thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব

২০১৬ ডিসেম্বর ০২ ১৮:১৮:৪৫
ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব

পাভেল রহমান, দ্য রিপোর্ট : রাজধানীর ফার্মগেটের বটমূলী অর্ফানেজ টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায় দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা, আলোচনা, নাচ-গানে পালন করছে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব ওয়ানগালা- ২০১৬।

গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। এই শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে গারোরা পালন করে ওয়ানগালা উৎসব।

শুক্রবার দেবতাদের পূজার মাধ্যমে সকালে শুরু হয় উৎসব। ‘আমুয়া’, ‘রুগালা’র মতো ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। দুপুরের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের গান, ঐতিহ্যবাহী জুম নাচ।

ঢাকা ওয়ানগালা উদযাপন কমিটির আয়োজনে আলোচনা পর্বে দুপুর আড়াইটায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জুয়েল আরেং এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, রেমন্ড আরেং, শৈবাল সাংমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌরিন আরেং সেং।

এ সময় তারানা হালিম বলেছেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল। অতীতের কোনো সরকার এমন আন্তরিকভাবে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর জন্য কাজ করেনি। বর্তমান সরকার বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর আচার-সংস্কৃতির উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে।'

তারানা হালিম আরো বলেছেন, 'বাংলাদেশ বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার আগামী দিনে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।'

ওয়ানগালা একই সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। পাহাড়ী জুমচাষকে কেন্দ্র করে ওয়ানগালা উৎসব উদ্যাপিত হয়ে থাকে। নতুন ফসল তোলার পরে নকমা (গ্রামপ্রধান) সবার সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেন। এক যুগ ধরে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় বসবাসরত গারোরা এ উৎসব আয়োজন করছে।

ঢাকায় বসবাসরত কয়েক হাজার গারো উৎসব উপলক্ষে় জড়ো হন ফার্মগেটের বটমূলী অর্ফানেজ টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে। সবার উপস্থিতিতে ওয়ানগালা উৎসব যেন হয়ে উঠে ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের মিলনমেলা।

দিনভর তারা নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে থাকে। বিদ্যালয়ের মাঠে গড়ে ওঠা অস্থায়ী খাবারের দোকানে ঘুরে ঘুরে স্বাদ নেয় নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারের। কেউ কেউ বাসায় নিয়ে খাওয়ার জন্য কিনে নেন জুমের আলু, কুমড়া, শামুক, কাঁকড়া।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/কেআই/জেডটি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর