thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ মে 24, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১,  ৬ জিলকদ  1445

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

২০১৯ মার্চ ২৬ ০৯:১৪:৩২
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতি মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ প্রত্যুষ থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

প্রত্যুষে রাজধানীতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেখানে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ দিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনসমূহে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল দীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর