thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি 25, ৭ মাঘ ১৪৩১,  ২১ রজব 1446

না.গঞ্জে অত্যাধুনিক ৩টি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার ২

২০১৩ ডিসেম্বর ২৬ ২২:৫১:৩৫
না.গঞ্জে অত্যাধুনিক ৩টি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার ২

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : জেলায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত), দুই এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

পুলিশের পাল্টা গুলিতে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সোয়াদ হোসেন বান্টি (৩৬) আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন। তার কাছ থেকে পুলিশ আমেরিকায় তৈরি তিনটি অত্যাধুনিক পিস্তল, ১৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় সদর মডেল থানার এসআই আতাউর নগরীর বাবুরাইল তাঁতীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বদু মিয়ার ছেলে সবুজকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও ৫৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে পুলিশকে জানায়, বান্টি তার কাছ থেকে গুলি কেনে। এ তথ্য জানতে পেরে পুলিশ সবুজকে ব্যবহার করে বান্টিকে গ্রেফতারের ফাঁদ পাতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সবুজকে নিয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নগরীর সৈয়দপুর টানা ব্রিজ এলাকায় গিয়ে অপেক্ষায় থাকে। এক পর্যায়ে কয়েকজন সহযোগীসহ বান্টি ওই এলাকায় আসে। পুলিশ এ সময় বান্টিকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করা শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিঁছু হটে। ঘটনার সময় সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহজালাল, এসআই আতাউর, এসআই ইয়াসিন এবং কনস্টেবল (কং নং-৯৭০) আসাদ মিয়া আহত হন। গুলির স্প্লিন্টার লেগে আহত হন এসআই আতাউর। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বান্টিকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি দুটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু মিলিমিটার এবং একটি টু টু বোর পিস্তল ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। তিনটি পিস্তলে ১৩ রাউন্ড গুলি ভর্তি ছিল।

আহত পুলিশ অফিসার এবং বান্টিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বান্টির বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় তিনটি অস্ত্রসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। আহত বান্টিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ১৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোঁড়ে।

পুলিশ নির্ধারিত ফটোসাংবাদিক ছাড়া কাউকে গ্রেফতার হওয়া বান্টির ছবি তুলতে দেয়নি। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কোন সাংবাদিককেও পুলিশ ছবি নিতে দেয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এমএআর/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর