পর্ব-এক
বিদআত কী, ঈদ-এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কি বিদআত ও নিষিদ্ধ?
ডক্টর মো. মাহমুদুল হাছান
বিদআত শব্দটি আমাদের মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। বিশেষ করে মুসলিম রীতিনীতিতে এটি দৈনন্দিন ইবাদাতের অংশ হিসাবে অনেক মানুষ আমলও করে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেকেই “বিদআত” পরিভাষাটির সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যা না জানার কারণে বিদআতী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিনিয়ত ইবাদাতের নামে ধোকায় লিপ্ত হচ্ছে। এসকল কর্মের মধ্যে ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন একটি প্রমানীত বিদআত। সুতরাং আসুন জেনে নেই বিদআত কি এবং ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কেন বিদআত। নিম্নে এ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পেশ করা হলো-
بدعة (বিদআত) এর পরিচয়
بدعة শব্দটি بدع (বাদউন) মূল শব্দ হতে নির্গত যায় শাব্দিক অর্থ হলো নতুন আবিষ্কার বা উদ্ভাবন। অর্থাৎ যার দৃশ্যমান কোন অস্তিত্ব পূর্বে ছিল না এমন কোন কিছুর নতুন উদ্ভাবন করা। এ শব্দটি পবিত্র কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ বলেন -
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْض
“আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ছাড়াই আসমান ও যমিনের আবিষ্কার করেছেন।” (সূরা বাকারা ঃ ১১৭)
তাই বিদআতের সংজ্ঞায় বলা হয়-
الاختراع على غيرمثال سابق
অর্থাৎ পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত বা নমুনা ছাড়াই কোন কিছুর উদ্ভব ঘটানো। সুতরাং বিদআত বা নব আবিষ্কার দু’প্রকার হতে পারে,
এক. পার্থিব জীবনের উন্নয়নের নব আবিষ্কার, যা বৈধ এবং তা করতে বা পালনে ইসলামী আক্বিদায় কোন কোন সমস্যা নেই বরং তা উৎসাহব্যঞ্জক। কারন তা পার্থীব জীবন যাপনের মান বা শোভা বৃদ্ধি করে।
দুই. ইবাদাতের নামে ইসলামে কোন কথা বা কাজের নব আবিষ্কার। যা ইসলামের প্রদর্শিত মত ও পথে নতুন সংযোজন করে। এটি সম্পুর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কারন ইবাদাত পালনের সকল নিয়ম নীতি রাসুল (স.), সাহাবা (রা.) ও তাবেঈ এর যামানায় পরিপুর্ণ হয়ে গেছে। নুতন কিছু সংযোজনের সুযোগ নেই। তাই এ প্রকার বিদআতই নিষিদ্ধ আর এ জন্যই ইসলামী পরিভাষায় বিদআতের সংজ্ঞা হলো-
ما أحدث فى الدين على خلاف ما كان عليه النبى صلى الله عليه وسلم وأصحابه من عقيدة أوعمل
ইসলামে এমন কোন আকীদা বিশ্বাস বা আমল এর উদ্ভব ঘটানো যা নবী (সা) ও সাহাবায়ে কিরামদের মাঝে ছিল না। (আল বিদা ওয়াল মুহদাছাত: ৯৭)
মোট কথা ইসলামে ইবাদাতের নামে এমন কোন কথা বা কাজ আবিষ্কার করা যা কুরআন ও সহীহ হাদীসে নেই। এ বিদআতকে বুঝানোর ক্ষেত্রে অনেকে অনেক ভাবে বিভক্ত করেছেন যেমন, কথার বিদআত, কাজের বিদআত, আকীদা বিশ্বাসে বিদআত ইত্যাদি। কিন্তু হুকুমের বা বৈধ ও অবৈধ এবং শেষ পরিণতির দিক দিয়ে এর কোন প্রকার প্রভেদ নেই। সবই হারাম বা নিষিদ্ধ। কারণ নবী (সা) বলেন -
إياكم ومحدثات الامور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة
“তোমরা যাবতীয় নতুন আবিষ্কার হতে সাবধান, কেননা ইসলামে প্রতিটি নতুন আবিষ্কারই হলো বিদআত আর প্রতিটি বিদআতই হলো পথভ্রষ্টতা বা গুমরাহী। (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা, নাসাঈ ও আহমাদ সহীহ আল জামি‘ হাঃ ২৫৪৬।
আর পথভ্রষ্টতা বা গুমরাহী নিয়ে যায় জাহান্নামে। তাই ইসলামে বিদআতে হাসানা (ভাল বিদআত) ও বিদআতে সাইয়েয়াহ (খারাপ বিদআত) এরূপ কোন ভাগাভাগির সুযোগ নেই। সকল প্রকার বিদআতই প্রত্যাখানযোগ্য কোন বিদআতী আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। নবী (সা) বলেন-
من أحدث فى أمرنا هذا ماليس منه فهو رد
“যে আমাদের দীনে এমন কিছু উদ্ভাবন করল যা তাতে ছিলনা তা প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী, মুসলিম)
পরিশেষে বলতে পারি কুরআন ও সহীহ হাদীসে প্রমাণিত নয় এমন ইবাদাতের নামই হলো বিদাআত, যা আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করবেনই না উপরন্তু এ সব বিদআত বিদআতীকে হিদায়াত থেকে গুমরাহী এবং জান্নাত হতে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, যারা বিদ আতে হাসানা বলে আরেকটি বিদআতের কথা বলে থাকেন তাদের কথার একটি সত্যতা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, ইবাদাতের কাজ করতে গিয়ে ইবাদাতের সামগ্রী যেমন ইলম বা জ্ঞান চর্চার জায়গা মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা, মসজিদের শোভা বর্ধন করা, নামাজের পোষাক- পরিচ্ছদে সৌন্দর্য আনা, যাকাত আদায় করতে গিয়ে আধুনিক কোন যন্ত্র ব্যভার করা, নামাজ-রোজা পালন করতে কোন আধুনিক বেশিং যেমন ঘড়ি ব্যভার করা ইত্যাদি কাজে ইসলামী আদল বা প্রকৃতি ঠিক রেখে নতুন কিছুর উদ্ভাবন করা না জায়েয নয় বরং বৈধ।
সুতরাং বিদআত কর্ম সম্পাদন করা এর সমর্থন করা বা এ কাজে সাহায্য করা যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম তাতে কোন সন্দেহ নেই। এবার আসা যাক ঈদ এ মিলাদুন্নাবী এর বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা। এটি কি বিদ আত নাকি এর কোন বৈধতা আছে? নিম্নের আলোচনা থেকে আশাকরি সন্দেহটা দূর হয়ে যাবে।
ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন কি বিদ আত?
‘ঈদে মিলাদুন্নাবী’ একটি বহুল প্রচলিত পরিভাষা। এ নামটি তিনটি আরবী শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, শব্দ তিনটি হলো- عيد (ঈদ), ميلاد (মিলাদ) النبى (নাবী)।
عيد (ঈদ) শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো বারংবার ফিরে আসা, সমবেত হওয়া, আনন্দ উৎসব ইত্যাদি।
পরিভাষায় ঈদ হলো, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) বলেন-
العيد اسم لما يعود من الاجتماع على وجه معتاد عائد، إما بعود ألسنة أوبعود الأسبوع أو الشهر أونحوذالك
ঈদ হচ্ছে এমন সাধারণ সমাবেশ যা নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসে, বছর ঘুরে আসে, অথবা মাসে আসে। (আল আইয়াদ ওয়া আছারুহা আলাল মুসলিমিন: ২১)
এ ঈদ সময় কেন্দ্রিক আবার স্থান কেন্দ্রিকও হয়ে থাকে। ميلاد (মিলাদ) অর্থ জন্ম, অর্থাৎ জন্ম দিবস, আর النبى (নাবী) শব্দটি আরবী হলেও তা সকল মুসলিমের বোধগম্য। উদ্দেশ্য হল নবী মুহাম্মদ (সা)। সুতরাং “ঈদে মিলাদুন্নাবী” এর অর্থ হলো- নবীর জন্মে খুশী বা উৎসব। নবী মুহাম্মদ (সা) এর জন্ম উপলক্ষে যে আনুষ্ঠাতিকতা বা ঈদ উৎসব পালন করা হয় তাকে “ঈদে মিলাদুন্নাবী” বলা হয়। এখন প্রশ্ন জাগে যে, ঈদে মিলাদুন্নাবী” এর উৎপত্তি কখন হতে?
ঈদে মিলাদুন্নাবী এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ-
“ঈদে মিলাদুন্নাবী” এ জাতীয় অনুষ্ঠানাদির ভিত্তি কুরআন ও সহীহ হাদীসে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ইতিহাসের পাতায় তাকালে দেখা যায় প্রাক ইসলামী যুগেও এ জাতীয় আচার অনুষ্ঠান ছিল, যেমন- গ্রীক, ইউনান, ফিরায়ানা ইত্যাদি সভ্যতায় তারা স্বীয় দেবতার অনুষ্ঠান উদযাপন করত। তাদের থেকে গ্রহণ করেছে পরবর্তী খ্রীষ্টান সম্প্রদায়। যাদের কাছে বড় ঈদ হলো তাদের নবীর জন্মোৎসব পালন করা। খ্রীষ্টানদের জন্মোৎসব বা বড় দিবসের অনুষ্ঠান শুধু প্রাক ইসলামেই পালন করা হত না বরং আজও হয়ে চলছে, সেখান থেকেই অনুসৃত হয়ে এসেছে এক শ্রেণীর মুসলিম সমাজে। এখন প্রশ্ন হলো, কখন থেকে মুসলিম সমাজে এ অনৈসলামিক সভ্যতার অনুপ্রবেশ ঘটল এবং কার মাধ্যমে ঘটল?
ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপনের সূচনা-
ঈদে মিলাদুন্নাবী এর পক্ষে ও বিপক্ষে সকল আলিম সমাজ একমত যে, এই মিলাদুন্নাবীর উৎসব নবী (সা), সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনদের মাধ্যমে কখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে অবশ্যই সে উত্তম যুগসমূহ অতিবাহিত হওয়ার পরই এ বিদআতের উদ্ভব ঘটেছে। কিন্তু কোন সময় এবং কার মাধ্যমে এ বিদআতের উদ্ভব ঘটল এ নিয়ে ইসলামী পন্ডিতগণ দু’টিমত ব্যক্ত করেছেন।
এক. হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে মিসরে ফাতেমী সম্রাজ্যে এ বিদআতের উদ্ভব ঘটে। তারা সর্বপ্রথম ছয় জন ব্যক্তির জন্মোৎসব পালন করেন। (১) নবী (সা) (২) আলী (রা) (৩) হাসান (রা) (৪) হুসাইন (রা) (৫) ফাতেমা (রা) (৬) তৎকালীন ফাতেমীয় সাম্রাজ্যের খলীফা। তখন হতে ফাতেমী বা শিয়া সম্প্রদায়ের খলীফা স্বউদ্যোগে জাতীয়ভাবে ছয় জনের জন্ম দিবস পালন করত। [দ্রঃ আল খিতাত লিল মাকরীযী- ১/৪৯০-৪৯৯)
দুই. হিজরী সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে ইরাকের মাওসুল শহরে তৎকালীন বাদশা আল মুযাফফার এর পৃষ্ঠপোষকতায় দরবারী আলেম উমার বিন মুহাম্মদ মল্লা এর পরিচালনায় সর্ব প্রথম নবী (সা) এর জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। (হাসনুল মাকসাদ লিসযুয়ূতী: ৪২ পৃষ্ঠা) (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১৩/১৪৭ পৃষ্ঠা)
ইমাম আবু শামাহ (রহ) উক্ত দুটি মতের সমন্বয় সাধন করতে গিয়ে বলেন- বস্তুত সর্বপ্রথম যারা এ বিদআতের উদ্ভাব ঘটায় তারা হল ফাতেমী বা শিয়া সম্প্রদায়। হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে তারা মিসরের রাজধানী কায়রোতে এ বিদআতের আবির্ভাব ঘটায়। অতঃপর সেখান থেকে ফাতেমী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লে ইরাকের মধ্যে মাওসুল শহরে সর্বপ্রথম বাদশা মুযাফ্ফর এর পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিদআত চালু হয়। যদিও অন্যাঞ্চলে তা আগেই উদ্ভব হয়েছিল কিন্তু ইরাকের মওসুল শহরে তার মাধ্যমেই প্রথম চালু হয়। (আল-বায়িছ লিআবী শামাহ: ২৩-২৪ পৃষ্ঠা)। বিস্তারিত দ্রঃ (আল আইয়াদ ওয়া আছারুহু আলাল মুসলিমিন ২৮৬-২৮৯ পৃষ্ঠা)
সুতরাং আমরা যদি ইসলামী আক্বীদা ধারন করে একটু চিন্তা করি তাহলে আমরা কি বুঝিনা যে, যে কাজটি নবী (সা) এর যুগে ছিলনা, সাহাবায়ে কিরামদের যুগে ছিল না, এমনকি তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী ও প্রসিদ্ধ ইমামদের যুগেও ছিলনা তা কিভাবে ইসলামের ইবাদাত হতে পারে? সত্য ইতিহাস প্রমাণ করছে এ বিদআতের উদ্ভব হলো নবী (সা) এর পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার চারশত বছরেরও অনেক পরে। তাই বিদআতের সঠিক মাপকাঠিতে ফেলে একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইহা একটি সুন্নী মুসলিমদের আজীবন শত্রু“ ভ্রান্ত শিয়া সম্প্রদায় হতে উদ্ভাবিত এক ভ্রান্ত গুমরাহি বিদআত যা নবী (সা) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরামদের আমলে ছিলনা। আসুন আমরা এ প্রচলিত বিদআত নবী (সা) এর জন্মবার্ষিকী প্রচলন উপলক্ষে যে সব গর্হিত ও ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ সংঘটিত হয় তার সামান্য কিছু লক্ষ্য করি এবং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হই এবং ঈদ এ মিলাদুন্নাবী-কে একটি স্পষ্ট বিদ আত হিসাবে তা বর্জন করি এবং অন্যদেরকেও তা বর্জনে সাহায্য করি।
কি কারণে মিলাদুন্নবী উদযাপন হারাম
আমরা যে সকল কারনে ঈদ এ মিলাদুন্নাবী উদযাপন থেকে বিরত থাকব তার কিছু যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, আল্লাহ আমার সহায় হোক-
কারণ – এক.
এটি রাসূলুল্লাহ(সা.) কিংবা তাঁর খলীফাদের সুন্নাত ছিল না। ফলে এটি একটি নিষিদ্ধ নব উদ্ভাবন, কেননা নবীজী(সা.) বলেছেন: “আমি তোমাদেরকে আমার এবং আমার পরবর্তী সঠিক পথপ্রাপ্ত খলীফাদের অনুসরণের ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছি; তোমরা একে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাক। [দ্বীনের মধ্যে] নব উদ্ভাবিত বিষয় সম্পর্কে সাবধান হও, কেননা প্রতিটি নবোদ্ভাবিত বিষয়ই বিদাত, এবং প্রতিটি বিদাতই হচ্ছে পথভ্রষ্টতা।” (আহমাদ, তিরমিযী)মিলাদুন্নবী একটি বিদাত যা মুসলিমদের দ্বীনকে নষ্ট করার জন্য ফাতিমীয় শিয়ারা চালু করেছিল প্রথম তিনটি শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পর। কেউ যদি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করে যা রাসূল(সা.) করেননি কিংবা করতে বলেননি এবং তার উত্তরসূরী খলীফারাও করেন নি, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে সে দাবী করছে যে রাসূল(সা.) মানুষের কাছে পরিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ব্যাখ্যা করেননি [নাউযুবিল্লাহ], ফলে সে আল্লাহর এই আয়াতকে অস্বীকার করে: “আজ আমি, তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম।” (সূরা আল মায়িদাহ, ৫:৩) কারণ সে দ্বীনের মধ্যে বাড়তি কিছু সংযোজন করছে এবং দাবী করছে যে তা দ্বীনের অংশ অথচ রাসূল(সা.) তা [আল্লাহর পক্ষ থেকে] নিয়ে আসেননি। (চলবে)
লেখক: গবেষক.ইসলামী চিন্তাবিদ
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে
- বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে এই পারফরম্যান্সটার বিকল্প নেই: সাইফউদ্দিন
- নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় গ্রেপ্তার ৩
- ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: ২৩ ঘণ্টায় শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
- ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
- ট্রেনের রেয়াত-সুবিধা প্রত্যাহার, আজ থেকে কার্যকর
- আজ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ
- অস্থির মুরগির বাজার, বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম
- "যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে"
- শেয়ার ছাড়বে রুপালী ব্যাংক
- রবি ও এমটিবির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
- ৫ ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- জিপির ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ বাড়লো
- রাফাহ শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
- মধ্যরাতে কাকে অপরাধী বলে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন তিশা!
- ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক
- ১০ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি
- কালবৈশাখী ঝড়ের খবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
- চার মাসে রেমিট্যান্স ৮৩১ কোটি ডলার, আগের থেকে ২১ শতাংশ বেশি
- জামিনে মুক্ত মামুনুল হক
- জাতিসংঘের বাংলাদেশে শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশনটি গৃহীত
- গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ী জিতল কাপাসিয়ার মুঞ্জিল
- ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রাতের আঁধারে লাশ দাফন বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি মিল্টন: ডিবি
- ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন মির্জা ফখরুল
- দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিললো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির
- "যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি"
- ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- শেষ ম্যাচে উইকেট ছাড়াই থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলেন মুস্তাফিজ
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৫
- চুয়াডাঙ্গায় ৭০ বিঘা পানের বরজে অগ্নিকাণ্ড
- প্রচন্ড মহাসড়কে চীনে ২৪ জন নিহত
- ইসরায়লের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বুয়েট- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা
- "মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে"
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আরও ছয় দেশে
- নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
- এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার
- শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- "চিকিৎসকদের কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না"
- বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবেই: মির্জা ফখরুল
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- ইসলামে ন্যায্য মজুরি শ্রমিকের অধিকার
- সময়ের ঘোড়দৌড় ও একজন সাদা শ্রমিক
- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কেন পহেলা মে শ্রমিক দিবস নয়
- মে দিবস ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি
- পাল্টে যাওয়া শ্রমিক শ্রেণি: ভাবতে হবে নতুন করে
- রোদে পোড়া শ্রমিক জানে না মে দিবস কি
- কেন এতো মহান মে দিবস
- রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
- ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
- কেনিয়ায় বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু
- ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারলো বাংলাদেশ
- আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো
- বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা
- সরকার শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
- সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হবে
- আজ মহান মে দিবস
- আজ রাত থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে রাজী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- রেকর্ড তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- আওয়ামী লীগ মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে
- ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- টানা ছয় দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ড্রয়ে শিরোপা অপেক্ষা বাড়লো পিএসজির
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার গাজীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল আলী
- মুস্তাফিজের দুই উইকেট, জয় চেন্নাইয়ের
- ইসরায়েলের হামাসের রকেট হামলা, গাজায় সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশণা
- স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ
- লেভানদোভস্কির গোলে বার্সার জয়
- হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবো: শিক্ষামন্ত্রী
- নাভানা ফার্মার মুনাফা বেড়েছে
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির
- আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার