thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ২৪ জিলকদ  ১৪৪৫

এবার বান্দরবানে দেয়াল নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশ!

২০১৭ জুলাই ২০ ০৯:১৫:৪২
এবার বান্দরবানে দেয়াল নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশ!

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে সরকারি মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের উন্নয়ন কাজে রডের (লোহার) সঙ্গে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তবে দেয়াল মজবুত করতেই বাঁশের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবী করেছে শ্রমিকরা। তবে রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা জানায়, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের বালাঘাটায় বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারনের উন্নয়ন কাজ চলছে। স্থানীয় ঠিকাদার তাপস দাশ উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন কাজে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে দেয়াল নির্মাণে (ড্রপ ওয়াল) রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণ কাজের শ্রমিকরা দেয়াল ঢালাই দেওয়ার আগে রডের সঙ্গে বাঁশের লম্বা লম্বা ফালি বেঁধে দিচ্ছে। অনেক স্থানে লোহার পরিবর্তেই বাশ দেওয়া হচ্ছে। গনমাধ্যমকর্মীরা উন্নয়ন কাজে বাঁশ ব্যবহারের ছবি তোলার পর টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের। পরক্ষণেই কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কলেজ শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দেয়ালে বাঁশের ব্যবহার বন্ধ করতে শ্রমিকদের অনেকবার বলা হলেও ঠিকাদার তাদের কথাই শোনেননি। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার মতো করে চুপ রয়েছে।

নির্মাণ কাজের শ্রমিক আলী হোসেন গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঢালাইয়ে সিমেন্ট ধরে রাখতে এবং দেয়াল শক্ত মজবুত করতেই রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার তাপস দাশ দ্য রিপোর্টকে বলেন, রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়া হচ্ছে না। দেয়ালটি ঠিকসই করতে লোহার সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা আমাকে তাই বলেছে, আমি বর্তমানে চট্টগ্রামে আছি। তবে আমি বাঁশ খুলে ফেলতে বলেছি।

এদিকে কলেজের উন্নয়ন কাজে রডের সঙ্গে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রীসহ কলেজের সকলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উন্নয়ন কাজটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানো হয়েছে।

সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়ুয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহারের কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কাজ করা উচিত নয়। আমরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের সহকারী প্রকৌশলী নুর হোসেন দ্য রিপোর্টকে জানান, আমরা ঠিকাদারকে বাঁশ ব্যবহার করতে বলিনি। এটি হয়ত শ্রমিকরা না বুঝে করেছে। তবে বাঁশ খুলে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর