অস্ট্রেলিয় ক্যাথলিক খ্রিস্টান নারীর ইসলাম গ্রহণের ইতিকথা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসলাম হচ্ছে একটা বিশ্বজনীন জীবন বিধান। পৃথিবীর যে-কোনো বংশ-গোত্রের লোকই ইসলামের পথে যে-কোনো সময় আসতে পারে। কারো জন্যেই কোনোরকম বাধা নেই কিংবা ইসলামে প্রবেশের ব্যাপারে গোত্র বা বংশ বিশেষের কোনোরকম তুলনামূলক প্রাধান্যও নেই।
ইসলাম সেই আবির্ভাবের সূচনা থেকেই যে ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছিল তা হলো চমৎকার সব নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিক এবং আত্মগঠন সংক্রান্ত মৌলিক শিক্ষা। আর এসব আকর্ষণীয় শিক্ষার মূল প্রোথিত রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে। আল কোরআনের উচ্চতর চিন্তাধারা এবং উন্নত ও শক্তিমান জ্ঞানের প্রবাহ মানুষকে নিয়ে যায় জীবন উৎকর্ষের রাজপথে। কোরআন এ পথে যেতে মানুষকে যথার্থ দিক-নির্দেশনা দেয়। ইসলাম মানুষকে দেয় স্বাধীনতা ও চিন্তার ভারসাম্য, সেইসাথে দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্ব থেকে উর্ধ্বতর দিগন্তে পাখা মেলা এবং সত্য আবিষ্কারের অবাধ অধিকার। এই অধিকার চর্চা করেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন এইবাত বালদাচিনা নামের এক রমনী। তাঁর মুসলমান হবার ইতিকথা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
এইবাত বালদাচিনার বয়স একত্রিশ বছর। কিছুকাল আগে তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নাম রাখেন সুরাইয়া। নওমুসলিম এই মহিয়সী নারী অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। তাঁর মা হলেন ব্রিটিশ আর পিতা হলেন ইতালীয়। ছোট বেলায় তাঁকে ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে বারিস্নান দেওয়া হয়েছিল। সুরাইয়া তাঁর পুরো শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সমাজ বিজ্ঞানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। স্বয়ং সুরাইয়া এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
"আমি এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই কিশোরী বয়সেই আমার ভেতর একটা বিষয় আমি অনুভব করতাম। সেটা হলো আমি ভাবতাম যে নিশ্চয়ই এই বিশ্বের স্রষ্টা একক কোনো সত্ত্বা হবেন। ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদার বিষয়টি আমার কাছে কেন যেন গ্রহণযোগ্য বলে মনে হতো না। আমার মনে হতো ইঞ্জিল গ্রন্থে কোনো কোনো নবীর ব্যাপারে যেসব অন্যায় বিষয়-আশয় আরোপিত হয়েছে সেসব কিছুতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে পারে না। কিন্তু আমি যেই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কোনো সুযোগ ছিল না।"
এইবাত বালদাচিনা আরো বলেন, "আমার বয়স যখন নয় বছর,তখন আমাকে পাদ্রির কাছে নিয়ে যাওয়া হলো স্বীকার করার জন্যে। স্বীকার মানে হলো পাদ্রি আমার কাছে চাচ্ছিলো-আমি যেন স্বীকার করি গত সপ্তার দিনগুলোতে আমি কী কী গুনাহ বা অন্যায় কাজ করেছি।স্বীকার করার কারণ হলো তাতে গুনাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে। আমি তাকে বললাম গত সপ্তায় আমি কোনোরকম অন্যায় কাজে লিপ্ত হই নি। আর যদি কোনোরকম গুনাহ বা অন্যায় কাজ করিও,তাহলে আমি সরাসরি খোদার কাছে বলবো,তাঁর কাছে তওবা করবো।"
অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী মিস এইবাত নিজের ধর্মের শিক্ষাগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতেন বলে অন্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। তিনি বলেন, এক স্রষ্টাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে প্রাচ্যের ধর্মগুলো নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।অবশ্য প্রথমে ইসলাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখলাম, কেননা আমাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা ছিল। আমাদেরকে বোঝানো হতো যে ইসলামে নারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় এমনকি মানুষই মনে করা হয় না। হিন্দুত্ববাদ নিয়ে পড়ালেখা করলাম।কিন্তু আমার কাছে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হলো না। বৌদ্ধবাদ তারচেয়ে অনেকটা ভালো বলে মনে হলো। কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনাগুলো খুব একটা যৌক্তিক বলে মনে হয় নি আমার। এগুলো আমার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলো না। এইবাতের ভেতরে সত্য সন্ধানী কৌতূহলী একটা সুরের অনুরণন খেলে যাচ্ছিল, তিনি আনমনেই সেদিকে ছুটলেন। স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরার আকর্ষণ তাঁর ভেতরে ধীরে ধীরে শিখার প্রজ্জ্বলিত হতে লাগলো। সেই আলোয় তিনি সত্যের পথ অন্বেষণে ধাবিত হলেন। এরকম একটা সময়ে তাঁর মা মিশর সফরে যান। তার কিছুদিন পর মিস এইবাতও মিশর সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তাঁর ভেতরে জাগরণের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা দিল। তাঁর ভাষায়ঃ
"যখন মিশর অভিমুখী বিমানের ভেতর ছিলাম,হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও শুনছিলাম। রেডিও শুনবো কী! কেবল নব ঘুরাচ্ছিলাম। ওয়েব ব্যাণ্ড বা তরঙ্গের পর তরঙ্গে নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ করে বিশেষ একটা রিদমিক সুর কানে বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত আরবি ভাষার সঙ্গীত ছিল। সুরটা আমার কাছে এতো বেশী স্বস্তিদায়ক এবং প্রশান্তিকর ছিল যে বিমানে যতোক্ষণ ছিলাম আমি আর ঐ ব্যান্ডটা পাল্টাই নি। যদিও আমি জানতাম না এর অর্থ কী! যাই হোক, মিশরে সবকিছুই আমার ভালো লাগল। গরিব মুসলমানদেরকেও দেখলাম অভাব-অভিযোগ সত্ত্বেও বেশ উদার এবং নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ অবাক করার মতো ব্যাপার ছিল, কেননা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে মানুষেরা সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু টাকার পেছনে ছোটে, তারপরও তারা সবসময় অতৃপ্ত এবং অসন্তুষ্ট। পাশ্চাত্যে একটা মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মঠ থাকে ততোক্ষণ তাকে মূল্যায়ন করা হয়। বয়স্ক বা বৃদ্ধরা সেখানে বৃদ্ধাশ্রমে কাটায়। অথচ মুসলমানরা বয়স্কদেরকে বেশ সম্মান করে। ভ্যাপারটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করল। পরে বুঝলাম এটা তাদের ইসলামী সংস্কৃতিরই অঙ্গ। মুসলমানরা রমযান মাসে রোযা রাখে এবং নিজেদের আচার-আচরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে। ইসলামে পারিবারিক ব্যবস্থাটি বেশ মার্জিত। ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে পূত-পবিত্র জীবন যাপন করে। সাধারণত অন্যায়ের কেন্দ্রগুলো থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখে। আর এই সুন্দর ব্যবস্থাপনাগুলো অপর ধর্মের লোকজনকে ইসলামে দীক্ষিত হলো অনুপ্রাণিত করে। এজন্যেই লক্ষ্য করা গেছে গত বছর ইউরোপে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। এদের বেশিরভাগই হলেন শিক্ষিত শ্রেণী। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে যেভাবে ফেৎনা ফাসাদে, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শোষন-নিপীড়ন লেগেই আছে তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। শিক্ষিত শ্রেণী তাই নীতি-নৈতিকতা আর চিন্তা-চেতনার নবমূল্যায়নের পেছনে ছুটছে। এভাবে গবেষণা করতে গিয়েই তারা ইসলামের যুগোপযোগী অনাবিল আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করার অবকাশ পাচ্ছে।
২.
ইউরোপে যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত শ্রেণীর। কেননা বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা আর শোষণ-বঞ্চনাক্লিষ্ট মানুষ এখন নিরূপায় হয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান আশা করছে। সেই লক্ষ্যেই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা গবেষণা চালাচ্ছেন। আর যারাই গবেষণা চালাতে গিয়ে ইসলামী আদর্শ নিয়ে পড়ালেখা করেন তারাই অনন্য এই আদর্শের মোহে বিমুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করে তোলেন।কেননা তাঁরা যে আদর্শ বা পরিত্রাণের যেরকম মাধ্যম খুজেঁ বেড়ান সে সবই খুজেঁ পান ইসলামে। বেলজিয়ামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন লওজ ওয়ার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে লিখেছে,চল্লিশ হাজারেরও বেশি বেলজিয়ান নাগরিক গেল ক'বছরে মুসলমান হয়েছে। বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যা এক কোটির মতো। তার মাঝে মুসলমানদের সংখ্যাই হলো সাড়ে চার লাখ। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি লিখেছেঃ এভাবে এতাটা দ্রুততার সাথে যদি বেলজিয়ানরা ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে তাহলে ২ হাজার ১২ সালের মধ্যে বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে। যেসব বেলজিয়ান ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন তাদের এই ধর্মান্তরের পেছনে যে যুক্তিটি তারা দেখান তাহলো ইসলামে মানুষ এবং খোদার মাঝে কোনোরকম মাধ্যম বা তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। তাদের দৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক জীবনে পবিত্রতার ক্ষেত্রে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মিস এইবাত বলেন, মিশরে একদিন এক কফি হাউজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এলো সেই মিষ্টি মধুর আওয়াজ-বিমানের ভেতর রেডিওতে যা শুনে আমি প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। আমি পেরেক বিদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম এটা কিসের শব্দ।বললো এ হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঐ কোরআনের একটা ইংরেজি সংস্করণ জোগাড় করে পড়লাম। আমি ভীষণভাবে কোরআনের আয়াতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়লাম। আমি বিস্ময়কর এই গ্রন্থে জীবনের পরিপূর্ণ বিধি-বিধান লক্ষ্য করলাম। দেখলাম সবকিছুই যৌক্তিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য।এমন কোনো বিষয় নেই যার সম্পর্কে কোরআনে বলা হয় নি।কোরআনের যে বাচনভঙ্গি,অন্যদের সাথে সম্পর্কের যে প্রক্রিয়া,হালাল-হারামের ব্যাপারে যেরকম গুরুত্বারোপ, জ্ঞান,মনোবিজ্ঞান, পরিবার, প্রশিক্ষণ, শাসনকার্য ইত্যাদি সকল কিছুই ইসলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি ইঞ্জিলের পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছি তবে আমার মনে হতো ইঞ্জিলের একটা অংশ খোদার বক্তব্য নয়। সে রাতে আমি যখন আমার রুমে কোরআন পড়লাম ঠিক তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ইঞ্জিল এবং কোরআনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোরআনের যে বক্তব্য তা এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তার অর্থও একদম যথার্থ এবং সুস্পষ্ট। ঐ রাতে আমি সকাল পর্যন্ত কোরআন পড়েছি। অবশেষে আমি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলাম যার সাথে আমার চিন্তার সাযুজ্য রয়েছে। আমি ভাবতাম ইসা (আ) কিছুতেই খোদা হতে পারে না। যদি তিনি খোদাই হতেন তাহলে তিনি এই মর্তলোকে বসে কার দরবারে মোনাজাত দিতেন? মূলত যিনি খোদা,তাঁর তো মুনাজাত দেওয়ারই প্রয়োজন নেই। কোরআন সুস্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলেছেঃ হে আহলে কিতাব! তোমরা তো ইসা (আ) কে খোদার পুত্র বলে অভিহিত করো,অথচ তিনি কেবল একজন পয়গাম্বর মাত্র। কোরআন আমাকে এমনভাবে আকৃষ্ট করলো যে পরদিন সকালে আমি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম এবং মুসলমান হয়ে গেলাম। মিস এইবাত ইসলাম গ্রহণ করাটাকে অভ্যন্তরীণ পবিত্র যে আহ্বান আছে তার ডাকে সাড়া দেওয়া বলে মনে করেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন কোরআনের প্রাণদায়ী আয়াতগুলোর আলোকরশ্মি সৌন্দর্য আর নূরের জানালা দিয়ে তাঁর চেহারায় এসে পড়েছে। তিনি বলেন যখন কোরআন পড়লাম, এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে এই গ্রন্থের শিক্ষাগুলো সেই মহান জিনিস যেগুলোকে সবসময় নিজের ভেতর লালন করতাম এবং সেসব নিয়ে সবসময় ভাবতাম। আসলে কোরআন একটা স্মরণীয় জিনিস, যখনি তা আমার স্মৃতিতে জেগে ওঠে ভাবতেই ভালো লাগে যে কী চমৎকার এবং পূত-পবিত্র জিনিস আমার অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করছে। আমি যেহেতু ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথার্থভাবে জানতাম না,তাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার পর স্বভাবগতভাবেই আমি উপলব্ধি করলাম যে অন্যায় বা গুনাহের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশিষ্ট মুসলিম চিন্তাবিদ আবু হামেদ গাযযালী মনে করেন মানুষের চিন্তাগত পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেজন্যেই সত্যকে উপলব্ধি করার যে আনন্দ এবং উত্তেজনা মানুষের ভাগ্যে জোটে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারপরও বহু নওমুসলিম এই অবস্থা বা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করাকে এমন একটা নূরের প্রভাব বলে মনে করেন যা আল্লাহ তায়ালা তাদেঁর অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছেন এবং তাঁদেরকে সত্যের ঝর্ণাধারায় অবগাহিত করেছেন।
পাঠক! যাঁরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা না করলেও মোটামুটি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করে তাদেঁর কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাঁরা অস্ট্রেলিয় নওমুসলিম এইবাত বালদাচিনার কথাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং নতুন কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা আপনাদের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তাও আমাদের জানাতে পারেন। মনে রাখবেন ইসলাম সবসময় গবেষণাকে প্রাধান্য দেয়। এমনকি কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান বলে মনে করে।তাই গবেষণা করলে অনেক বেশি কল্যাণ পেতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দিন।
সূত্র: পার্স টুডে
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- গাজায় রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত ২০
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে
- হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
- "আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমার পেছনে বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি দায়ী"
- রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে
- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে: মির্জা ফখরুল
- ডোনাল্ড লুর সফরে যেসব বিষয় আলোচনা হবে, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার
- রাফা ছেড়ে পালিয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- প্যারিসে এমুবাপ্পের শেষ ম্যাচে পিএসজির হার
- ইসরায়েলিদের সামনেই ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশীরা
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ শুরু
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুতিন
- সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু, আটকেপড়া যাত্রীদের স্বস্তি
- নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে এনআইডি বাতিল
- হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন হজযাত্রী
- ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- আজ কুতুবদিয়া পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ
- আবারও সিআইপি হলেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ
- সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- পোশাক শিল্পে এখনই ৩ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা জরুরি
- সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে
- রোনালদোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল
- শুরুর বিপথ সামলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৭
- আফগানিস্তানে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০
- শিক্ষায় ছেলেরা পিছিয়ে কেন, কারন খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ
- আজ বিশ্ব মা দিবস, যেভাবে এলো
- এসএসসি ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ফিরতে বাঁধা নেই
- এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন শিক্ষক এনামুল
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন
- ইউএস ট্রেড শো- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন
- "সীমান্তে গুলি করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও সরকার নিশ্চুপ"
- সরকার পরিবর্তনে এখন জনগণের হাত নেই: জিএম কাদের
- "সাংবাদিক ও দুদকের কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েছেন শামসুজ্জামান"
- এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে
- সড়কে মৃত্যুহার কমানো সরকারের উদ্দেশ্যে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ
- ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
- ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশও
- মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
- বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- না ফেরার দেশে হায়দার আকবর খান রনো
- আইইবি ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনে ৫ হাজার ৯২৬ হ্জ যাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন
- "গুলশান লেকে দেখলাম অভিজাত এলাকায় অভিজাত ময়লা"
- একটি পরিবারও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- সিরিজ নিশ্চিতের পর টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের মিশন শুরু
- বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পুলিশের গুলি
- "আমরা পৃথিবীর কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না"
- দীর্ঘ ছয় মাস পর আজ নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি
- সীমান্তে হত্যা: ভারতের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগ
- ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সাত কলেজের
- নিহত পাইলটের জানাজা সম্পন্ন, দাফন মানিকগঞ্জে
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে এক পাইলট মারা গেছেন
- "সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগগুলোর তার মাটির নিচ দিয়ে হবে"
- অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
- মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
- প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ জন হজযাত্রী
- জুলাইয়ে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- পাঁচ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ
- বিএসইসির কমিশনার পদে তিনজনকে নিয়োগ
- বিদায় নিচ্ছে তাপপ্রবাহ, ৪ দিনে ৮ ডিগ্রির বেশি কমেছে তাপমাত্রা
- যুবলীগ নেতা সারোয়ার বাবুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র প্রয়োজন: জেলেনস্কি
- ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন
- নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করবে ১০ মে
- দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে ইসি বেকায়দায় নেই: সিইসি
- কারও একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবেলা সম্ভব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সিরাজগঞ্জে গোপন বৈঠক, ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৬
- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- সিরিজ নিশ্চিতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- এসএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
- সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ১৫টি অঞ্চলের সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- উপজেলা নির্বাচন: ভোটার শূন্য আসনে অলস সময় কাটাচ্ছে পুলিশ
- এবার ঢাকায় বসবে ২২টি পশুর হাট
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- বিএসইসির কমিশনার পদে তিনজনকে নিয়োগ
- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন যেসব প্রার্থী
- সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি: নসরুল
- ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ওমরাহ পালন শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব
- ঢাকা আসছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- এক কোটি কার্ডধারীকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিবে টিসিবি