thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১,  ১৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

আরেকটি ভুজপুর ট্র্যাজেডি থেকে রক্ষা পেল সীতাকুণ্ড

২০১৩ অক্টোবর ২৯ ১৬:০৯:১৮
আরেকটি ভুজপুর ট্র্যাজেডি থেকে রক্ষা পেল সীতাকুণ্ড

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা : ভুজপুর ট্র্যাজেডির মতো আরো একটি সহিংস ঘটনা থেকে এবার রক্ষা পেল সীতাকুণ্ডের মানুষ। সোমবার বিকেলে ফটিকছড়ির সীতাকুণ্ডের কেদারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সৈয়দপুরের কেদারখীল গ্রামের বারৈয়াঢালা এলাকায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, ‘একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী হামলা করতে আসছে। নিজের জানমাল রক্ষায় যার কাছে যা আছে তা নিয়ে বেরিয়ে আসুন।’

এ ঘোষণার পর এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মতো তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়সহ এলাকা ঘিরে ফেলেন এবং সারারাত তারা অবস্থান করেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে সশস্ত্র অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাদের নেতৃত্বে তারা মহাসড়কের পাশে থাকা বড় বড় গাছ কেটে কিছুদূর পরপর ফেলে ব্যারিকেড দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপি নেতা মো. ইউসুফ নিজামী অভিযোগ করেন, ‘বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ১৮টি সিএনজি অটোরিকশায় এসে দিনভর বিভিন্ন স্থানে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি গুলি ছুড়ে তারা এলাকায় আতংক ছড়ান। এ খবর জানতে পেরে গ্রামের মানুষ স্থানীয় কেদারখীল মসজিদের মাইকে সন্ত্রাসীদের আগমনের কথা প্রচার করে তাদের প্রতিরোধে নেমে আসার জন্য আহবান জানান।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাইকে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ চারিদিক থেকে এলাকা ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’

ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী আনোয়ার, মহসিন, ইকবালসহ অনেকে দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘যদি একবার ওই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পেতাম তাহলে ভুজপুরের মতো তাদের গাড়িসহ পুড়িয়ে মারতাম।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছূটে আসেন পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। পরে সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি সৈয়দ ইকবাল আলী ও ওসি এসএম বদিউজ্জামানের অনুরোধে বিক্ষুব্ধ অবস্থানকারীরা মহাসড়কে অবস্থান থেকে সরে আসেন। তবে এলাকাবাসী রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেন।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রেহান উদ্দীন অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে সেখানে কোন সন্ত্রাসী যাবার প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিএনপি ও জামায়াত এসব অপপ্রচার করেছে। সেখানে কারা অটোরিকশা মিছিল নিয়ে গেছে তা আমার জানা নেই।’

তিনি বলেন, জনতা নয়, বিএনপি-জামায়াতরাই পরিকল্পিতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ‘ভুজপুর ট্র্যাজেডি’র ন্যায় আরেকটি ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছিল।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। তবে আমরা তাদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরাতে পেরেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ‘বড় একটি অঘটনের আশংকা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।’

(দিরিপোর্ট২৪/আইজেকে/অক্টোবর ২৯, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

সারাদেশ এর সর্বশেষ খবর

সারাদেশ - এর সব খবর