সালাহ উদ্দিন শুভ্র
আম আদমি কি দয়া
ঝাড়ুর মালিকানা
আম আদমি পার্টির নির্বাচনী প্রতীক ছিল ঝাড়ু। ভারতের ‘সর্বপুরুষ’ মাহাত্মা গান্ধী ঝাড়ুকে তুলনা করেছিলেন মনে মনে তওবা করার সঙ্গে। তওবা করে মনের সব ময়লা মুছে ফেলা যায়। সহজ ভাষায় সমালোচনা নিজের মনে ঝাড়ুর কাজ করে। ঝাড়ু গার্হস্থ্য আবর্জনা কেবল নয়, নানা রকম ঝাড়ু নানা রকম ময়লা সাফ করতে সক্ষম। ঝাড়ুদার মাত্রে ঝাড়ুর মালিক হন না- এ বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আম আদমি পার্টিকে বুঝতে এই সব প্রশ্ন আমাদের কিছু উপকারে আসবে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঝাড়ু হচ্ছে অপয়া বিতাড়নকারীর প্রতীক। বাড়ির দরজায়, মেহমানের সামনে অথবা গৃহীর গৃহত্যাগের কালেও ঝাড়ু সামনে আনতে হয় না। সময় ও সুযোগ মতো ঝাড়ুর ব্যবহারে ময়লা দূর করা হয় এবং অপয়া ব্যক্তির মুখেও ‘ঝাঁটা মারা’র অনুমোদন ভারতীয় সমাজে বলবৎ আছে। আম আদমি পার্টি সমাজের ময়লা বলতে যে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে চিহ্নিত করেছে তা ঝাড়ু দেওয়ার মাধ্যমে তারা সাফ করে ফেলবে- নেতার প্রতি এই তাদের আশ্বাস। ঘরদোর সাফ থাকলে লক্ষ্মী আসেন, সরস্বতী আসেন। নোংরা ঘরে যারা আসেন তারা দুর্ভোগ আনেন। ময়লা বিতাড়নকারী আম আদমি পার্টির এমন ইশতেহার জনকল্যাণমুখী ও মঙ্গলকজনক বলে ভাবতে সমস্যা হয় না। এখানে আম আদমি পার্টির বা দিল্লি সরকারের বর্তমান প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঝাড়ুদারদের সরদার। রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তার নির্দেশে ভারত মাতার সকল জঞ্জাল সাফ করবে। এখানে জঞ্জালেরও সর্বজনীন কোনো অর্থ নেই। লুটপাট, অনিয়ম, ইত্যাদি ইত্যাদি হলো জঞ্জাল। আর তাকে সাফ করার মধ্য দিয়ে ঝকঝকে-তকতকে এক ভারত বানাবে আম আদমি। ঈশ্বরও তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি ঝাড়ুর প্রকৃত মালিক। আমাদের সন্ধান তার নিমিত্তে।
ভারতের আম আদমি পার্টি তার ইশতেহারে যে সব ক্ষেত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে তা আমলে নিতে হবে। ইশতেহারের উদ্দেশ্য বলতে গেলে বিদ্যমান পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা জনকল্যাণমুখী করবেন। রাষ্ট্র ও সমাজের মানুষের নানা রকম সমস্যা তদারকির জন্য মধ্যস্থতাকারী সংস্থা থাকবে। এরা একেক নামে একেক রকমভাবে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। কেউ জল বিলাবে, কেউ মিটার চেক করবে ইলেকট্রিসিটি কনজিউম বিষয়ক, শিক্ষা, নারীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, বস্তিগুলোর হাল-হকিকত দেখভালের দায়িত্বেও থাকবে নানা সরকার অনুমোদিত, সরকারের সহযোগী সংস্থা। দুর্নীতির মাধ্যমে যে দেশীয় সম্পদের অপচয় ঘটে, জনগণের হয়রানি হয়, কাজের নামে অকাজ হয় তা তারা দূর করে আলো ঝলমল এক দিল্লি অথবা ভারত গড়ে তুলবে। সে জন্য জনগণের মাঝে প্রথমে পানি বিতরণ তারপর আগের তুলনায় অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ বিক্রির ব্যবস্থা তারা পাকা করে ফেলেছেন। ভারতের মতো রাষ্ট্রে জল হোক অথবা বিদ্যুৎ তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের। আম আদমি বলছে, এ সব করপোরেশন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং এ সব কারণে জনগণ বিশুদ্ধ জল বঞ্চিত হচ্ছে। তার মানে উন্নয়ন, জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ, জনসংখ্যার ঘনত্ব ইত্যাদি কোনো ব্যাপার না। সরিষায় ওই একটা ভূতের বাস তা হলো দুর্নীতি। তার বশে থাকা এক দল অলস ও অকর্মণ্য ব্যক্তি দিল্লির মানুষকে কষ্টে রেখেছে। জলের অভাবে ধুঁকছে জনতা। অতএব তাকে জল দাও। আম আদমির কেরামতি এমন যে দুই দিনে জলের ব্যবস্থা হয়ে গেল। পরের দিন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে দাও শতকরা পঞ্চাশ ভাগ। এই তেলেসমাতি কাজ কিসের ভিত্তিতে হলো? তার জবাব নাই। বিদ্যুতের বিল কমানো বিষয়ে ডিসেম্বর থেকেই আলোচনা চলছিল এ কাজ কতটা স্বস্তিদায়ক হবে সরকারের জন্য। কারণ বিদ্যুতের দাম এই পরিমাণে কমিয়ে আনার যে ক্ষতি তা পূরণ হবে কী দিয়ে! সরকার কী এ কাজে ভর্তুকি দিয়ে যাবে, নাকি ট্যাক্স বাড়াবে অথবা অন্য কোনো উপায়ে আম আদমি তার বিদ্যুত খাতের এই ঘাটতি পূরণ করবে তা বোধগম্য নয় দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের কাছে। দিল্লির ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন বলেছে, সরকার একার দায়িত্বে বিদ্যুতের দাম কমাতে পারে না। কমিশনের প্রস্তাব তারা পাস অথবা বাতিল করতে পারে। কমিশনের সঙ্গে আলাপ সাপেক্ষে কোনো একটা দাম নির্ধারণ করতে পারে। তবে আম আদমি পার্টি তো নির্বাচনী জিকিরে এ সব সুবিধার কথা বলে আসছে। করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ না করে প্রচারণায় নেমেছে। এখন সবার প্রশ্ন বিদ্যুতের এমন দাম কতদিন বহাল রাখা সম্ভব?
ভারতীয় চিন্তক, লেখক অরুন্ধতি রায় জানিয়েছিলেন, আম আদমি পার্টির তিন নেতা ম্যাগসাইসাই পুরস্কার জেতা এবং খোদ কেজরিওয়ালেরই রয়েছে এনজিও। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিশ্বজুড়ে যে দুর্নীতি বিরোধী ছয় শ’ প্রকল্প আছে তার মতো একটা প্রকল্প এই আম আদমি পার্টি। অরুন্ধতি আরও আপত্তি জানিয়েছিলেন, এই পার্টি ফোর্ড ফাউন্ডেশন থেকে টাকা নিয়েছে অন্তত চল্লিশ লাখ ডলার। অনুদানের আরও টাকা পাইপ লাইনে অপেক্ষায় আছে। এই পার্টি তার নির্বাচনী খরচের বিশ কোটি রুপি জোগাড় করেছিল চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে। ভারতে বসবাসরত ভারতীয় এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা তাদের এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়ম ভেঙ্গে পোস্টারিং-এর অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুর্নীতির ভিডিও প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত এই পার্টি। অরুন্ধতি রায় বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী নেতা আন্না হাজারের গর্ভজাত এই পার্টি। যাদের রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের যোগাযোগ। যারা দুর্নীতি প্রতিরোধের নামে করপোরেট পুঁজিকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। অর্থাৎ সরকারি কিংবা লুম্পেন দুর্নীতি হটিয়ে তারা করপোরেট নীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এনজিও কায়দায় দেশ চালাতে চায়। এনজিওপনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে চায় এবং বেসরকারি এ সব সংস্থার মধ্য দিয়ে তারা ভারতকে সর্বাধুনিক করপোরেট রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। টাকার উৎসের অভাব যেহেতু নাই। প্রয়োজনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তাও নেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানো যাবে। এমন কাজ নেপালে করতে হলেও চাই সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতা। করপোরেটের হাত ধরে সে সব সুবিধা পেতে আর কতক্ষণ! ফলে বলা যায়, আম আমি পার্টি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। কংগ্রেস তাদের এখনকার মিত্র, বিজেপিও মিত্র হয়ে উঠতে বেশি দিন সময় নেবে না। যদি আম আদমি না-ও টিকতে পারে তাহলে কংগ্রেস এ সব বাস্তবায়ন করবে ধীরে ধীরে। একটা বিষয় বুঝতে হবে যে কংগ্রেসের সহযোগিতা কিন্তু আম আদমিকে সরকার গঠনে সহায়তা করেছে। বিজেপিকেও এ বিষয়ে খুব আপত্তি করতে দেখা যায় নাই। শুরুটা দিল্লি দিয়েই হল কিন্তু। দিল্লি থেকে ঢাকায় এমন কোনো আম আদমির উত্থান ঘটানো কঠিন কিছু নয়। সময় তার হাতে খেলার দান লুকিয়ে রাখে বলেই সমস্যা। নইলে কে বলতে পারে ঢাকার ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এমন একটা পাতানো বীজ নয়।
ফলে ঝাড়ুর মালিকানা ঝাড়ুর চরিত্র নির্ধারণ করে। ঝাড়ুকে ময়লা-আবর্জনা চিনতে শেখায়। আম আদমির প্রতীক ঝাড়ুর মালিককে না চিনলে মুশকিলে পড়তে হবে সামনে। জনগণ যদিও ভোট দিয়েছে সব জেনে-শুনেই। কিন্তু ভোটের গণতন্ত্র শেষ ফয়সালা হিসেবে টিকে থাকবে কিনা, গণতন্ত্রের সুবিধা জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কিনা এ সব প্রশ্ন আম আদমিকে মোকাবেলা করতে হবে অচিরেই। জলের দামে ভারতীয়রা তাদের সার্বভৌমত্ব কতদূর পর্যন্ত বিকাতে রাজি থাকবেন মূল রাজনৈতিক সংঘাত আসলে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
রাজনৈতিক দলের দাতব্য ভূমিকা
রাজনৈতিক দলের এমন কোনো দাতব্য ভূমিকা থাকা নেসেসারি নয়। জনগণের সঙ্গে তার নানা কিসিমের কায়কারবার চলে। জনতার ওঠা এবং বসায় রাজনৈতিক দল সঙ্গী থাকে। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন বলেছিলেন, রাজনৈতিক দল একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া। এর প্রত্যেকটা অঙ্গ অপরাঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। সেক্টরিয়ান পলিটিক্স অথবা কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনীতির সঙ্গে তাই অন্য জনসমষ্টির সংঘাত অপরিহার্য হয়ে ওঠে অনেক সময়। এখনকার পুঁজিবাদ যেমন সর্বময় হয়ে উঠতে চায় তাতে ঘর-বাড়ি-গাছ-জল-মাছ কোনো কিছু তার আওতার বাইরে থাকে না। প্রাকৃতিক জলাধার, ফলাধার যাই থাক না কেন সে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চায়। দখল নিয়ে নিতে চায়। ফলে আপাত যে সুবিধা দিল্লির জনগণ ভোগ করছে তার প্রতিদান বিষয়ে তাদের সতর্কতা জরুরি। হিন্দী ‘নায়ক’ সিনেমায় একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অনিল কাপুর যা যা করে ফেললেন তার প্রতি জনগণের আগ্রহ থাকতেই পারে। এমন কোনো নায়ককে যে তারা মনে মনে কামনা করেন সেই সিনেমার জনপ্রিয়তা তার প্রমাণ রাখে। আম আদমি তেমন কোনো পর্দার নায়ক পাওয়ার জনআকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে রাতারাতি বেড়ে উঠেছে। এটা বলা যায়, অনেকে বলছেনও। কিন্তু রাজনৈতিক গোমরটাকে তারা লুকিয়েছে। দিল্লির জনতা কিন্তু কংগ্রেস এবং বিজেপিকেও ভোট দিয়েছে, আম আদমির প্রলোভনে সবার সাড়া সমান নয়। কংগ্রেসের সহযোগিতায় নানা রকম গিমিক তারা তৈরি করতে পেরেছে বটে। তবে তাতে কারসাজি আছে অনেক এমনটা ভাবা অমূলক হবে না। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে যে অর্থে ‘ম্যাস মুভমেন্ট’ বলা হচ্ছে তার কিছু চিত্র ভারতীয় গণমাধ্যম মারফত আমাদের দেশেও পৌঁছেছে। আন্না হাজারের যে আন্দোলন তাতে শামিল ছিল অনেক এনজিও কর্মী, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত জনতা। সকল অংশের জনতা সেখানে হাজির ছিলেন না। তারা রাজনৈতিকভাবে একে গ্রহণ করতে পারেন নাই বলে দূর থেকে অনুমানে আসে। অন্তত আন্না হাজারের অনশন থেকে শুরু করে আম আদমির নানা রাজনৈতিক জমায়েত খেয়াল করলে এ সব বিষয়ে ধারণা তৈরি করা যায়। তাদের মিডিয়া প্রচারও হয়েছিল অনেক। হাজারে একাই এমন একটা ভান সেখানে ছিল। বস্তুত তার পেছনের কারবারিরা আড়ালে ছিলেন আবার একেবারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লুকিয়েও থাকেন নাই। তারা ‘স্বচ্ছ’ থাকতে চেয়েছেন। ভারত সরকার অপরাপর জনদাবি যেভাবে দমিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে তাদের ছিল নরম সুর। বিষয়টাকে ফেনিয়ে তোলা হয়েছে অনেক দিন ধরেই। বেশ চতুর পরিকল্পনা করেই আম আদমি দিল্লির মসনদে বসতে পেরেছে বলা চলে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যাদের খুব একটা নেই-ও। জনসংযোগ আর গণমাধ্যম এই দুই কৌশল কাজে লাগিয়ে তারা পরিচিতি পেয়েছে সর্বত্র।
মধ্যবিত্ত জনতার যে সমস্ত সংকট তাকে মূলধন করে আম আদমি জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বণ্টন, ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ইত্যাদির নিরিখেই সুবিধাদি ভোগ করবেন। আম আদমির হিসাব ভিন্ন। অনেকটা রামকৃষ্ণ মিশনের মতো। জনতা আসবে আর তারা বিলাবেন। দাতা এবং গ্রহীতার সমাজ। আম আদমি মধ্যবিত্তকে নাই করে দিতে চায়। রাষ্ট্রে কেবল দাতা এবং গ্রহীতা থাকবে। বিদ্যুত কনজিউমের ক্ষমতা একজন মধ্যবিত্তের যতটা খেয়াল রাখতে হবে একজন শিল্পপতির তারও অধিক। ফলে দাম কমিয়ে দিলে সুবিধা বেশি পাবেন বড়লোকেরা। গরিবের সুবিধা তেমন নাই বললে চলে। তার দিন আনি দিন খাই অবস্থার নিরসন ঘটবে কীভাবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার নিরাপত্তা, জীবনমানের নিশ্চয়তা ইত্যাদির অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। সে সব বিষয়ে আম আদমির বলার কথা তেমন নাই। শ্রমশোষণের বিষয়ে কি হবে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কী বিচার হবে, রাষ্ট্র মানে যে এক বিশাল যজ্ঞ তার সংজ্ঞাই কেমন পাল্টে দিতে চায় এই আম আদমি! অনেক বিষয়ে কিন্তু তাদের বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং জনকল্যাণের মতো কিছু দাতব্য কাজ তারা করতে চায়। এটা তাদের চরিত্রকে চিহ্নিত করার একটা উপায়, সহজে এ কথা বলা যায়। দিল্লির মসনদে তারা অন্তত কয়েক বছর টিকে থাকবেন ভালো মতো। কিন্তু দিল্লি বলতে যে বিদ্যুৎ আর পানি কিংবা নোংরা বস্তি বোঝায় না তা টের পেতে খুব বেশি রাজনীতি সচেতনতার দরকার হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন টেরর’ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব রাজনীতির বাঁক বদলের কৌশলগুলোও এ ক্ষেত্রে নজরে রাখা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র এখন আর দখল অথবা যুদ্ধ করে নয় আইডিয়া দিয়ে রাষ্ট্র কব্জা করতে চায়। সেটা অধিক নিরাপদ। করপোরেট রাষ্ট্র তাদের এ সব কাজের জন্য সুবিধা। তাতে সার্ভিল্যান্স থাকবে বাধাহীন। খানা-খাদ্য থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সব কায়দা করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারলে তাদের হুমকি কমে। নুতন মার্কিন রাজনীতির নতুন ঘুঁটি আম আদমি, এমন একটা হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজনৈতিক কাজ করে যাওয়ার কতর্ব্য বর্তাচ্ছে অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার মানুষজনের।
সালাহ উদ্দিন শুভ্র : লেখক ও সাংবাদিক
পাঠকের মতামত:
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- ডিজিটাল সংযোগ আরো সম্প্রসারণের সংকল্প গ্রামীণফোন সিইওর
- হজ যাত্রীদের হেলথ চেক আপে বিকাশে ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়
- শেয়ার হস্তান্তর করাবেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা
- নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্যগত রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন
- ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার
- সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
- "লড়াকু মানসিকতার শান্ত একজন ভালো নেতা"
- "বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে"
- তাপপ্রবাহের মধ্যে চোখ রাঙানি দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
- ৭ উদ্যোক্ত্যর হাতে জাতীয় এসএমই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- ২১মে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আজ শেষ হচ্ছে এসএসসির ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
- মিরপুরে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় বাবর আলী
- আফগানিস্তানে বন্যায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু
- কানে ঐশ্বরিয়ার লুক নিয়ে কটাক্ষ
- হিজবুল্লাহর হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল
- পশুর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যে উৎপাদন বাড়াতে বললেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি
- বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু
- "বাংলাদেশের বিপক্ষে যে যাবে আমরা তার বিপক্ষে আছি"
- তাপস মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিচ্ছেন: সাঈদ খোকন
- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
- নটর ডেম কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫শে মে
- সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন
- ভারতের প্রধান কোচ হবার প্রস্তাব পেলেন গম্ভীর
- এবার মেজর লিগে খেলবেন সাকিব
- ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
- "শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন"
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত
- গাজা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার
- অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
- মদিনায় চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু
- ইআরডিএফবির আয়োজনে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন
- রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে
- বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
- রাফায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহবান
- বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল: আইনমন্ত্রী
- "প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফলে টেলিযোগাযোগ সেবা সবার হাতের মুঠোয়"
- বাজেট ৬ জুন দিবো ও বাস্তবায়নও করব: প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
- "আ.লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে"
- আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
- "যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে"
- বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন সাকিব-শান্তরা
- হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল, রাফায় বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ মানুষ
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
- উপজেলা নির্বাচন: ৫২ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- সৌদি পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী
- ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু
- নর্থ সাউথ সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের আয়োজনে বৈশাখী মেলা ১৪৩১ অনুষ্ঠিত
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- প্রস্তুতি আমার মনে হয় ভালো হয়েছে: হাথুরুসিংহে
- কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি ব্যাংক রিপোর্টারদের
- "নিজস্ব গতিতে চলতে না দিলে পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়"
- নির্বাচন ইস্যু পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে তাকাতে চায়: লু
- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি: মির্জা ফখরুল
- ডেঙ্গুতে দেশে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২১ জন
- "বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে"
- বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- মিডল্যান্ড ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সরকার স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের
- সাকিবের রেকর্ড, রিয়াদের আক্ষেপ
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন
- ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ১৩টি দেশ
- বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট, অব্যাহতি ১৪
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সাবেক তারকারা
- নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
- ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
- ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- দেশের ৫৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে তাপপ্রবাহ
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- লুর বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ নয়: বিএনপি
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালকের শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- মিরাজকে নিয়ে চমক দিতে পারে বিসিবি!