thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল 24, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২১ শাওয়াল 1445

গাজায় নিজেদের সরকার বিলুপ্ত করলো হামাস

২০১৭ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৯:২০:২৭
গাজায় নিজেদের সরকার বিলুপ্ত করলো হামাস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস গাজায় তাদের সরকার বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।

কায়রোতে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর হামাস নেতারা বলেছেন, গাজায় তারা নতুন নির্বাচনের আয়োজন এবং ফাতাহর সাথে আলোচনা শুরু করবেন।

ফাতাহর নেতারাও একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

হামাসের ওপর যখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ ক্রমশই বাড়ছে ঠিক তখনই হামাসের পক্ষ থেকে এই সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হলো।

প্রায় ১০ বছর আগে গাজায় হামাস এবং ফাতাহ সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই ফিলিস্তিনি এই দুই দলের মধ্যে চরম বৈরিতা চলছিল।

২০০৬ সালের নির্বাচনের পর ঐক্যমত্যের একটি সরকার গঠনের সব চেষ্টা ভেস্তে যায়। তখন থেকে গাজা শাসন করছে হামাস, অন্য দিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রশাসন চালাচ্ছে ফাতাহ।

দীর্ঘ এক দশক পর এই দুই দলের মধ্যে মীমাংসার একটা উদ্যোগ চোখে পড়ছে। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে মিশর এই মধ্যস্থতা করছে।

কায়রোতে মিশরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা গাজার প্রশাসনিক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন একটি নির্বাচন দিতে প্রস্তুত।

ফাতাহ-র সিনিয়র একজন নেতা নাবিল শাথও মনে করছেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা জাগানো একটি সিদ্ধান্ত।

তিনি বলছেন, ‘আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি গাজায় ভিন্ন একটি সরকার ভেঙ্গে দিয়ে একটি ঐক্যমত্যের সরকারের প্রস্তাব বাস্তাবায়ন করতে। হামাস তা এতদিন শোনেনি। তারা যে এখন আনুষ্ঠানিকভবে তাদের সরকার ভেঙ্গে গাজায় একটি ঐক্যমত্যের প্রশাসনের কথা বলছে, সেটা বিরোধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম একটি পদক্ষেপ।’

নাবিল শাফ আরো বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সাথে পাকাপোক্ত কোনো শান্তি আলোচনার জন্য ফিলিস্তিনি বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ঐক্য সবচেয়ে জরুরি। আমাদের এখন পরস্পর পরস্পরকে দরকার। আমরা বুঝতে পারছি না, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই তা হলে আমরা কীভাবে নেতানিয়াহু এবং তার কট্টর ডানপন্থী অবৈধ বসতি স্থাপনের সমর্থক সরকারের মুখোমুখি বসতে পারব!’

তিনি আরো বলেছেন, ‘গাজা এবং পশ্চিম তীর ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে মূল সমস্যা মোকাবেলা খুবই কঠিন হবে। আর সেই সমস্যা হলো ইসরাইলি দখলদারিত্ব এবং হামাস সেটা জানে।’

তবে বার্তা সংস্থা এপির সংবাদে বলা হয়েছে, হামাস তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রেসিডন্ট মাহমুদ আব্বাসের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি কিনা - তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধিতার অন্যতম প্রধান একটি কারণ।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর