বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নেওয়া ধর্মগুলোর অন্যতম বৌদ্ধধর্ম। এর মৌলিক প্রস্তাবনা হলো জীবনের সঙ্গে দুঃখের সম্পৃক্ত, এর কারণ ও নিদান খোঁজা। এটি একই সঙ্গে দার্শনিক ধারণা। এর ব্যবহারিক গুণে পাশ্চাত্যের আনুধানিক দর্শনের গুরুতর সমালোচনাও বটে। এই ধর্মের প্রবর্তক গৌতমবুদ্ধ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে।
বুদ্ধের মতে জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারো নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। মানুষের কামনা-বাসনা সবই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখ মিশ্রিত এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই। নির্বাণ লাভে এই দুঃখের অবসান ঘটে। কামনা-বাসনার নিস্তারের মাঝে অজ্ঞানতার অবসান ঘটে। এতেই পূর্ণ শান্তি অর্জিত হয়। অজ্ঞানতা বা অবিদ্যার অবসান বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বৌদ্ধধর্মে কর্মের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
প্রধান দুই মতবাদ: বৌদ্ধধর্মের প্রধান দুটি মতবাদ হলো- হীনযান বা থেরবাদ ও মহাযান। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ।
হীনযান মতে, বুদ্ধ একজন সাধারণ মানুষ। তারা তাঁকে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তিনি নির্বাণে প্রবেশ করায় তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাব সম্পূর্ণ রহিত হয়েছে এবং তিনি আর এই দুঃখময় সংসারের ধার ধারেন না। তিনি এখন নির্বাণের পরিপূর্ণ শান্তি উপভোগ করেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও তপস্যার দ্বারা মুক্তি বা নির্বাণ লাভের অধিকারী হওয়া যায়।
মহাযান মতে, বুদ্ধ ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত। সাধারণ মানুষ ঈশ্বরের পূজার মতো বুদ্ধেরও পূজা অর্চনা করতে পারে এবং তাঁর করুণা ও সাহায্যপ্রার্থী হতে পারে। তিনি শারিরীকভাবে নির্বাণ গমন করলেও আমাদের মধ্যে আছেন। প্রয়োজন হলে মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে অবতীর্ণ হতে পারেন। তাই তারা নির্বাণের প্রত্যাশী নন, তারা গৌতম বুদ্ধের মতো বুদ্ধত্ব লাভের প্রত্যাশী।
বুদ্ধ ও বোধি: ‘বুদ্ধ’ বলতে সাধারণত জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী ও জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয়। সিদ্ধার্থ গৌতম এমনই একজন ‘বুদ্ধ’। বোধিজ্ঞান লাভ করে বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। বৌদ্ধধর্মের নীতিকথামূলক গ্রন্থ জাতকে বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ (মতান্তরে ৫৪৯) বার বিভিন্ন বংশে জন্ম নেওয়ার উল্লেখ আছে। বুদ্ধত্ব লাভের ফলে তিনি এই দুঃখময় পৃথিবীতে আর জন্ম নেবেন না, এটাই ছিলো তাঁর শেষ জন্ম।
গৌতমবুদ্ধ: সিদ্ধার্থ বা গৌতমবুদ্ধ উত্তর-পূর্বভারতের কপিলা বাস্তু নগরীর রাজা শুদ্ধোধনের পুত্র। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনি কাননে (নেপাল) জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্মের সাতদিন পর মা রাণী মহামায়া মারা যান। সৎমা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন পালন করেন, তাই তাঁর অপর নাম গৌতম। তিনি সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন। তাঁকে সংসার অনুরাগী করার জন্য ১৬বছর বয়সে যশোধরা নামে সুন্দরী রাজকন্যার সাথে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। রাহুল নামে তাদের একটি ছেলে হয়। উদাসীন সিদ্ধার্থকে খুশি রাখতে শুদ্ধোধন চার ঋতুর জন্য চারটি প্রাসাদ তৈরি করে দেন।
একদিন তিনি বাবার কাছে রথে চড়ে নগর পরিভ্রমণের অনুমতি পান। শুদ্ধোধন সারা নগরীতে উৎসব করার নির্দেশ দেন। প্রথমদিন নগরী ঘুরতে গিয়ে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, দ্বিতীয়দিন একজন অসুস্থ মানুষ, তৃতীয়দিন একজন মৃত ব্যক্তি এবং চতুর্থদিন একজন সন্ন্যাসী দেখে তিনি সারথিকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন‘ জগত দুঃখময়’। তিনি বুঝতে পারেন সংসারের মায়া, রাজ্য, ধন-সম্পদ কিছুই স্থায়ী নয়।
দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে এক পূর্ণিমা রাতে তিনি গৃহত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৬ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি বুদ্ধ গয়া নামক স্থানে ৫৮৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৩৫ বছর বয়সে একটি বোধি বৃক্ষের নিচে বোধিজ্ঞান লাভ করেন। এরপর ৪৫ বছর ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধধর্মের বাণী প্রচার করেন। ৪৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিনি কুশী নগরে ৮০বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন।
বৌদ্ধধর্মে পরকাল: ভালো ও মন্দ কাজের ভিত্তিতে পরকালের স্থান নির্ধারিত হয়। যা পরিভ্রমণ বিশেষ। বৌদ্ধধর্ম মতে, মৃত্যুর পর মানুষ ৩১ লোকভূমির যে কোনো একটিতে গমন করে। ৪ প্রকার অপায়: তীর্যক (পশু-পাখিকুল), প্রেতলোক (প্রেত-পেত্নী), অসুর (অনাচারীদেবকুল), নরক (নিরয়)। ৭ প্রকার স্বর্গ: মনুষ্যলোক, চতুর্মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংশ স্বর্গ, যাম স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, নির্মাণ রতি স্বর্গ, পরনির্মিত বসবতি স্বর্গ। আরো রয়েছে ১৬ প্রকার রুপব্রহ্মভূমি ও ৪ প্রকার অরুপ ব্রম্মভূমি। এই ৩১ প্রকার লোকভূমির উপরে সর্বশেষ স্তর হচ্ছে নির্বাণ বা পরম মুক্তি।
নির্বাণ: সকল প্রকার কামনা, বাসনা ও বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ হচ্ছে নির্বাণ।নির্বাণ হলো বৌদ্ধধর্ম মতানুসারে সাধনার চরম পরিণতি বা পরম প্রাপ্তি বা মোক্ষ লাভের শর্ত। দীর্ঘসময় সাধনার পরে এমন স্তরে পৌঁছানো যায়। নির্বাণ দুই প্রকার- সোপাদি শেষ নির্বাণ ও অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ।
পঞ্চস্কন্ধের বিদ্যমানতায় যদি সর্ববিধ তৃষ্ণার অবসান হয়ে কেউ স্থিতভাবে অবস্থান করে তবে সে অবস্থাকে সোপাদি শেষ নির্বাণ বলে।সোপাদি শেষ নির্বাণের পরবর্তীতে যখন পঞ্চস্কন্দের অবসান হয় তখন অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ বলে।
গৌতমবুদ্ধের মতে, পঞ্চ উপাদান যখন ব্যক্তির তৃষ্ণার বিষয় হয়ে তার কাছে প্রকট হয়, তখন তাকে উপাদান স্কন্ধ বলে। এই পঞ্চ উপাদান স্কন্ধকে তিনি দুঃখ বলেন। এই পঞ্চ উপাদান হল রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার ও বিজ্ঞান।
চতুরার্যসত্য: বৌদ্ধধর্মের স্বীকার্য চার সত্যকে চতুরার্য সত্য বলে-
প্রথম সত্য: জগতে দুঃখ আছে। দুঃখ অলীক বা কাল্পনিক নয়, এর অস্তিত্ব মৌলিক সত্য।
দ্বিতীয় সত্য: দুঃখের কারণ আছে। এর কারণ হলো কামনা বা তৃষ্ণা, যার ফলে জীব বার বার জন্মগ্রহণ করে এবং দুঃখ ভোগ করে।
তৃতীয় সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। কামনার নিবৃত্তি হলে নির্বাণ লাভ হয় এবং সকল দুঃখের অবসান ঘটে।
চতুর্থ সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। দুঃখ নিবৃত্তির সমাধান হলো নির্বাণ।
অষ্টাঙ্গিক মার্গ: দুঃখ অবসানের মার্গ বা উপায়কে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে। এই আটটি মার্গ একত্রে দুঃখের অবসান ঘটায়। এই মার্গগুলি আটটি বিভিন্ন স্তর নয়, বরং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ পথের সৃষ্টি করে।
আটটি মার্গ হলো–
১.সম্যক দৃষ্টি- সঠিক উপলব্ধি, যার ফলে চতুরার্য সত্যগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারা।
২. সম্যক সংকল্প- সত্যলাভ করার জন্য দৃঢ় বাসনা রাখা।
৩. সম্যক বাক্য- মিথ্যাকথা, কঠোরবাক্য, পরনিন্দা, বৃথা আলাপ ও মূর্খের মতো বাক্যালাপ থেকে নিবৃত্ত থাকা।
৪. সম্যক আচরণ- প্রাণীহত্যা, চুরি, অন্যায় বিচার ও অসংযম হতে সম্পূর্ণ রূপে নিজেকে বিরত রাখা।
৫. সম্যক আজীব- সুস্থ ও সবলতার জন্য সৎ উপায়ে জীবন ধারন করা। জীবন নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ রূপে পাপ ও কলূষমুক্ত হওয়া।
৬. সম্যক প্রচেষ্টা- মনকে শুদ্ধ ও পবিত্র রাখার জন্য সব সময় অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার ও ভালো কাজের চেষ্টা করা।
৭. সম্যক স্মৃতি- দেহে ও মনে সম্পূর্ণ সজাগ ও সচেতন থাকা।
৮. সম্যক সমাধি- ধ্যান অর্থাৎ পরিপূর্ণ একাগ্রতার নাম ধ্যান বা সমাধি। বা সমাধির চারটি স্তর। শেষ স্তরে নির্বাণ লাভ হয়। এ অবস্থায় মানুষের মোহ ও অবিদ্যা চির তরে দূর হয়ে জন্ম এবং দুঃখের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ত্রিশরণ মন্ত্র: আর্য সত্য এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গের আগে ত্রিশরণ মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়-
১. বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি- আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম।
২. ধম্মং শরণং গচ্ছামি- আমি ধর্মের শরণ নিলাম।
৩. সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি- আমি সঙ্ঘের শরণ নিলাম।
বুদ্ধের সঙ্ঘে জাতি-শ্রেণীভেদ ছিল না, সকলেই সমান। ভিক্ষা বৃত্তিই ছিল তাঁদের একমাত্র উপার্জনের পথ। ধনী পৃষ্ঠপোষকেরাও সাহায্যসহযোগিতা করতেন। বৌদ্ধ মতে, একজন ভিক্ষুর থাকবে পরনের তিনখণ্ড কাপড়, মাটির ভিক্ষাপাত্র, একটি সুচ, পানি পানের একটি পাত্র, একটি চিরুনি আর একটি কোমর বন্ধনী।
মধ্যপথ: বৌদ্ধধর্মে চরমপন্থা ও অজ্ঞানতার স্থান নেই। মধ্যপথ অবলম্বন করলে গৌতম বুদ্ধের আলোয় আলোকিত হওয়া যায়। এর বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা রয়েছে। মধ্যপথ বলতে বুঝায়- চরমপন্থী না হওয়া, অস্তিত্ব-অনস্তিত্বের মাঝামাঝি থাকা, নির্বাণ- যেখানে জগতের দ্বৈততা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি থাকেনা এবং বাস্তবতার চূড়ান্ত ফলাফল শূন্যতা।
ধর্মগ্রন্থ: গৌতমবুদ্ধ কোন গ্রন্থ রচনা করেননি। তাঁর মৌখিকভাবে উপদেশ সঙ্কলিত হয়েছে পালি ভাষায় ‘ত্রিপিটক’-এ। ‘পিটক’ শব্দের অর্থ বাক্স। ত্রিপিটক মানে তিন টিপিটকের সমাহার। এই তিনটি পিটক হচ্ছে- সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ও বিনয় পিটক। সুত্ত পিটকে ধর্মবিষয়ক বার্তা, অভিধর্ম পিটকে দার্শনিক বিষয় এবং বিনয় পিটকে সংঘের আচার বিষয়ে গৌতম বুদ্ধের উপদেশ। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সঙ্কলনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতমবুদ্ধের পরিনির্বাণের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে এবং শেষ হয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্দে।
প্রার্থনা: বৌদ্ধরা সাধারণত তাদের ধর্মালয়ে গিয়ে বুদ্ধের সামনে নতজানু হয়ে পালি ভাষায় প্রার্থনা করে। যদিও এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। গৃহীদের জন্য পাঁচটি নিয়ম রয়েছে- প্রাণী হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, মিথ্যা বা কটু বাক্য, নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
তীর্থস্থান: বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবস্তুর লুম্বিনিগ্রাম, বুদ্ধের বোধিজ্ঞান লাভের স্থান বৌদ্ধগয়া, ধর্মচক্র প্রবর্তন স্থান সারনাথ ও পরিনির্বাণ প্রাপ্তির স্থান কুশিনারা।
অবদান: বৌদ্ধধর্ম এই অঞ্চলের জ্ঞানচর্চাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। অহিংসা বৌদ্ধধর্মের অন্যতম ধারণা। ধারণা ও ব্যবহারিক জীবনে এর প্রয়োগ চূড়ান্তভাবে স্বীকৃত। এর সঙ্গে অজ্ঞান বা অবিদ্যা জড়িত। যার বিলয় ঘটলে মানুষের কাছে জগত সত্য উদ্ভাসিত হয়।
বৌদ্ধধর্ম প্রচারের সঙ্গে শিক্ষা ও জ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীন ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা হয় ভিক্ষুদের হাত ধরে। এই জ্ঞানের আলোয় বৌদ্ধধর্ম জাত-পাত বিরোধী নতুন ধরনের আন্দোলনের সূচনা করে। যা জাত-পাতে বিভাজিত ও নির্যাতিত উপমহাদেশের মানুষকে দেয় মুক্তির স্বাদ।
বৌদ্ধধর্মের অবিদ্যা বা অজ্ঞানতার ধারণা অধিবিদ্যিক নয়। এর রূপ প্রায়োগিক। তাই দুঃখকে কার্য-কারণবাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করে। একে বলাহয় প্রতীত্যসমুৎপাদ। যুক্তিবাদিতা এর বৈশিষ্ট্য। তাই এটি বাস্তববাদী। দুঃখ ও নির্বাণের ধারণাকে বৌদ্ধধর্ম নতুনরূপে ব্যাখ্যা করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/একেএম/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:

- সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
- বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত
- "ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে"
- বায়তুল মোকাররমে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া
- সুলতানি-মুঘল আমলের ঐতিহ্যে ঢাকায় ঈদের আনন্দ মিছিল
- জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
- যত বাধাই আসুক, নতুন বাংলাদেশ গড়বই: প্রধান উপদেষ্টা
- দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
- ঢাকার ঈদের জামাতের নিরাপত্তায় থাকবে ১৫ হাজার পুলিশ
- ঢাকায় কখন কোথায় ঈদের জামাত
- গত দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৪১ লাখ মানুষ
- ভালো আছেন খালেদা জিয়া, লন্ডনে পরিবারের সাথে ঈদ করছেন
- জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা
- শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদ
- চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান
- ভিড় থাকলেও নেই ভোগান্তি, ট্রেন ছাড়ছে সময় মতো
- বেইজিং থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
- ড. ইউনূসকে ৫ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী চাই : সারজিস
- জনগণ এবার স্বস্তিতে-নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
- বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
- শিক্ষকদের বেতন দিতে আজও খোলা রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক
- সিদ্ধান্ত বদলে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা জনপ্রতি ১২ ডলারে রইল
- ঢাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ঈদ-নিরাপত্তায় বিশেষ তৎপরতা
- ঈদে ফিরতি যাত্রার ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু
- আজ জুমাতুল বিদা
- স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, নেই যানজট
- বেইজিংয়ে শি জিনপিং ও ড. ইউনূসের বৈঠক
- বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি এখন আমার দখলে: আসিফ
- বাংলাদেশ ছাড়ার আগে হামজা: ইনশা আল্লাহ, আবারও আসব
- হাসপাতাল থেকে দুদিন পর বাসায় যেতে পারবেন তামিম
- নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পেয়েও ‘হতাশ’ নন জেলেনস্কি
- পুঁজিবাজার সংস্কারে টাস্ক ফোর্সের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
- ৬৬৮১ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
- ৬৬৮১ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
- প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান
- দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: ফখরুল
- "প্রথম বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা নয়, তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ লুটপাটের স্বাধীনতা"
- গ্যাসপ্রমকে বাংলাদেশে আরো অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো ২৯৪ কোটি ডলার
- রেমিট্যান্সে নয়া রেকর্ড, ২৪ দিনে এলো ২৭৫ কোটি ডলার
- ইউক্রেনে পাকিস্তানের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রুশ রাষ্ট্রদূতের
- হামজার অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র
- মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল দিল আর্জেন্টিনা
- "জনগণের আস্থা আনতে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই"
- ‘৭১ ও ২৪ এর উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জীবিকা সুষ্ঠু করা’
- রেলওয়ের লোকসানের বড় কারণ দুর্নীতি ও অপচয় : রেলপথ উপদেষ্টা
- "স্বাধীন ভূখণ্ডে এ দেশের মানুষ আর পরাধীন বোধ করবে না"
- একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়: নাহিদ ইসলাম
- "বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন হলে সবাই আবার এক হয়ে যাবে"
- ‘জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে নির্বাচনের কথা বলে বিএনপি’
- স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- আইপিওর খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের
- রিং পরানোর পর তামিমের অবস্থা অনুকূলে
- উত্তাল তুরস্কে পাঁচ দিনে ১১৩৩ মানুষ আটক
- ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন
- ব্যান্ডপার্টিসহ শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে নিজ জেলায় সারজিস
- "বিদ্যমান সংবিধান ত্রুটিপূর্ণ, এটি সংস্কারে দরকার গণপরিষদ নির্বাচন"
- নির্বাচনী সংস্কারের ৯ সুপারিশের ওপর ইসির কাছে প্রস্তাব চাইলো সরকার
- শহীদ আবু সাঈদের বাবাকে আর্থিক সহায়তা সেনাপ্রধানের
- সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান
- জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রসচিব
- সিলেটে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হাতাহাতি
- শেয়ার কারসাজি: ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৯০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড
- একসঙ্গে নাচলেন পরে শাহরুখকেই কাঁদালেন কোহলি
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৩৪ ফিলিস্তিনির
- আজ ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, স্কোর ১৮২
- ভারতের সঙ্গে হওয়া সব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে: আনু মুহাম্মদ
- মিডিয়া ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না : রিজভী
- ড. ইউনূস-মোদি বৈঠক বিবেচনাধীন আছে, বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- বেইজিংয়ের সঙ্গে আরও গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে নজর ঢাকার
- পুঁজিবাজার উন্নয়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভা
- দুটি নতুন নিয়ম আনছে আইপিএল
- ব্যান্ডপার্টিসহ শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে নিজ জেলায় সারজিস
- আইপিওর খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের
- ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭ জুন
- সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান
- জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রসচিব
- উত্তাল তুরস্কে পাঁচ দিনে ১১৩৩ মানুষ আটক
- নির্বাচনী সংস্কারের ৯ সুপারিশের ওপর ইসির কাছে প্রস্তাব চাইলো সরকার
- শহীদ আবু সাঈদের বাবাকে আর্থিক সহায়তা সেনাপ্রধানের
- রিং পরানোর পর তামিমের অবস্থা অনুকূলে
- ‘৭১ ও ২৪ এর উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জীবিকা সুষ্ঠু করা’
- হামজার অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র
- ‘জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে নির্বাচনের কথা বলে বিএনপি’
- একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়: নাহিদ ইসলাম
- স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, নেই যানজট
- স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রেলওয়ের লোকসানের বড় কারণ দুর্নীতি ও অপচয় : রেলপথ উপদেষ্টা
- দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন: ফখরুল
- বেইজিংয়ে শি জিনপিং ও ড. ইউনূসের বৈঠক
- প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান
- মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল দিল আর্জেন্টিনা
- নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পেয়েও ‘হতাশ’ নন জেলেনস্কি
- ঢাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ঈদ-নিরাপত্তায় বিশেষ তৎপরতা
- হাসপাতাল থেকে দুদিন পর বাসায় যেতে পারবেন তামিম
- গ্যাসপ্রমকে বাংলাদেশে আরো অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ইউক্রেনে পাকিস্তানের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রুশ রাষ্ট্রদূতের
ধর্ম এর সর্বশেষ খবর
ধর্ম - এর সব খবর
