thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ 24, ১৫ চৈত্র ১৪৩০,  ১৯ রমজান 1445

লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা নেই ৯০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতালের

২০২০ আগস্ট ০৯ ১৪:৩৭:৫০
লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা নেই ৯০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতালের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে এখন অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেরই কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। অনুমোদনবিহীনভাবেই চলছে গণস্বাস্থ্য, বারডেম, সিটি হাসপাতালসহ নামী দামি অনেক হাসপাতাল। দীর্ঘদিন আগে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করা হলেও এখনও অনুমোদন পায়নি বহু হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটা হাসপাতাল শাখা আছে। বেসরকারি হাসপাতাল দেখভালের জন্য একজন পরিচালকও আছেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের আবেদন দেখভাল এবং লাইসেন্স নবায়ন করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই হাসপাতাল শাখার। নিয়ম হলো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী তারা সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়ণের ক্ষেত্রে সে শর্তগুলো আছে সেই শর্তগুলো পূরণ করা হচ্ছে কি হচ্ছে না তা সরেজমিনে দেখে তারা লাইসেন্স দেবেন।

বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটি হলো- হাসপাতালে অগ্নির্বাপন ব্যবস্থা থাকতে হবে, বিভিন্ন পরীক্ষাসহ সবকিছুর ফি এর তালিকা উম্মুক্ত স্থানে রাখতে হবে, দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে হবে, প্রত্যেকটা রোগীকে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা জটিল অপারেশন করার ক্ষেত্রে সম্মতি নিতে হবে, কোনোরকম অবৈধ এবং অতিরিক্ত বিল ফি আদায় করা যাবে না, আইসিইউ সুবিধাসহ সবধরনের জটিল এবং মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে ইত্যাদি।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া- এ দুটি শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে সবগুলো হাসপাতালই পিছিয়ে রয়েছে। এজন্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একটা যোগসাজশ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই যোগসাজশটা ছিল এরকম যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লাইসেন্স নবায়ন করবে না, এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোও শর্ত পূরণের ব্যবস্থা করবে না।

এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শর্ত পূরণ নিশ্চিত করতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো বলছে সময়টা আর একটু বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়টা হয়তো বাড়াতে হবে। কিন্তু লাইসেন্স পেতে হাসপাতালগুলোকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেটা কয়টা হাসপাতাল পূরণ করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে। কারণ এমন অনেক হাসপাতাল আছে, যেগুলো বাসা বাড়ি বা ফ্লাটের মধ্যে করা হয়েছে। সেখানে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, ওয়ার্ড এবং কেবিন আলাদা করাও অসম্ভব বিষয়। আর দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া তো সুদূর পরাহত একটা বিষয়। এই অবস্থায় শর্ত পূরণ করে লাইসেন্স প্রাপ্তি কয়টা হাসপাতালের ক্ষেত্রে সম্ভব হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯আগস্ট, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর