thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল 24, ১১ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৫ শাওয়াল 1445

পুঁজিবাজার আরও বড় হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

২০২১ সেপ্টেম্বর ০৪ ১৮:৩৯:০৪
পুঁজিবাজার আরও বড় হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান পুঁজিবাজার আরও বড় হবে। তবে এ জন্য বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা দিতে হবে। তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।

শনিবার রাজধানীর ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে ৫২ ব্রোকারেজ হাউজের কাছে ট্রেক সনদ হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে না পারলে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা তাদের কষ্টের টাকা বিনিয়োগ করে। প্রত্যাশা থাকে ভালো রিটার্ন পাওয়ার। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন না পেলেও কেউ এখানে আসবে না।

‘আমরা দেখেছি, অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেও রিটার্ন তো দূরে থাক, বিনিয়োগ পর্যন্ত তাদের হারাতে হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে এসেছে, আমাদের তা রক্ষা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল আমিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ‍ছিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।

পুঁজিবাজারের সেবা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তিন দফায় ৫৫ ব্রোকারেজ হাউজের অনুমোদন দিয়েছে। শনিবার তাদের শেয়ার কেনা-বেচার অনুমোদনের সনদ প্রদান করা হয়।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ট্রেক হোল্ডারদেরকে সকলে মিলে সহযোগিতা করতে হবে। নতুনদেরও অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে শিখতে হবে। ব্যবসার প্রাণ হচ্ছে পুঁজিবাজার। কিছু অসাধু বিনিয়োগকারী বারবারই পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীদের বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ডিএসই-এর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের শেয়ারের দর বাড়লে সূচক বাড়বে। সূচক শুধু শেয়ার দরের উত্থান-পতনের চিত্র প্রকাশ করে। ফলে সূচক ২০ হাজার পয়েন্টে উঠলে সেটি কোনো বিষয় না। তবে আগামী বছর পুঁজিবাজারে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে।’

রকিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন উত্থানের পুঁজিবাজারে শেয়ার দর টিকবে কি না। আমি বলি শতভাগ টিকবে। তবে দর কারেকশন হবে। এটি মেনে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ২০১০ সালের মহাধসের প্রতিক্রিয়ায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ৭ হাজারের নিচে নেমে আসার পর সূচক আর কখনও ৭ হাজারের কাছাকাছি আসেনি। ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সূচকের অবস্থা এর চেয়ে বেশি ছিল। সেদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইএক্স সূচক সে সময়ের ডিএসই সূচকের তুলনায় ২.৭৮ শতাংশ কম। সেটি বিবেচনা করলে অবশ্য ডিএসই সূচক সবশেষ যখন ৭ হাজার পয়েন্টের বেশি ছিল, তার চেয়ে উঁচুতে ছিল ২ সেপ্টেম্বরের পুঁজিবাজার।

ডিএসইর প্রধান সূচকের নাম এখন ডিএসইএক্স। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চালু হয় এই সূচক।

যারা আছেন তালিকায়

মোনার্ক হোল্ডিংস, বি রিচ লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, কবির সিকিউরিটিজ, আর এ কে ক্যাপিটাল, বারাকা সিকিউরিটজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিস, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, এসএফআইএল সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বি এন বি সিকিউরিটজ, কলম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, কে ডি এস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, সোনালী সিকিউরিটজ, আল হারমাইন সিকিউরিটজ, ক্রিস্টাল সিকিউরিটজ এবং ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ লিমিটেড, টি কে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, আমার সিকিউরিটিজ, সোহেল সিকিউরিটিজ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটিজ, আমায়া সিকিউরিটজ, এমপেরর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, ৩-আই সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বি এস এস ট্রেডিং, তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ, এস বি এ সি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, এন ওয়াই ট্রেডিং, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ, পটেনশিয়াল ক্যাপিটাল, এ এন সি সিকিউরিটজ, বেঙ্গ জিন (বিজি) জিইউ টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, এম কে এম সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, ডাইনিস্টি সিকিউরিটজ।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর