thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু

২০১৬ ডিসেম্বর ০১ ১৫:১৯:১৩
১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার চারুকলা বিষয়ক ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, ‘এ উৎসবটি আমাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে শিল্পকলাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সহস্রাব্দ প্রাচীন। আমরা আমাদের আবহমান এ সংস্কৃতিকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। এ প্রদর্শনীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে এবং এর মাধ্যমে তাদের শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে আমরা সম্যক ধারণা পেয়ে থাকি, যা আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের এক নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে উঠে, যা দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কন্নোয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে এ অনন্য প্রদর্শনী ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করে।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৪টি দেশ এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৬ এর সাংগঠনিক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন উত্তর কোরিয়ার সংস্কৃতিবিষয়ক উপমন্ত্রী ইয়ং চোল এবং থাইল্যান্ডের উপমন্ত্রী চাওরো কাসিতসুন অরং ট্রন।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৫৫৬ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম থেকে বাছাই করে ১৪৮ জন শিল্পীর ১৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ৫৪ জন আমন্ত্রিত চিত্রশিল্পীর ৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে ৫৩টি দেশের ১৫০ জন শিল্পীর ২৬০টি শিল্পকর্ম। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে শিল্পী, শিল্প সমালোচক, মিউজিয়াম কিউরেটরসহ মোট ১৪৫ জন বিদেশী এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন।

এবারের আসরের জুরি বোর্ডের প্রধান শিল্পী রফিকুন নবী চারুকলা প্রদর্শনীর শিল্পকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় জানান, বিদেশী ছবিগুলো যথাযথভাবে ‘কিউরেট’ করা হয়নি’। তবে বাংলাদেশি শিল্পীদের কাজগুলো নিয়ে জুরিবোর্ডের বিদেশী সদস্যরা ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করেন।

পরে তিনি আসরের বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। জুরিদের বিচারে ‘অনারেবল ম্যানশন’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কুন্তল বাড়ৈ, বিপাশা হায়াত, রাজিব কুমার রায়, শ্যামল চন্দ্র সরকার, দিলীপ কুমার কর্মকার। ‘গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন কামরুজ্জামান স্বাধীন, হারুনুর রশীদ ও চিলির ডাগমারা হুইসক্যাল।

এবারের উৎসবে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

এবারের আসরে এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় ও অন্যান্য দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে থেকে চীনের ওয়াং চুনচেন, ফ্রান্সের মিস মায়েলো ডাউণ্ট, ইন্দোনেশিার মিস দোলোরোসা সিংহা, জাপানের মিস ইয়োকো হাসেগাওয়া, পোল্যান্ডের জাইমুন্ট রাফাল ষ্ট্রিরেন্ট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন জিনসুপ- এর মতো চারুশিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।

আয়োজনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রোসেসিং জোনে আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।


আর্টক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন বাংলাদেশের শিল্পী ড. ফরিদা জামান, হাশেম খান, মাহমুদুল হক, মুনিরুল ইসলাম, নাইমা হক, নাজলি লাইলা মনসুর, রফিকুন নবী, রোকেয়া সুলতানা ও সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং চায়না, ইন্ডিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকার শিল্পীবৃন্দ।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশের ১২জন শিল্পী এ পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শন করবেন।

প্রদর্শনীকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান আকর্ষর্ণীয় করে সাজানো হয়েছে।

মাসব্যাপী এ প্রদর্শনী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এমকে/ডিসেম্বর ০১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর