thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হোক

২০১৪ জানুয়ারি ০২ ০০:০৫:৩২

প্রতিবেশি দেশ ভারতের পত্রপত্রিকায় সম্প্রতি বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা খবর প্রকাশ হচ্ছে। সে দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র দফতরের বড় বড় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এ সকল সংবাদের ওপর আস্থা রাখলে বলতে হয়, বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কলকাতার প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকা নববর্ষ সংখ্যায় লিখেছে, বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগেই সীমান্ত সিল করে দিচ্ছে ভারত। আরও বিএসএফ মোতায়েন করে পাহারা জোরদার করা হচ্ছে। তারপরও নির্বাচনের অশান্তির জেরে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীরা যদি ওপারে চলে যেতে বাধ্য হন, তাহলে তাদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মানসম্মান বাঁচাতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের পুশব্যাক না করারও নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব কলকাতায় বিএসএফ ও স্থানীয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

একই দিন দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বাংলাদেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ভারতের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো ইচ্ছে নেই। কিন্তু প্রতিবেশি দেশ হওয়ায় এক দেশের ঘটনা প্রবাহ অন্য দেশেও প্রভাব ফেলে।’

পত্রিকাটি লিখেছে, ‘বিদেশমন্ত্রক মনে করছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির চাপ সীমান্তেও পড়বে। একদিকে হিন্দু শরণার্থীরা সম্মান বাঁচাতে এ পারে আসার চেষ্টা করবেন, তেমনি সেনা-পুলিশের ধরপাকড় থেকে বাঁচতে মৌলবাদী ও দুর্বৃত্তরা সীমান্ত পারের চেষ্টা করবে। কিন্তু সব অনুপ্রবেশকারীই যে দুর্বৃত্ত নন সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে দিল্লি।’

এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিবের বৈঠক হলেও তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সে দেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

ভারতীয় ভাষ্যমতে, তাদের অবস্থান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাদের সংবাদ সত্য হলে বাংলাদেশ যে আরও গভীর সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সে ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশ ভারত যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, তাতে সংকট গভীরতর হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। ভারত বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসীদের সে দেশে প্রবেশের বিষয়টিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করায় এ আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত চলমান রাজনৈতিক সংকট শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না।

আমরা প্রতিবেশি দেশের এ আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে প্রজ্ঞার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানাই। যাতে ভারতের এ আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হয়।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert