thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

বার্ন ইউনিটে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিকিৎসা

২০১৪ জানুয়ারি ১৫ ২২:২৬:২২
বার্ন ইউনিটে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিকিৎসা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) বার্ন ইউনিটে দুর্ঘটনার কারণ লুকিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। অতিরিক্ত সুবিধা নিতেই তথ্য গোপন করে তারা ভর্তি হচ্ছেন বলে মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে। এমনকি রোগীর স্বজনেরা মিডিয়াকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন।

মেডিকেল সূত্র জানায়, অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে তথ্য যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হচ্ছে না। সাম্প্রতিক হরতাল ও অবরোধে পেট্রোলবোমা এবং বাসে অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়া রোগীদের জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তাই সুবিধা নিতে তথ্য গোপন করে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন।

এ দিকে সহিংসতায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সরকারিভাবে আর্থিক সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। রোগী মারা গেলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করেও সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই অনেক অগ্নিদগ্ধ রোগী তথ্য গোপন করে ভর্তি হচ্ছেন। অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের লক্ষে রোগীর স্বজনেরাও মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন গল্প বানিয়ে বলছেন।

সর্বশেষ বুধবার সকালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাচ্চু প্রধান। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাচ্চু প্রধানকে ভর্তি করা হয়।

এদিকে সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়, বাচ্চু প্রধান সহিংসতায় আক্রান্ত হননি। তিনি নিজ বাড়িতেই অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পূর্বে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাচ্চু প্রধান পেট্রোলবোমায় অগ্নিদগ্ধ হন। সিএনজিতে শ্বশুরবাড়ি মতলবের মিজিরবাড়ি থেকে ঢাকিরগাঁও যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ তথ্য মেডিকেলে নথিবদ্ধও করা হয়।

কিন্তু বুধবার সকালে স্বজনদের কথায় সন্দেহ তৈরি হলে তা যাচাই-বাছাই করার জন্য শাহবাগ থানা থেকে মতলব থানায় যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে তথ্য গোপনের বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চু প্রধানের মেয়ের জামাই মনির হোসেন প্রথমে দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানতাম না। পরিবার থেকে আমাকে এটাই জানানো হয়েছে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, অতিরিক্ত সুবিধা নিতেই তারা তথ্য গোপন করেছেন। মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার সিমপ্যাথি নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

এ সম্পর্কে বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল বলেন, আমরা চেষ্টা করি সঠিক তথ্য নিয়ে রোগী ভর্তি করতে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না। আমরা রোগীর তথ্যের চেয়ে অবস্থার প্রতি গুরুত্ব দেই বেশি।

তিনি আরো জানান, সহিংসতায় আক্রান্তদের জন্য আলাদা ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তাই তথ্য গোপন করলে আমাদের সমস্যা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএ/এমএআর/এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর