পর্ব-এক
বিদআত কী, ঈদ-এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কি বিদআত ও নিষিদ্ধ?
ডক্টর মো. মাহমুদুল হাছান
বিদআত শব্দটি আমাদের মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। বিশেষ করে মুসলিম রীতিনীতিতে এটি দৈনন্দিন ইবাদাতের অংশ হিসাবে অনেক মানুষ আমলও করে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেকেই “বিদআত” পরিভাষাটির সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা না জানার কারণে বিদআতী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিনিয়ত ইবাদাতের নামে ধোকায় লিপ্ত হচ্ছে। এসকল কর্মের মধ্যে ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন একটি প্রমানীত বিদআত। সুতরাং আসুন জেনে নেই বিদআত কি এবং ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কেন বিদআত। নিম্নে এ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পেশ করা হলো-
بدعة (বিদআত) এর পরিচয়
بدعة শব্দটি بدع (বাদউন) মূল শব্দ হতে নির্গত যায় শাব্দিক অর্থ হলো নতুন আবিষ্কার বা উদ্ভাবন। অর্থাৎ যার দৃশ্যমান কোন অস্তিত্ব পূর্বে ছিল না এমন কোন কিছুর নতুন উদ্ভাবন করা। এ শব্দটি পবিত্র কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ বলেন -
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْض
“আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ছাড়াই আসমান ও যমিনের আবিষ্কার করেছেন।” (সূরা বাকারা ঃ ১১৭)
তাই বিদআতের সংজ্ঞায় বলা হয়-
الاختراع على غيرمثال سابق
অর্থাৎ পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত বা নমুনা ছাড়াই কোন কিছুর উদ্ভব ঘটানো। সুতরাং বিদআত বা নব আবিষ্কার দু’প্রকার হতে পারে,
এক. পার্থিব জীবনের উন্নয়নের নব আবিষ্কার, যা বৈধ এবং তা করতে বা পালনে ইসলামী আক্বিদায় কোন কোন সমস্যা নেই বরং তা উৎসাহব্যঞ্জক। কারন তা পার্থীব জীবন যাপনের মান বা শোভা বৃদ্ধি করে।
দুই. ইবাদাতের নামে ইসলামে কোন কথা বা কাজের নব আবিষ্কার। যা ইসলামের প্রদর্শিত মত ও পথে নতুন সংযোজন করে। এটি সম্পুর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কারন ইবাদাত পালনের সকল নিয়ম নীতি রাসুল (স.), সাহাবা (রা.) ও তাবেঈ এর যামানায় পরিপুর্ণ হয়ে গেছে। নুতন কিছু সংযোজনের সুযোগ নেই। তাই এ প্রকার বিদআতই নিষিদ্ধ আর এ জন্যই ইসলামী পরিভাষায় বিদআতের সংজ্ঞা হলো-
ما أحدث فى الدين على خلاف ما كان عليه النبى صلى الله عليه وسلم وأصحابه من عقيدة أوعمل
ইসলামে এমন কোন আকীদা বিশ্বাস বা আমল এর উদ্ভব ঘটানো যা নবী (সা) ও সাহাবায়ে কিরামদের মাঝে ছিল না। (আল বিদা ওয়াল মুহদাছাত: ৯৭)
মোট কথা ইসলামে ইবাদাতের নামে এমন কোন কথা বা কাজ আবিষ্কার করা যা কুরআন ও সহীহ হাদীসে নেই। এ বিদআতকে বুঝানোর ক্ষেত্রে অনেকে অনেক ভাবে বিভক্ত করেছেন যেমন, কথার বিদআত, কাজের বিদআত, আকীদা বিশ্বাসে বিদআত ইত্যাদি। কিন্তু হুকুমের বা বৈধ ও অবৈধ এবং শেষ পরিণতির দিক দিয়ে এর কোন প্রকার প্রভেদ নেই। সবই হারাম বা নিষিদ্ধ। কারণ নবী (সা) বলেন -
إياكم ومحدثات الامور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة
“তোমরা যাবতীয় নতুন আবিষ্কার হতে সাবধান, কেননা ইসলামে প্রতিটি নতুন আবিষ্কারই হলো বিদআত আর প্রতিটি বিদআতই হলো পথভ্রষ্টতা বা গুমরাহী। (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা, নাসাঈ ও আহমাদ সহীহ আল জামি‘ হাঃ ২৫৪৬।
আর পথভ্রষ্টতা বা গুমরাহী নিয়ে যায় জাহান্নামে। তাই ইসলামে বিদআতে হাসানা (ভাল বিদআত) ও বিদআতে সাইয়েয়াহ (খারাপ বিদআত) এরূপ কোন ভাগাভাগির সুযোগ নেই। সকল প্রকার বিদআতই প্রত্যাখানযোগ্য কোন বিদআতী আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। নবী (সা) বলেন-
من أحدث فى أمرنا هذا ماليس منه فهو رد
“যে আমাদের দীনে এমন কিছু উদ্ভাবন করল যা তাতে ছিলনা তা প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী, মুসলিম)
পরিশেষে বলতে পারি কুরআন ও সহীহ হাদীসে প্রমাণিত নয় এমন ইবাদাতের নামই হলো বিদাআত, যা আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করবেনই না উপরন্তু এ সব বিদআত বিদআতীকে হিদায়াত থেকে গুমরাহী এবং জান্নাত হতে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, যারা বিদ আতে হাসানা বলে আরেকটি বিদআতের কথা বলে থাকেন তাদের কথার একটি সত্যতা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, ইবাদাতের কাজ করতে গিয়ে ইবাদাতের সামগ্রী যেমন ইলম বা জ্ঞান চর্চার জায়গা মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা, মসজিদের শোভা বর্ধন করা, নামাজের পোষাক- পরিচ্ছদে সৌন্দর্য আনা, যাকাত আদায় করতে গিয়ে আধুনিক কোন যন্ত্র ব্যভার করা, নামাজ-রোজা পালন করতে কোন আধুনিক বেশিং যেমন ঘড়ি ব্যভার করা ইত্যাদি কাজে ইসলামী আদল বা প্রকৃতি ঠিক রেখে নতুন কিছুর উদ্ভাবন করা না জায়েয নয় বরং বৈধ।
সুতরাং বিদআত কর্ম সম্পাদন করা এর সমর্থন করা বা এ কাজে সাহায্য করা যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম তাতে কোন সন্দেহ নেই। এবার আসা যাক ঈদ এ মিলাদুন্নাবী এর বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা। এটি কি বিদ আত নাকি এর কোন বৈধতা আছে? নিম্নের আলোচনা থেকে আশাকরি সন্দেহটা দূর হয়ে যাবে।
ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কি বিদ আত?
‘ঈদে মিলাদুন্নাবী’ একটি বহুল প্রচলিত পরিভাষা। এ নামটি তিনটি আরবী শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, শব্দ তিনটি হলো- عيد (ঈদ), ميلاد (মিলাদ) النبى (নাবী)।
عيد (ঈদ) শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো বারংবার ফিরে আসা, সমবেত হওয়া, আনন্দ উৎসব ইত্যাদি।
পরিভাষায় ঈদ হলো, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) বলেন-
العيد اسم لما يعود من الاجتماع على وجه معتاد عائد، إما بعود ألسنة أوبعود الأسبوع أو الشهر أونحوذالك
ঈদ হচ্ছে এমন সাধারণ সমাবেশ যা নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসে, বছর ঘুরে আসে, অথবা মাসে আসে। (আল আইয়াদ ওয়া আছারুহা আলাল মুসলিমিন: ২১)
এ ঈদ সময় কেন্দ্রিক আবার স্থান কেন্দ্রিকও হয়ে থাকে। ميلاد (মিলাদ) অর্থ জন্ম, অর্থাৎ জন্ম দিবস, আর النبى (নাবী) শব্দটি আরবী হলেও তা সকল মুসলিমের বোধগম্য। উদ্দেশ্য হল নবী মুহাম্মদ (সা)। সুতরাং “ঈদে মিলাদুন্নাবী” এর অর্থ হলো- নবীর জন্মে খুশী বা উৎসব। নবী মুহাম্মদ (সা) এর জন্ম উপলক্ষে যে আনুষ্ঠাতিকতা বা ঈদ উৎসব পালন করা হয় তাকে “ঈদে মিলাদুন্নাবী” বলা হয়। এখন প্রশ্ন জাগে যে, ঈদে মিলাদুন্নাবী” এর উৎপত্তি কখন হতে?
ঈদে মিলাদুন্নাবী এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ-
“ঈদে মিলাদুন্নাবী” এ জাতীয় অনুষ্ঠানাদির ভিত্তি কুরআন ও সহীহ হাদীসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ইতিহাসের পাতায় তাকালে দেখা যায় প্রাক ইসলামী যুগেও এ জাতীয় আচার অনুষ্ঠান ছিল, যেমন- গ্রীক, ইউনান, ফিরায়ানা ইত্যাদি সভ্যতায় তারা স্বীয় দেবতার অনুষ্ঠান উদযাপন করত। তাদের থেকে গ্রহণ করেছে পরবর্তী খ্রীষ্টান সম্প্রদায়। যাদের কাছে বড় ঈদ হলো তাদের নবীর জন্মোৎসব পালন করা। খ্রীষ্টানদের জন্মোৎসব বা বড় দিবসের অনুষ্ঠান শুধু প্রাক ইসলামেই পালন করা হত না বরং আজও হয়ে চলছে, সেখান থেকেই অনুসৃত হয়ে এসেছে এক শ্রেণীর মুসলিম সমাজে। এখন প্রশ্ন হলো, কখন থেকে মুসলিম সমাজে এ অনৈসলামিক সভ্যতার অনুপ্রবেশ ঘটল এবং কার মাধ্যমে ঘটল?
ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপনের সূচনা-
ঈদে মিলাদুন্নাবী এর পক্ষে ও বিপক্ষে সকল আলিম সমাজ একমত যে, এই মিলাদুন্নাবীর উৎসব নবী (সা), সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনদের মাধ্যমে কখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে অবশ্যই সে উত্তম যুগসমূহ অতিবাহিত হওয়ার পরই এ বিদআতের উদ্ভব ঘটেছে। কিন্তু কোন সময় এবং কার মাধ্যমে এ বিদআতের উদ্ভব ঘটল এ নিয়ে ইসলামী পন্ডিতগণ দু’টিমত ব্যক্ত করেছেন।
এক. হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে মিসরে ফাতেমী সম্রাজ্যে এ বিদআতের উদ্ভব ঘটে। তারা সর্বপ্রথম ছয় জন ব্যক্তির জন্মোৎসব পালন করেন। (১) নবী (সা) (২) আলী (রা) (৩) হাসান (রা) (৪) হুসাইন (রা) (৫) ফাতেমা (রা) (৬) তৎকালীন ফাতেমীয় সাম্রাজ্যের খলীফা। তখন হতে ফাতেমী বা শিয়া সম্প্রদায়ের খলীফা স্বউদ্যোগে জাতীয়ভাবে ছয় জনের জন্ম দিবস পালন করত। [দ্রঃ আল খিতাত লিল মাকরীযী- ১/৪৯০-৪৯৯)
দুই. হিজরী সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে ইরাকের মাওসুল শহরে তৎকালীন বাদশা আল মুযাফফার এর পৃষ্ঠপোষকতায় দরবারী আলেম উমার বিন মুহাম্মদ মল্লা এর পরিচালনায় সর্ব প্রথম নবী (সা) এর জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। (হাসনুল মাকসাদ লিসযুয়ূতী: ৪২ পৃষ্ঠা) (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১৩/১৪৭ পৃষ্ঠা)
ইমাম আবু শামাহ (রহ) উক্ত দুটি মতের সমন্বয় সাধন করতে গিয়ে বলেন- বস্তুত সর্বপ্রথম যারা এ বিদআতের উদ্ভাব ঘটায় তারা হল ফাতেমী বা শিয়া সম্প্রদায়। হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে তারা মিসরের রাজধানী কায়রোতে এ বিদআতের আবির্ভাব ঘটায়। অতঃপর সেখান থেকে ফাতেমী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লে ইরাকের মধ্যে মাওসুল শহরে সর্বপ্রথম বাদশা মুযাফ্ফর এর পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিদআত চালু হয়। যদিও অন্যাঞ্চলে তা আগেই উদ্ভব হয়েছিল কিন্তু ইরাকের মওসুল শহরে তার মাধ্যমেই প্রথম চালু হয়। (আল-বায়িছ লিআবী শামাহ: ২৩-২৪ পৃষ্ঠা)। বিস্তারিত দ্রঃ (আল আইয়াদ ওয়া আছারুহু আলাল মুসলিমিন ২৮৬-২৮৯ পৃষ্ঠা)
সুতরাং আমরা যদি ইসলামী আক্বীদা ধারন করে একটু চিন্তা করি তাহলে আমরা কি বুঝিনা যে, যে কাজটি নবী (সা) এর যুগে ছিলনা, সাহাবায়ে কিরামদের যুগে ছিল না, এমনকি তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী ও প্রসিদ্ধ ইমামদের যুগেও ছিলনা তা কিভাবে ইসলামের ইবাদাত হতে পারে? সত্য ইতিহাস প্রমাণ করছে এ বিদআতের উদ্ভব হলো নবী (সা) এর পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার চারশত বছরেরও অনেক পরে। তাই বিদআতের সঠিক মাপকাঠিতে ফেলে একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইহা একটি সুন্নী মুসলিমদের আজীবন শত্রু“ ভ্রান্ত শিয়া সম্প্রদায় হতে উদ্ভাবিত এক ভ্রান্ত গুমরাহি বিদআত যা নবী (সা) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরামদের আমলে ছিলনা। আসুন আমরা এ প্রচলিত বিদআত নবী (সা) এর জন্মবার্ষিকী প্রচলন উপলক্ষে যে সব গর্হিত ও ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ সংঘটিত হয় তার সামান্য কিছু লক্ষ্য করি এবং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হই এবং ঈদ এ মিলাদুন্নাবী-কে একটি স্পষ্ট বিদ আত হিসাবে তা বর্জন করি এবং অন্যদেরকেও তা বর্জনে সাহায্য করি।
কি কারণে মিলাদুন্নবী উদযাপন হারাম
আমরা যে সকল কারনে ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন থেকে বিরত থাকব তার কিছু যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, আল্লাহ আমার সহায় হোক-
কারণ – এক.
এটি রাসূলুল্লাহ(সা.) কিংবা তাঁর খলীফাদের সুন্নাত ছিল না। ফলে এটি একটি নিষিদ্ধ নব উদ্ভাবন, কেননা নবীজী(সা.) বলেছেন: “আমি তোমাদেরকে আমার এবং আমার পরবর্তী সঠিক পথপ্রাপ্ত খলীফাদের অনুসরণের ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছি; তোমরা একে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাক। [দ্বীনের মধ্যে] নব উদ্ভাবিত বিষয় সম্পর্কে সাবধান হও, কেননা প্রতিটি নবোদ্ভাবিত বিষয়ই বিদাত, এবং প্রতিটি বিদাতই হচ্ছে পথভ্রষ্টতা।” (আহমাদ, তিরমিযী)মিলাদুন্নবী একটি বিদাত যা মুসলিমদের দ্বীনকে নষ্ট করার জন্য ফাতিমীয় শিয়ারা চালু করেছিল প্রথম তিনটি শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পর। কেউ যদি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করে যা রাসূল(সা.) করেননি কিংবা করতে বলেননি এবং তার উত্তরসূরী খলীফারাও করেন নি, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে সে দাবী করছে যে রাসূল(সা.) মানুষের কাছে পরিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ব্যাখ্যা করেননি [নাউযুবিল্লাহ], ফলে সে আল্লাহর এই আয়াতকে অস্বীকার করে: “আজ আমি, তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম।” (সূরা আল মায়িদাহ, ৫:৩) কারণ সে দ্বীনের মধ্যে বাড়তি কিছু সংযোজন করছে এবং দাবী করছে যে তা দ্বীনের অংশ অথচ রাসূল(সা.) তা [আল্লাহর পক্ষ থেকে] নিয়ে আসেননি। (চলবে)
লেখক: গবেষক.ইসলামী চিন্তাবিদ
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- সাকিব নিজে থেকে বিএনএমে যোগ দিতে আসেন: মেজর (অব.) হাফিজ
- হলমার্ক কেলেঙ্কারি: চেয়ারম্যান ও এমডির যাবজ্জীবন
- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তিন পদে পরিবর্তন
- শীর্ষ ব্রোকারদের নিয়ে বৈঠকে ডিবিএ
- সাউথইস্ট ব্যাংকের পার্পেচুয়াল বন্ডের লেনদেন শুরু
- ফ্লোর প্রাইস উঠলো রবি অজিয়াটার
- ঈদে কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন, থামবে ৭ স্টেশনে
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে নাহিদ রানা
- শেষ বলের নাটকিয়তায় পিএসএল চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ
- গাজায় দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
- কর কমিশনারের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির অভিযোগে দুদকের মামলা
- এনএসআই ও পুলিশের যৌথ অভিযান: ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার চক্রের ৯ জন গ্রেপ্তার
- বিআরটিসির ১৫ কর্মকর্তা ও ২২ কর্মচারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
- পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে
- খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
- রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপির বড় তহবিল গঠনের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- দলীয় শর্ত পূরণ করেই এমপি হয়েছেন সাকিব: ওবায়দুল কাদের
- আবার আল-শিফা হাসপাতালে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
- গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশু নিহত: ইউনিসেফ
- নির্বাচনে জিতে পরমাণু যুদ্ধের হুশিয়ারী পুতিনের
- আবারও কাঁপল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত
- জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্ত ছাত্র ও প্রক্টর রিমান্ডে
- তিন দিন ছুটির পরে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী
- একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের চাপ ছিল না: নজরুল ইসলাম
- সারাদেশে ১ দিনের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি
- টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্র্যাক ব্যাংক
- সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ২১ মার্চ
- পূবালী ব্যাংকের পার্পেচুয়াল বন্ডের ১০ শতাংশ কুপন রেট ঘোষণা
- তীব্র দাবদাহে স্বস্তির বাতাস দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- একীভূত হলো পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
- কবি শামসুল ইসলামের জন্মদিন আজ
- নির্বাচন ও স্বতন্ত্র ত্বত্ত্ব
- বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আ.লীগের সভা কাল
- ঈদের আগে রেলের ভাড়া বাড়বে না: রেলমন্ত্রী
- গাজায় বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী
- "মানুষ অসচেতন থাকলে ১০টা বার্ন করেও প্রাণ বাঁচাতে পারবো না"
- বিএনপির নামে ফেক ভিডিও বানিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে: রিজভী
- "ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নির্বোধের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন"
- "এনডিআই-আইআরআই কী বলল এতে কিছু আসে যায় না"
- ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ
- গুজবে কান দিবেন না: বিএসইসি কমিশনার
- ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স
- ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ফু-ওয়াং সিরামিক
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.৭৮ শতাংশ
- অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সহায়তার আশ্বাস
- রেনাটার ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
- অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা পাবেন নগদে
- সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এমডির মতবিনিময়
- বাংলাদেশ ব্যাংক ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি সই
- হারল্যান স্টোর থেকে পণ্য কিনে লাখপতি খাগড়াছড়ির প্রবিকা চাকমা
- দেশে প্রথম ৬ স্টার এনার্জি রেটিং আনলো ওয়ালটন
- ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন তামিম
- লিটনকে বাদ দেওয়ার কারণ জানালেন লিপু
- গাজায় মানবিক সহায়তায় বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: ইইউ
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে নীরবতা, তবে কাটেনি আতঙ্ক
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- জাতির মহানায়কের আজ ১০৪তম জন্মবার্ষিকী
- বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ: ওবায়দুল কাদের
- ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুন্ন হয়েছে, দুই সংগঠনের প্রতিবেদন
- "অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে"
- ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল
- বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
- পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণে যেসব পরিবর্তন আসবে
- "মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রেখেছিল"
- গুলশান লেকে মাছ নয়, মশার চাষ হচ্ছে: মেয়র আতিক
- "জলদস্যুরা সব খবর দেখছে, তাই সংবাদ প্রচারে সতর্ক থাকতে হবে"
- সরকার দেশ থেকে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়: মঈন খান
- "সরকার এবার বলবে লেবুর বদলে জলপাই বা কামরাঙ্গার জুস খান"
- ভারতের কারণেই নির্বাচনে অশুভ খেলা সফল হয়নি: কাদের
- দুর্নীতি লুকানোর নতুন কৌশল: একীভূত হচ্ছে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক
- শিক্ষক-প্রক্টরকে দায়ী করে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- পাট খাতের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন ফরহাদ আহমেদ আকন্দ
- দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ডিসেম্বরের মধ্যে একীভূত করা হবে
- সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের করা মামলায় দুদকের চার্জশিট
- যেভাবে জিম্মি হয় এমভি আব্দুল্লাহ, অডিও বার্তায় বর্ণনা দিলেন চিফ অফিসার
- দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়তই লাগাম ছাড়াচ্ছে, বিপাকে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত
- ঈদে মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি
- ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চায় সরকার: রিজভী
- গুলশান লেকে মাছ নয়, মশার চাষ হচ্ছে: মেয়র আতিক
- নির্বাচন ও স্বতন্ত্র ত্বত্ত্ব
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- এমভি আবদুল্লাহয় অবস্থানরত জলদস্যুর ছবি প্রকাশ
- ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে নতুন সার্কুলার
- বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল: মেজর (অব.) হাফিজ
- তুরস্কে পাঠানোর কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত, আটক ২
- অতিরিক্ত তুষারপাতে আফগানিস্তানে ৬০ জন নিহত
- টিকটক নিষিদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস
- নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো ব্যবস্থা নেই: কাদের
- জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের অবস্থান শনাক্ত
- গাজীপুরে দগ্ধ কারও অবস্থাই আশঙ্কামুক্ত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের চাপ ছিল না: নজরুল ইসলাম
- কাঁচাবাজারের চেয়ে ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে দাম কম: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- গাবতলীতে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ডিএনসিসি কর্মী নিহত, সড়ক অবরোধ
- শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী