thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে 24, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১৩ জিলকদ  1445

‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে সহিংসতার আশঙ্কা

২০১৩ ডিসেম্বর ২৭ ২৩:১১:৪৫

আহমদুল হাসান আসিক, দ্য রিপোর্ট : ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ঘোষিত রবিবারের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচির পালনকালে জামায়াত-শিবির ব্যাপক সহিংসতা ঘটাতে পারে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ(ডিএমপি) একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য দিয়েছে।

গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, সারা দেশ থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে কর্মী-সমর্থকরা ঢাকার আশপাশের জেলা ও এলাকায় অবস্থান করছে। বিশেষ করে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়েছে। রাজধানীর প্রবেশমুখে আশপাশের এলাকায় সহিংসতা হতে পারে।গোয়েন্দাদের ধারণা, জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশ্য মার্চ করা নয়, বরং তারা রাজধানীতে সহিংসতা ঘটাবে। আর এই টার্গেট নিয়েই কর্মসূচিতে তারা যোগ দিবে।

এদিকে গোয়েন্দারা ঢাকার প্রবেশমুখ এবং আশপাশের কিছু এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের ধারণা, সাভারের হেমায়েতপুর, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া ও সাইনবোর্ড এলাকায় সহিংসতার মাত্রা বেশি হবে। বিশেষ করে পতাকা টাঙানোর নামে সবার হাতে লাঠি থাকবে, যা থেকে সহিংসতা হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণার পর ‘পতাকা হাতে ঢাকা চল’নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশকে দিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ তথ্যে দেখা গেছে, কর্মসূচির আড়ালে জামায়াত-শিবিরসহ নাশকতাকারীরা মূলত তাণ্ডব চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন সময় কর্মসূচির আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ নিধন, সড়ক ধ্বংস করা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর হামলা, বোমা বিস্ফোরণ, এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তারাই গণজমায়েতের আড়ালে রাজধানীতে নাশকতা চালাতে পারে। নাশকতার নেতৃত্বদানকারী গ্রুপগুলো এরইমধ্যে রাজধানীর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চলছে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যৌথবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে নাশকতাকারীদের আটক করার চেষ্টা করছে। হোটেল, গেস্ট হাউজসহ অবস্থান করা যায় এমন স্থানে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।

তিনি আরো জানান, রাজধানীবাসীদের কাছ থেকেও নাশকতাকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। যদি কোনো এলাকায় অপরিচিত কোনো লোক ঘোরাফেরা করে এবং কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হয় তবে ডিএমপিকে জানাতে বলা হয়েছে। নগরবাসীর দুর্ভোগ যেন না হয় সে বিষয় বিবেচনা করে ডিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় কোনো নারী, শিশু ও নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন গ্রেফতার না হয় সেদিকে পুলিশকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।

তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যদি আটক হয় তাকে যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো পুলিশ সদস্য যদি বিশেষ সুবিধা (অর্থ লেনদেন) নেওয়ার চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা চিন্তা করে আটকদের উর্ধ্তন পুলিশ কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করবে বলেও মনিরুল ইসলাম জানান।

ছাত্রশিবিরের সাবেক দফতর সম্পাদক এডভোকেট হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি দলের লোকজন নাশকতা করে শিবিরের ওপর দায় চাপায়। জামায়াত ও শিবিরকে দমন করতে তারা এই পথ অবলম্বন করছে। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির আদর্শিকভাবে নাশকতা বা সহিংসতার পক্ষে নয়।

(দ্য রিপোর্ট / কেজেএন-এএইচএ/ এইচএসএম/ নূরুল/ ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর