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

ধর্ম এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম - এর সব খবর