বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নেওয়া ধর্মগুলোর অন্যতম বৌদ্ধধর্ম। এর মৌলিক প্রস্তাবনা হলো জীবনের সঙ্গে দুঃখের সম্পৃক্ত, এর কারণ ও নিদান খোঁজা। এটি একই সঙ্গে দার্শনিক ধারণা। এর ব্যবহারিক গুণে পাশ্চাত্যের আনুধানিক দর্শনের গুরুতর সমালোচনাও বটে। এই ধর্মের প্রবর্তক গৌতমবুদ্ধ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে।
বুদ্ধের মতে জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারো নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। মানুষের কামনা-বাসনা সবই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখ মিশ্রিত এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই। নির্বাণ লাভে এই দুঃখের অবসান ঘটে। কামনা-বাসনার নিস্তারের মাঝে অজ্ঞানতার অবসান ঘটে। এতেই পূর্ণ শান্তি অর্জিত হয়। অজ্ঞানতা বা অবিদ্যার অবসান বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বৌদ্ধধর্মে কর্মের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
প্রধান দুই মতবাদ: বৌদ্ধধর্মের প্রধান দুটি মতবাদ হলো- হীনযান বা থেরবাদ ও মহাযান। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ।
হীনযান মতে, বুদ্ধ একজন সাধারণ মানুষ। তারা তাঁকে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তিনি নির্বাণে প্রবেশ করায় তাঁর ব্যক্তিগত প্রভাব সম্পূর্ণ রহিত হয়েছে এবং তিনি আর এই দুঃখময় সংসারের ধার ধারেন না। তিনি এখন নির্বাণের পরিপূর্ণ শান্তি উপভোগ করেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও তপস্যার দ্বারা মুক্তি বা নির্বাণ লাভের অধিকারী হওয়া যায়।
মহাযান মতে, বুদ্ধ ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত। সাধারণ মানুষ ঈশ্বরের পূজার মতো বুদ্ধেরও পূজা অর্চনা করতে পারে এবং তাঁর করুণা ও সাহায্যপ্রার্থী হতে পারে। তিনি শারিরীকভাবে নির্বাণ গমন করলেও আমাদের মধ্যে আছেন। প্রয়োজন হলে মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে অবতীর্ণ হতে পারেন। তাই তারা নির্বাণের প্রত্যাশী নন, তারা গৌতম বুদ্ধের মতো বুদ্ধত্ব লাভের প্রত্যাশী।
বুদ্ধ ও বোধি: ‘বুদ্ধ’ বলতে সাধারণত জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী ও জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয়। সিদ্ধার্থ গৌতম এমনই একজন ‘বুদ্ধ’। বোধিজ্ঞান লাভ করে বোধিসত্ত্ব জন্মের সর্বশেষ জন্ম হল বুদ্ধত্ব লাভের জন্য জন্ম। বৌদ্ধধর্মের নীতিকথামূলক গ্রন্থ জাতকে বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব হিসেবে ৫৪৮ (মতান্তরে ৫৪৯) বার বিভিন্ন বংশে জন্ম নেওয়ার উল্লেখ আছে। বুদ্ধত্ব লাভের ফলে তিনি এই দুঃখময় পৃথিবীতে আর জন্ম নেবেন না, এটাই ছিলো তাঁর শেষ জন্ম।
গৌতমবুদ্ধ: সিদ্ধার্থ বা গৌতমবুদ্ধ উত্তর-পূর্বভারতের কপিলা বাস্তু নগরীর রাজা শুদ্ধোধনের পুত্র। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনি কাননে (নেপাল) জন্ম নেন তিনি। তাঁর জন্মের সাতদিন পর মা রাণী মহামায়া মারা যান। সৎমা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন পালন করেন, তাই তাঁর অপর নাম গৌতম। তিনি সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন। তাঁকে সংসার অনুরাগী করার জন্য ১৬বছর বয়সে যশোধরা নামে সুন্দরী রাজকন্যার সাথে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। রাহুল নামে তাদের একটি ছেলে হয়। উদাসীন সিদ্ধার্থকে খুশি রাখতে শুদ্ধোধন চার ঋতুর জন্য চারটি প্রাসাদ তৈরি করে দেন।
একদিন তিনি বাবার কাছে রথে চড়ে নগর পরিভ্রমণের অনুমতি পান। শুদ্ধোধন সারা নগরীতে উৎসব করার নির্দেশ দেন। প্রথমদিন নগরী ঘুরতে গিয়ে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, দ্বিতীয়দিন একজন অসুস্থ মানুষ, তৃতীয়দিন একজন মৃত ব্যক্তি এবং চতুর্থদিন একজন সন্ন্যাসী দেখে তিনি সারথিকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন‘ জগত দুঃখময়’। তিনি বুঝতে পারেন সংসারের মায়া, রাজ্য, ধন-সম্পদ কিছুই স্থায়ী নয়।
দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে এক পূর্ণিমা রাতে তিনি গৃহত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৬ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি বুদ্ধ গয়া নামক স্থানে ৫৮৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ৩৫ বছর বয়সে একটি বোধি বৃক্ষের নিচে বোধিজ্ঞান লাভ করেন। এরপর ৪৫ বছর ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধধর্মের বাণী প্রচার করেন। ৪৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তিনি কুশী নগরে ৮০বছর বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন।
বৌদ্ধধর্মে পরকাল: ভালো ও মন্দ কাজের ভিত্তিতে পরকালের স্থান নির্ধারিত হয়। যা পরিভ্রমণ বিশেষ। বৌদ্ধধর্ম মতে, মৃত্যুর পর মানুষ ৩১ লোকভূমির যে কোনো একটিতে গমন করে। ৪ প্রকার অপায়: তীর্যক (পশু-পাখিকুল), প্রেতলোক (প্রেত-পেত্নী), অসুর (অনাচারীদেবকুল), নরক (নিরয়)। ৭ প্রকার স্বর্গ: মনুষ্যলোক, চতুর্মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংশ স্বর্গ, যাম স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, নির্মাণ রতি স্বর্গ, পরনির্মিত বসবতি স্বর্গ। আরো রয়েছে ১৬ প্রকার রুপব্রহ্মভূমি ও ৪ প্রকার অরুপ ব্রম্মভূমি। এই ৩১ প্রকার লোকভূমির উপরে সর্বশেষ স্তর হচ্ছে নির্বাণ বা পরম মুক্তি।
নির্বাণ: সকল প্রকার কামনা, বাসনা ও বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ হচ্ছে নির্বাণ।নির্বাণ হলো বৌদ্ধধর্ম মতানুসারে সাধনার চরম পরিণতি বা পরম প্রাপ্তি বা মোক্ষ লাভের শর্ত। দীর্ঘসময় সাধনার পরে এমন স্তরে পৌঁছানো যায়। নির্বাণ দুই প্রকার- সোপাদি শেষ নির্বাণ ও অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ।
পঞ্চস্কন্ধের বিদ্যমানতায় যদি সর্ববিধ তৃষ্ণার অবসান হয়ে কেউ স্থিতভাবে অবস্থান করে তবে সে অবস্থাকে সোপাদি শেষ নির্বাণ বলে।সোপাদি শেষ নির্বাণের পরবর্তীতে যখন পঞ্চস্কন্দের অবসান হয় তখন অনুপাদি শেষ বা নিরুপাদি শেষ নির্বাণ বলে।
গৌতমবুদ্ধের মতে, পঞ্চ উপাদান যখন ব্যক্তির তৃষ্ণার বিষয় হয়ে তার কাছে প্রকট হয়, তখন তাকে উপাদান স্কন্ধ বলে। এই পঞ্চ উপাদান স্কন্ধকে তিনি দুঃখ বলেন। এই পঞ্চ উপাদান হল রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার ও বিজ্ঞান।
চতুরার্যসত্য: বৌদ্ধধর্মের স্বীকার্য চার সত্যকে চতুরার্য সত্য বলে-
প্রথম সত্য: জগতে দুঃখ আছে। দুঃখ অলীক বা কাল্পনিক নয়, এর অস্তিত্ব মৌলিক সত্য।
দ্বিতীয় সত্য: দুঃখের কারণ আছে। এর কারণ হলো কামনা বা তৃষ্ণা, যার ফলে জীব বার বার জন্মগ্রহণ করে এবং দুঃখ ভোগ করে।
তৃতীয় সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। কামনার নিবৃত্তি হলে নির্বাণ লাভ হয় এবং সকল দুঃখের অবসান ঘটে।
চতুর্থ সত্য: দুঃখের নিবৃত্তি আছে। দুঃখ নিবৃত্তির সমাধান হলো নির্বাণ।
অষ্টাঙ্গিক মার্গ: দুঃখ অবসানের মার্গ বা উপায়কে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে। এই আটটি মার্গ একত্রে দুঃখের অবসান ঘটায়। এই মার্গগুলি আটটি বিভিন্ন স্তর নয়, বরং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ পথের সৃষ্টি করে।
আটটি মার্গ হলো–
১.সম্যক দৃষ্টি- সঠিক উপলব্ধি, যার ফলে চতুরার্য সত্যগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারা।
২. সম্যক সংকল্প- সত্যলাভ করার জন্য দৃঢ় বাসনা রাখা।
৩. সম্যক বাক্য- মিথ্যাকথা, কঠোরবাক্য, পরনিন্দা, বৃথা আলাপ ও মূর্খের মতো বাক্যালাপ থেকে নিবৃত্ত থাকা।
৪. সম্যক আচরণ- প্রাণীহত্যা, চুরি, অন্যায় বিচার ও অসংযম হতে সম্পূর্ণ রূপে নিজেকে বিরত রাখা।
৫. সম্যক আজীব- সুস্থ ও সবলতার জন্য সৎ উপায়ে জীবন ধারন করা। জীবন নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ রূপে পাপ ও কলূষমুক্ত হওয়া।
৬. সম্যক প্রচেষ্টা- মনকে শুদ্ধ ও পবিত্র রাখার জন্য সব সময় অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার ও ভালো কাজের চেষ্টা করা।
৭. সম্যক স্মৃতি- দেহে ও মনে সম্পূর্ণ সজাগ ও সচেতন থাকা।
৮. সম্যক সমাধি- ধ্যান অর্থাৎ পরিপূর্ণ একাগ্রতার নাম ধ্যান বা সমাধি। বা সমাধির চারটি স্তর। শেষ স্তরে নির্বাণ লাভ হয়। এ অবস্থায় মানুষের মোহ ও অবিদ্যা চির তরে দূর হয়ে জন্ম এবং দুঃখের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ত্রিশরণ মন্ত্র: আর্য সত্য এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গের আগে ত্রিশরণ মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়-
১. বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি- আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম।
২. ধম্মং শরণং গচ্ছামি- আমি ধর্মের শরণ নিলাম।
৩. সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি- আমি সঙ্ঘের শরণ নিলাম।
বুদ্ধের সঙ্ঘে জাতি-শ্রেণীভেদ ছিল না, সকলেই সমান। ভিক্ষা বৃত্তিই ছিল তাঁদের একমাত্র উপার্জনের পথ। ধনী পৃষ্ঠপোষকেরাও সাহায্যসহযোগিতা করতেন। বৌদ্ধ মতে, একজন ভিক্ষুর থাকবে পরনের তিনখণ্ড কাপড়, মাটির ভিক্ষাপাত্র, একটি সুচ, পানি পানের একটি পাত্র, একটি চিরুনি আর একটি কোমর বন্ধনী।
মধ্যপথ: বৌদ্ধধর্মে চরমপন্থা ও অজ্ঞানতার স্থান নেই। মধ্যপথ অবলম্বন করলে গৌতম বুদ্ধের আলোয় আলোকিত হওয়া যায়। এর বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা রয়েছে। মধ্যপথ বলতে বুঝায়- চরমপন্থী না হওয়া, অস্তিত্ব-অনস্তিত্বের মাঝামাঝি থাকা, নির্বাণ- যেখানে জগতের দ্বৈততা সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি থাকেনা এবং বাস্তবতার চূড়ান্ত ফলাফল শূন্যতা।
ধর্মগ্রন্থ: গৌতমবুদ্ধ কোন গ্রন্থ রচনা করেননি। তাঁর মৌখিকভাবে উপদেশ সঙ্কলিত হয়েছে পালি ভাষায় ‘ত্রিপিটক’-এ। ‘পিটক’ শব্দের অর্থ বাক্স। ত্রিপিটক মানে তিন টিপিটকের সমাহার। এই তিনটি পিটক হচ্ছে- সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ও বিনয় পিটক। সুত্ত পিটকে ধর্মবিষয়ক বার্তা, অভিধর্ম পিটকে দার্শনিক বিষয় এবং বিনয় পিটকে সংঘের আচার বিষয়ে গৌতম বুদ্ধের উপদেশ। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সঙ্কলনের কাজ শুরু হয়েছিল গৌতমবুদ্ধের পরিনির্বাণের তিন মাস পর অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে এবং শেষ হয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ২৩৬ অব্দে।
প্রার্থনা: বৌদ্ধরা সাধারণত তাদের ধর্মালয়ে গিয়ে বুদ্ধের সামনে নতজানু হয়ে পালি ভাষায় প্রার্থনা করে। যদিও এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। গৃহীদের জন্য পাঁচটি নিয়ম রয়েছে- প্রাণী হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, মিথ্যা বা কটু বাক্য, নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
তীর্থস্থান: বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবস্তুর লুম্বিনিগ্রাম, বুদ্ধের বোধিজ্ঞান লাভের স্থান বৌদ্ধগয়া, ধর্মচক্র প্রবর্তন স্থান সারনাথ ও পরিনির্বাণ প্রাপ্তির স্থান কুশিনারা।
অবদান: বৌদ্ধধর্ম এই অঞ্চলের জ্ঞানচর্চাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। অহিংসা বৌদ্ধধর্মের অন্যতম ধারণা। ধারণা ও ব্যবহারিক জীবনে এর প্রয়োগ চূড়ান্তভাবে স্বীকৃত। এর সঙ্গে অজ্ঞান বা অবিদ্যা জড়িত। যার বিলয় ঘটলে মানুষের কাছে জগত সত্য উদ্ভাসিত হয়।
বৌদ্ধধর্ম প্রচারের সঙ্গে শিক্ষা ও জ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীন ভারতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা হয় ভিক্ষুদের হাত ধরে। এই জ্ঞানের আলোয় বৌদ্ধধর্ম জাত-পাত বিরোধী নতুন ধরনের আন্দোলনের সূচনা করে। যা জাত-পাতে বিভাজিত ও নির্যাতিত উপমহাদেশের মানুষকে দেয় মুক্তির স্বাদ।
বৌদ্ধধর্মের অবিদ্যা বা অজ্ঞানতার ধারণা অধিবিদ্যিক নয়। এর রূপ প্রায়োগিক। তাই দুঃখকে কার্য-কারণবাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করে। একে বলাহয় প্রতীত্যসমুৎপাদ। যুক্তিবাদিতা এর বৈশিষ্ট্য। তাই এটি বাস্তববাদী। দুঃখ ও নির্বাণের ধারণাকে বৌদ্ধধর্ম নতুনরূপে ব্যাখ্যা করেছে।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/একেএম/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:

- দাপুটে জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে যুবারা
- গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক
- বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান
- সেই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
- বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাবি
- সমালোচকদের হতাশ করে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা’
- এ শুল্কহারে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
- গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা অপু গ্রেপ্তার
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
- ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠকের তদন্ত চলছে, আগস্টে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: ডিএমপি
- মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, অপরিবর্তিত নীতিতে নজর শুধু মূল্যস্ফীতি
- সাত জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- পুঁজিবাজারে সালমান আজীবন নিষিদ্ধ-১০০ কোটি টাকা জরিমানা
- একমত হওয়া বিষয়গুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে: আখতার হোসেন
- হার্টে ব্লক: বিদেশে সার্জারির সিদ্ধান্ত নাকচ করলেন জামায়াত আমির
- হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পরও মানবাধিকার সংকট প্রকট
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’ – স্লোগান দিয়ে শাহবাগ অবরোধ
- আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি
- প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- "কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা"
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
- পাকিস্তানকে উড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে জোড়া সুখবর পেল বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান
- ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি: ইসরাইলি সেনাপ্রধান
- দুদকের পক্ষে এতো দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না : বিচারক
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় তদন্তের দাবি জামায়াতের নায়েবে আমিরের
- নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
- ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কায় মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- শক্তিশালী পাসপোর্টের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
ধর্ম এর সর্বশেষ খবর
ধর্ম - এর সব খবর
